ঢাকা , শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভোটকেন্দ্রের খরচের টাকার ভাগ নিয়ে আ.লীগ-ছাত্রলীগনেতার মারামারি

  • পোস্ট হয়েছে : ০৭:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩
  • 10

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের শূন্যপদে উপনির্বাচনে ব্যালট বইয়ে নৌকা মার্কায় অনবরত সিল মারার ঘটনা নিয়ে এখনও কমেনি উত্তেজনা। এরই মধ্যে এ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রের খরচের টাকা নিয়ে গতকাল বুধবার রাতে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগনেতার মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।

ওই মারামারির ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগনেতা সবুজ বাদী হয়ে ছাত্রলীগনেতা শাহীনসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বাদী সবুজ লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আর অভিযুক্ত শাহীন জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

গতকাল বুধবার (৮ নভেম্বর) রাতে পৌর শহরের মিয়া রাস্তার মাথায় আশুরা জেনারেল হাসপাতালে দুজনের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে আহত অবস্থায় তাঁরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

মামলায় অন্য অভিযুক্তরা হলেন জেলা ছাত্রলীগনেতা শাহিনের ছোটভাই আরজু, রাব্বি ও পাপন।

আওয়ামী লীগনেতা সবুজ ও জেলা ছাত্রলীগনেতা শাহীনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপনির্বাচনে পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের লাহারকান্দি উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে খরচের জন্য দল থেকে এক লাখ টাকা দেওয়া হয়। ওই টাকা নিয়ে ৪ নভেম্বর রাত থেকেই নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। শাহিন ওই টাকার হিসাবে চাইলে সবুজ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। গতকাল রাতে আশুরা জেনারেল হাসপাতালে ডা. জাকির হোসেনের চেম্বারে সবুজ ও শাহিনের মধ্যে কথা কাটিকাটি হয়। একপর্যায়ে দুজনই মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় প্রত্যক্ষদর্শী ডা. জাকিরসহ কয়েকজন তাদের শান্ত করেন। পরে তাঁরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

খবর পেয়ে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ আহম্মদ পাটওয়ারী তাঁদের দেখতে হাসপাতাল যান।

ছাত্রলীগনেতা শাহীন আলম জানান, কেন্দ্রে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার খুঁজে এনেছে। এতে দল থেকে দেওয়া টাকার হিসাব চাইলে সবুজ মামা আমার শার্টের কলার চেপে ধরে কিল-ঘুসি মারেন। তখন তাঁকে আমাকে ছাড়তে বলি। এরপরও তিনি শান্ত হননি। তার ছেলে শাওনকে ডেকে এনে দ্বিতীয় দফায় আমাকে মারধর করেন তিনি।

আওয়ামী লীগ নেতা মোরশেদ আলম সবুজ বলেন, দল থেকে কেন্দ্র খরচের জন্য এক লাখ টাকা দিয়েছে। সেখান থেকে ছাত্রলীগের জন্য শাহিনকে ২৯ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এর পরও সে টাকা দাবি করে। জাকির ডাক্তারের চেম্বারে তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সে আমার গায়ে হাত তোলে। খবর পেয়ে আমার ছেলে শাওন ঘটনাস্থল আসে। পরে শাহিনসহ অভিযুকতরা আমার ছেলেকেও মারধর করে।

এ বিসয়ে বক্তব্য জানতে ডা. জাকির হোসেনকে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, সবুজ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ভোটকেন্দ্রের খরচের টাকার ভাগ নিয়ে আ.লীগ-ছাত্রলীগনেতার মারামারি

পোস্ট হয়েছে : ০৭:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের শূন্যপদে উপনির্বাচনে ব্যালট বইয়ে নৌকা মার্কায় অনবরত সিল মারার ঘটনা নিয়ে এখনও কমেনি উত্তেজনা। এরই মধ্যে এ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রের খরচের টাকা নিয়ে গতকাল বুধবার রাতে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগনেতার মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।

ওই মারামারির ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগনেতা সবুজ বাদী হয়ে ছাত্রলীগনেতা শাহীনসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বাদী সবুজ লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আর অভিযুক্ত শাহীন জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

গতকাল বুধবার (৮ নভেম্বর) রাতে পৌর শহরের মিয়া রাস্তার মাথায় আশুরা জেনারেল হাসপাতালে দুজনের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে আহত অবস্থায় তাঁরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

মামলায় অন্য অভিযুক্তরা হলেন জেলা ছাত্রলীগনেতা শাহিনের ছোটভাই আরজু, রাব্বি ও পাপন।

আওয়ামী লীগনেতা সবুজ ও জেলা ছাত্রলীগনেতা শাহীনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপনির্বাচনে পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের লাহারকান্দি উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে খরচের জন্য দল থেকে এক লাখ টাকা দেওয়া হয়। ওই টাকা নিয়ে ৪ নভেম্বর রাত থেকেই নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। শাহিন ওই টাকার হিসাবে চাইলে সবুজ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। গতকাল রাতে আশুরা জেনারেল হাসপাতালে ডা. জাকির হোসেনের চেম্বারে সবুজ ও শাহিনের মধ্যে কথা কাটিকাটি হয়। একপর্যায়ে দুজনই মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় প্রত্যক্ষদর্শী ডা. জাকিরসহ কয়েকজন তাদের শান্ত করেন। পরে তাঁরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

খবর পেয়ে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ আহম্মদ পাটওয়ারী তাঁদের দেখতে হাসপাতাল যান।

ছাত্রলীগনেতা শাহীন আলম জানান, কেন্দ্রে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার খুঁজে এনেছে। এতে দল থেকে দেওয়া টাকার হিসাব চাইলে সবুজ মামা আমার শার্টের কলার চেপে ধরে কিল-ঘুসি মারেন। তখন তাঁকে আমাকে ছাড়তে বলি। এরপরও তিনি শান্ত হননি। তার ছেলে শাওনকে ডেকে এনে দ্বিতীয় দফায় আমাকে মারধর করেন তিনি।

আওয়ামী লীগ নেতা মোরশেদ আলম সবুজ বলেন, দল থেকে কেন্দ্র খরচের জন্য এক লাখ টাকা দিয়েছে। সেখান থেকে ছাত্রলীগের জন্য শাহিনকে ২৯ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এর পরও সে টাকা দাবি করে। জাকির ডাক্তারের চেম্বারে তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সে আমার গায়ে হাত তোলে। খবর পেয়ে আমার ছেলে শাওন ঘটনাস্থল আসে। পরে শাহিনসহ অভিযুকতরা আমার ছেলেকেও মারধর করে।

এ বিসয়ে বক্তব্য জানতে ডা. জাকির হোসেনকে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, সবুজ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: