ঢাকা , রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী ৮ দিনের রিমান্ডে

  • পোস্ট হয়েছে : ০৫:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩
  • 5

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়া মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফীর (মিয়ান আরেফি) সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীকে আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (১ নভেম্বর) তাকে আদালতে হাজির করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে দশ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক জামাল উদ্দিন মীর। শুনানি শেষে তার আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন।

আদালতে পল্টন থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শাহ আলম বিষয়টি জানিয়েছেন।

এর আগে, রোববার (২৯ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় তার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন মহিউদ্দিন শিকদার নামে গোপালগঞ্জের একজন বাসিন্দা। মামলায় আরেফী ছাড়াও বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন ও অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল হাসান সারওয়ার্দীকে আসামি করা হয়।

পরে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে সাভার থেকে হাসান সারওয়ার্দীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা কাকরাইল মোড় থেকে আরামবাগ পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন, সরকারি স্থাপনা ও সরকারি গাড়িসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করে।

সংঘর্ষের ফলে পুলিশের ৪১ জন আহত ও একজন সদস্য নিহত হন। একপর্যায়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বিকেল ৩টার দিকে মহাসমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করেন। পরে ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যমের সামনে উপস্থিত হন। সংবাদ সম্মেলনে এক নম্বর আসামি মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফী ওরফে মিয়া আরাফী নিজেকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা হিসেবে পরিচয় দেন।

সেখানে মিয়ান আরেফী বক্তব্যে দাবি করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার দিনে ১০ থেকে ১৫ বার যোগাযোগ হয় এবং মার্কিন সরকারের সবাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে। তিনি আরও দাবি করেন, তিনি মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরকেও বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেছেন।

পরে বিষয়টি নিয়ে সর্বমহলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এরপর ২৯ অক্টোবর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করে ডিবির হাতে তুলে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ।

মিয়া আরেফীকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) ডিবি প্রধান বলেন, আরেফী এসব বলতে চাননি। বাসা থেকে নিয়ে আসার সময় হাসান সারওয়ার্দী তাকে এসব কথা বলার জন্য শিখিয়ে দিয়েছিলেন। আর তাকে সহায়তা করেছেন বিএনপি নেতা ইশরাক ও অ্যাডভোকেট বেলাল নামে একজন।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী ৮ দিনের রিমান্ডে

পোস্ট হয়েছে : ০৫:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়া মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফীর (মিয়ান আরেফি) সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীকে আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (১ নভেম্বর) তাকে আদালতে হাজির করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে দশ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক জামাল উদ্দিন মীর। শুনানি শেষে তার আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন।

আদালতে পল্টন থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শাহ আলম বিষয়টি জানিয়েছেন।

এর আগে, রোববার (২৯ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় তার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন মহিউদ্দিন শিকদার নামে গোপালগঞ্জের একজন বাসিন্দা। মামলায় আরেফী ছাড়াও বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন ও অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল হাসান সারওয়ার্দীকে আসামি করা হয়।

পরে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে সাভার থেকে হাসান সারওয়ার্দীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা কাকরাইল মোড় থেকে আরামবাগ পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন, সরকারি স্থাপনা ও সরকারি গাড়িসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করে।

সংঘর্ষের ফলে পুলিশের ৪১ জন আহত ও একজন সদস্য নিহত হন। একপর্যায়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বিকেল ৩টার দিকে মহাসমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করেন। পরে ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যমের সামনে উপস্থিত হন। সংবাদ সম্মেলনে এক নম্বর আসামি মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফী ওরফে মিয়া আরাফী নিজেকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা হিসেবে পরিচয় দেন।

সেখানে মিয়ান আরেফী বক্তব্যে দাবি করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার দিনে ১০ থেকে ১৫ বার যোগাযোগ হয় এবং মার্কিন সরকারের সবাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে। তিনি আরও দাবি করেন, তিনি মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরকেও বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেছেন।

পরে বিষয়টি নিয়ে সর্বমহলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এরপর ২৯ অক্টোবর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করে ডিবির হাতে তুলে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ।

মিয়া আরেফীকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) ডিবি প্রধান বলেন, আরেফী এসব বলতে চাননি। বাসা থেকে নিয়ে আসার সময় হাসান সারওয়ার্দী তাকে এসব কথা বলার জন্য শিখিয়ে দিয়েছিলেন। আর তাকে সহায়তা করেছেন বিএনপি নেতা ইশরাক ও অ্যাডভোকেট বেলাল নামে একজন।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: