ঢাকা , শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজার হাসপতালে ইসরায়েলি হামলায় নিহত বেশিরভাগই পুরুষ ও শিশু

  • পোস্ট হয়েছে : ০৬:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৩
  • 5

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উত্তর গাজার আল আহলি আরব হাসপাতালে ইসরায়েলের চালানো বিমান হামলার বেশিরভাগ পুরুষ ও শিশু নিহত হয়েছে।

গাজা থেকে এ তথ্য জানিয়েছেন আল জাজিরার সাংবাদিক হাসান আসলিহ।

তিনি বলেন, ব্যাপটিস্ট হাসপাতাল আল আহলি আরবে বিমান হামলায় বেশিরভাগ নিহতই পুরুষ ও শিশু। নারী ও সদ্যজাতরা হাসপাতাল ভবনের ওপরের তলায় ঘুমচ্ছিলেন। বেশিরভাগই শিশু ও পুরুষ হাসপাতালের মাঠে ঘুমচ্ছিল। যে কারণে তাদের মধ্যেই নিহতের সংখ্যা বেশি।

গতকাল মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) উত্তর গাজার আল আহলি আরব হাসপাতালে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এ ঘটনায় অন্তত ৫০০ মানুষ নিহত হয়েছেন বলে গাজার স্বাস্থ্য দপ্তরের মুখপাত্র দাবি করেন।

কিন্তু ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বলছেন, ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছে, সে সম্পর্কে তারা জানেন না। বিষয়টি জানতে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে গাজা ভূখণ্ডে এখনও তাণ্ডব চালাচ্ছে ইসরায়েল। গাজার খান ইউনিস এলাকা থেকে আল জাজিরার অপর সংবাদকর্মী হানি আবু ইশেবা বলেছেন, গতরাতে যা ঘটেছে তা সত্ত্বেও গাজা উপত্যকা জুড়ে এখনও ভারী বোমাবর্ষণ চলছে। ৫০০ মানুষ মরে যাওয়ার পরও গাজায় বোমাবর্ষণ চালিয়ে যাওয়া থেকে ইসরায়েলকে কেউ থামাতে পারেনি। গতকাল নিহতদের বেশির ভাগই গাজার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা উদ্বাস্তু।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর গাজায় আগ্রাসন শুরুর পর থেকে ৪১ বার অঞ্চলটির স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ডব্লিউএইচওর মুখপাত্র তারিক জাসারেভিচ এ দাবি করেন।

তিনি বলেন, এসব হামলায় ১১ জন স্বাস্থ্যসেবা কর্মী নিহত হয়েছেন। ১৬ জন আহত হয়েছেন। হামলা অব্যাহত থাকায় এ সংখ্যা বাড়তে পারে। গাজার হাসপাতালগুলো মাত্রাতিরিক্ত সংখ্যক রোগীকে সেবা দিতে লড়াই করছে; যা তাদের সক্ষমতা সীমা অতিক্রম করে যাচ্ছে। সংগ্রহ করা ওষুধ শেষ হয়ে যাচ্ছে।

কিন্তু গাজার স্বাস্থ্যকর্মীরা পরিস্থিতি মোকাবিলা করে অসাধারণভাবে তাদের দায়িত্ব চালিয়ে যাচ্ছেন। অঞ্চলটিতে জ্বালানির গুরুতর ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। এসব সমস্যার সমাধান না হলে পরিস্থিতি আরও বেশি নাগালের বাইরে চলে যাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সর্বশেষ হতাহতের পরিসংখ্যান: ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৩০০ জন নিহত হয়েছেন; আহতের সংখ্যা ১১ হাজার ছুঁই ছুঁই। পশ্চিম তীরে মৃত্যু হয়েছে ৬২ জনের; আহতের সংখ্যা ১২৫০।

অপরদিকে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৪০৩ জন। আহত ইসরায়েলির সংখ্যা ৩ হাজার ৮০০ জন।

এএইচএ/

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

গাজার হাসপতালে ইসরায়েলি হামলায় নিহত বেশিরভাগই পুরুষ ও শিশু

পোস্ট হয়েছে : ০৬:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : উত্তর গাজার আল আহলি আরব হাসপাতালে ইসরায়েলের চালানো বিমান হামলার বেশিরভাগ পুরুষ ও শিশু নিহত হয়েছে।

গাজা থেকে এ তথ্য জানিয়েছেন আল জাজিরার সাংবাদিক হাসান আসলিহ।

তিনি বলেন, ব্যাপটিস্ট হাসপাতাল আল আহলি আরবে বিমান হামলায় বেশিরভাগ নিহতই পুরুষ ও শিশু। নারী ও সদ্যজাতরা হাসপাতাল ভবনের ওপরের তলায় ঘুমচ্ছিলেন। বেশিরভাগই শিশু ও পুরুষ হাসপাতালের মাঠে ঘুমচ্ছিল। যে কারণে তাদের মধ্যেই নিহতের সংখ্যা বেশি।

গতকাল মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) উত্তর গাজার আল আহলি আরব হাসপাতালে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এ ঘটনায় অন্তত ৫০০ মানুষ নিহত হয়েছেন বলে গাজার স্বাস্থ্য দপ্তরের মুখপাত্র দাবি করেন।

কিন্তু ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র বলছেন, ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছে, সে সম্পর্কে তারা জানেন না। বিষয়টি জানতে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে গাজা ভূখণ্ডে এখনও তাণ্ডব চালাচ্ছে ইসরায়েল। গাজার খান ইউনিস এলাকা থেকে আল জাজিরার অপর সংবাদকর্মী হানি আবু ইশেবা বলেছেন, গতরাতে যা ঘটেছে তা সত্ত্বেও গাজা উপত্যকা জুড়ে এখনও ভারী বোমাবর্ষণ চলছে। ৫০০ মানুষ মরে যাওয়ার পরও গাজায় বোমাবর্ষণ চালিয়ে যাওয়া থেকে ইসরায়েলকে কেউ থামাতে পারেনি। গতকাল নিহতদের বেশির ভাগই গাজার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা উদ্বাস্তু।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর গাজায় আগ্রাসন শুরুর পর থেকে ৪১ বার অঞ্চলটির স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ডব্লিউএইচওর মুখপাত্র তারিক জাসারেভিচ এ দাবি করেন।

তিনি বলেন, এসব হামলায় ১১ জন স্বাস্থ্যসেবা কর্মী নিহত হয়েছেন। ১৬ জন আহত হয়েছেন। হামলা অব্যাহত থাকায় এ সংখ্যা বাড়তে পারে। গাজার হাসপাতালগুলো মাত্রাতিরিক্ত সংখ্যক রোগীকে সেবা দিতে লড়াই করছে; যা তাদের সক্ষমতা সীমা অতিক্রম করে যাচ্ছে। সংগ্রহ করা ওষুধ শেষ হয়ে যাচ্ছে।

কিন্তু গাজার স্বাস্থ্যকর্মীরা পরিস্থিতি মোকাবিলা করে অসাধারণভাবে তাদের দায়িত্ব চালিয়ে যাচ্ছেন। অঞ্চলটিতে জ্বালানির গুরুতর ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। এসব সমস্যার সমাধান না হলে পরিস্থিতি আরও বেশি নাগালের বাইরে চলে যাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সর্বশেষ হতাহতের পরিসংখ্যান: ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৩০০ জন নিহত হয়েছেন; আহতের সংখ্যা ১১ হাজার ছুঁই ছুঁই। পশ্চিম তীরে মৃত্যু হয়েছে ৬২ জনের; আহতের সংখ্যা ১২৫০।

অপরদিকে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৪০৩ জন। আহত ইসরায়েলির সংখ্যা ৩ হাজার ৮০০ জন।

এএইচএ/

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: