স্পোর্টস ডেস্ক: বিশ্বকাপের চলতি আসরে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে নেদারল্যান্ডস ও শ্রীলংকাকে হারিয়ে ফুরফুরে মেজাজেই ছিল পাকিস্তান।
এরপর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত, বিশ্বকাপের রেকর্ড পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া, তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ আফগানিস্তানের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হেরে সেমিফাইনালের আগেই বিদায়ের শঙ্কায় পড়ে যায় পাকিস্তান।
টানা চার ম্যাচে হারের পর বাংলাদেশ ম্যাচে পরাজয়ের বৃত্ত থেকে বের হয় পাকিস্তান। পরের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে হারায় বাবর আজমরা। কিন্তু শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে সেমিফাইনালের আগেই বিদায় নেয় ১৯৯২ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের এমন বাজে পারফরম্যান্সের কারণে ঘরে-বাইরে বাবর আজমেদের নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। পাকিস্তানের স্থানীয় একটি চ্যালেনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের সাবেক তারকা পেসার মোহাম্মদ আমির বলেন, সিস্টেম কী? এটি কোনো দেয়াল নয়। পাকিস্তান ক্রিকেটকে পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পাঁচ-ছয় জনকে। অধিনায়কও তাদের মধ্যে একজন।
আমির আরও বলেন, ১৯৯২ সালে ইমরান খানের অধীনে আমরা বিশ্বকাপ জিতেছিলাম, সিস্টেম একই ছিল। ১৯৯৯ সালে আমাদের দল বিশ্বকাপে দাপট দেখিয়েছিল। সে আসরে পাকিস্তান ফাইনালে পৌঁছেছিল। আমরা একই সিস্টেমে ২০০৯ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিলাম। একই সিস্টেমে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিলাম।
আমির আরও বলেন, বাবর গত চার বছর ধরে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। নিজের দলকে নিজেই গড়ে তুলেছেন। বাটলার আমাদের সিস্টেমের অংশ নয়, তাহলে ইংল্যান্ড এত খারাপ খেললো কেন? ইংল্যান্ডের সিস্টেমেরও কি পরিবর্তন দরকার? ২০১৫ বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর মরগান (ইংল্যান্ড অধিনায়ক) বলেছিল যে, আমি এই ধরনের ক্রিকেট খেলতে চাই, আমি এই ২৫ জন খেলোয়াড় চাই।
আমির আরও বলেন, সিস্টেম একই রকম রয়ে গেলো, অধিনায়কই তার মানসিকতার পরিবর্তন করেছে। যতক্ষণ অধিনায়কের মানসিকতা না বদলাবে, ততক্ষণ সিস্টেম কিছুই করতে পারবে না। যে ফখরকে প্রথম ম্যাচের পর বেঞ্চে বসানো আর আবরার আহমেদ না খেলানো কি সিস্টেম ছিল?
তিনি বলেন, আমির বলেন, ‘আমরা বলি, ধোনি ভারতের ক্রিকেট পরিবর্তন করেছেন; কিন্তু তিনি কখনোই সিস্টেম পরিবর্তন করেননি। লোকজন বলে যে, তিনি (ধোনি) কতদিন জাদেজা এবং অশ্বিনকে সুযোগ দিতে থাকবেন। আর এখন আমরা বলি, জাদেজা বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার।
পাকিস্তান দলের সহঅধিনায়ক শাদাব খান বলেন, এটি সাংস্কৃতিক দ্বিমুখিতাকে ফুটিয়ে তোলে। যখন আমরা ম্যাচ জয় করি, তখন এটিকে অধিনায়কের একক জয় বলে স্বীকৃতি দেই না। কিন্তু যখনই আমরা হেরে যাই, তখন সব দোষ অধিনায়কের ঘাড়ে চাপিয়ে দেই। এটি পরিবর্তন হওয়া জরুরি।
বিজনেস আওয়ার/এএইচএ