ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলি বোমা হামলায় গাজার ২৬টি মসজিদ ধ্বংস

  • পোস্ট হয়েছে : ০৩:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ অক্টোবর ২০২৩
  • 2

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলের বোমা হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার ২৬টি মসজিদ ধ্বংস হয়ে গেছে। মূলত ইসরায়েলের টানা ২ সপ্তাহের বিমান হামলায় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার এসব মসজিদ ধ্বংষ হয়েছে। পাশাপাশি ভেঙ্গেছে অনেক প্রাচীন স্থাপনার গির্জাও।

ইসরায়েলের নির্বিচার এই হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না গাজার স্কুল, হাসপাতাল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ ও গির্জাও। রোববার (২২ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বোমা হামলায় গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ২৬টি মসজিদ ধ্বংস হয়ে গেছে বলে গাজার এনডাউমেন্টস অ্যান্ড রিলিজিয়াস অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয় শনিবার জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয়টি আরও জানিয়েছে, অবরুদ্ধ এই ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের বেশিরভাগ এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় আরও কয়েক ডজন মসজিদ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান গাজার এই মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তর, মন্ত্রণালয়ের কোরআন রেডিও স্টেশন এবং একটি গির্জাও ধ্বংস করেছে।

আনাদোলু বলছে, গাজার ওপর আগ্রাসন বন্ধ করতে এবং ইসরায়েলকে বেসামরিক মানুষ, মসজিদ এবং গির্জার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক আচরণের জন্য জবাবদিহি করতে বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ইসলামিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে জরুরিভাবে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছে গাজার এনডাউমেন্টস অ্যান্ড রিলিজিয়াস অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয়।

সর্বশেষ ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের একটি মসজিদে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রাথমিকভাবে সেখানে একজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে অবস্থিত আল-আনসার মসজিদে হামলায় হামাস এবং ইসলামিক জিহাদের বেশ কয়েকজন ‘সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে। তারা হামলার পরিকল্পনা করার জন্য কমান্ড সেন্টার হিসেবে ওই ভবনটিকে ব্যবহার করে আসছিল।

অবশ্য গাজার মসজিদগুলোতে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা খুবই সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে এবং সর্বশেষ দুদিন আগে ইসরায়েলের হামলায় ধসে পড়ে গাজার ঐতিহাসিক আল-ওমারি মসজিদ।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে নজিরবিহীন হামলা চালায় গাজার সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। হামাস বলেছে, আল-আকসা মসজিদে হামলা ও ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের ক্রমবর্ধমান সহিংসতার প্রতিশোধ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে।

তবে হামাসের সেই হামলার পর থেকেই গাজায় বিমান হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। তাদের এ নির্বিচার হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৪ হাজার ৩৮৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১ হাজার ৭৫৬ শিশুও রয়েছে।

যদিও ইসরায়েল দাবি করছে তারা হামাসের অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। তবে হামাসের যোদ্ধাদের চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সেখানকার বেসামরিক মানুষ।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ইসরায়েলি বোমা হামলায় গাজার ২৬টি মসজিদ ধ্বংস

পোস্ট হয়েছে : ০৩:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ অক্টোবর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলের বোমা হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার ২৬টি মসজিদ ধ্বংস হয়ে গেছে। মূলত ইসরায়েলের টানা ২ সপ্তাহের বিমান হামলায় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার এসব মসজিদ ধ্বংষ হয়েছে। পাশাপাশি ভেঙ্গেছে অনেক প্রাচীন স্থাপনার গির্জাও।

ইসরায়েলের নির্বিচার এই হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না গাজার স্কুল, হাসপাতাল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ ও গির্জাও। রোববার (২২ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বোমা হামলায় গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ২৬টি মসজিদ ধ্বংস হয়ে গেছে বলে গাজার এনডাউমেন্টস অ্যান্ড রিলিজিয়াস অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয় শনিবার জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয়টি আরও জানিয়েছে, অবরুদ্ধ এই ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের বেশিরভাগ এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় আরও কয়েক ডজন মসজিদ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান গাজার এই মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তর, মন্ত্রণালয়ের কোরআন রেডিও স্টেশন এবং একটি গির্জাও ধ্বংস করেছে।

আনাদোলু বলছে, গাজার ওপর আগ্রাসন বন্ধ করতে এবং ইসরায়েলকে বেসামরিক মানুষ, মসজিদ এবং গির্জার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক আচরণের জন্য জবাবদিহি করতে বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ইসলামিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে জরুরিভাবে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছে গাজার এনডাউমেন্টস অ্যান্ড রিলিজিয়াস অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয়।

সর্বশেষ ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের একটি মসজিদে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রাথমিকভাবে সেখানে একজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে অবস্থিত আল-আনসার মসজিদে হামলায় হামাস এবং ইসলামিক জিহাদের বেশ কয়েকজন ‘সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে। তারা হামলার পরিকল্পনা করার জন্য কমান্ড সেন্টার হিসেবে ওই ভবনটিকে ব্যবহার করে আসছিল।

অবশ্য গাজার মসজিদগুলোতে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা খুবই সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে এবং সর্বশেষ দুদিন আগে ইসরায়েলের হামলায় ধসে পড়ে গাজার ঐতিহাসিক আল-ওমারি মসজিদ।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অবৈধ বসতি লক্ষ্য করে নজিরবিহীন হামলা চালায় গাজার সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। হামাস বলেছে, আল-আকসা মসজিদে হামলা ও ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের ক্রমবর্ধমান সহিংসতার প্রতিশোধ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে।

তবে হামাসের সেই হামলার পর থেকেই গাজায় বিমান হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। তাদের এ নির্বিচার হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৪ হাজার ৩৮৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১ হাজার ৭৫৬ শিশুও রয়েছে।

যদিও ইসরায়েল দাবি করছে তারা হামাসের অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। তবে হামাসের যোদ্ধাদের চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সেখানকার বেসামরিক মানুষ।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: