ঢাকা , সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফ্রান্সের ১৪-০ গোলে জয়, এমবাপ্পের হ্যাটট্রিক

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩
  • 13

স্পোর্টস ডেস্ক: আগামী ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে খেলা ফ্রান্স আগেই নিশ্চিত করে ফেলেছিল। বাছাই পর্বের সবগুলো ম্যাচেই জয় পাওয়া ফ্রান্সের সামনে যে জিব্রাল্টারের মতো পুঁচকে দলটি পাত্তা পাবে না তা জানাই ছিল। দেখার বিষয় ছিল কিলিয়ান এমবাপ্পের মতো বিশ্বসেরাদের সামনে কেমন করে দলটি। যা ভাবা হচ্ছিল, তাই ঘটেছে। বাছাই পর্বের ম্যাচে জিব্রাল্টারকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্বের খেলায় জিব্রাল্টারকে ১৪-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে শক্তিশালী ফ্রান্স। হ্যাটট্রিক করেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ইউরোর বাছাই পর্বে এটিই সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয়। এর আগের সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ডটি ছিল জার্মানির দখলে। ২০০৮ সালের ইউরোর বাছাই পর্বে সান ম্যারিনোকে ১৩-০ গোলে হারিয়েছিল জার্মানি।

ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ের দ্বিতীয় দল ফ্রান্স। অন্যদিকে জিব্রাল্টারের র‍্যাঙ্কিং ২০১! শক্তির পার্থক্য বুঝতে র‍্যাঙ্কিংয়ে চোখ বুলালেই যথেষ্ট। গ্রুপ বি’তে থাকা জিব্রাল্টার বাছাই পর্বে খেলা ৭ ম্যাচের প্রতিটিতেই হেরেছে। এই সাত ম্যাচে তারা হজম করেছে ৩৫ গোল, বিপরীতে একটি গোলও করতে পারেনি। অন্যদিকে ফ্রান্স প্রতিটি ম্যাচেই জয় নিশ্চিত করে সবার আগে ইউরো ২০২৬ এ স্থান নিশ্চিত করেছে। এই সাত ম্যাচে ২৭ গোল করে হজম করেছে মাত্র ১ গোল।

এদিন এমবাপ্পের হ্যাটট্রিক ছাড়াও জোড়া গোল করেছেন কিংসলে কোমান ও অলিভিয়ের জিরুদ। এছাড়া মার্কাস থুরাম, ওয়ারেন জাইরে-এমেরি, জোনাথন ক্লস, ইয়োসফ ফোফানা, আদ্রিয়ান রাবিওট ও ওসমান দেম্বেলে একটি করে গোল করেন। বাকি গোলটি ইথান স্যান্তোসের আত্মঘাতী।

ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই স্যান্তোসের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। পরের মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন থুরাম। ১৬ মিনিটে গোল করেন জাইরে-এমেরি। এদিনই ফ্রান্সের হয়ে অভিষেক হয়েছে এই ১৭ বছর বয়সীর। এই গোলেই তিনি ফ্রান্সের পক্ষে কনিষ্ঠতম গোলদাতায় পরিণত হয়েছেন। তবে এর কিছুক্ষণ পরেই জিব্রাল্টারের এক খেলোয়াড়ের কড়া ট্যাকলে আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন পিএসজির এই মিডফিল্ডার।

৩০ মিনিটে নিজের প্রথম গোলটি করেন এমবাপ্পে। এই অর্ধেই ৭-০ গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। প্রথমার্ধের ৩৪ মিনিটে জনাথন ক্লস, ৩৬ মিনিটে কিংসলে কোমান ও ৩৭ মিনিটে ফোফানা গোল করেন।

দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কিছুক্ষণ ফ্রান্সের গোলবন্যায় বাধ দিতে সক্ষম হয় জিব্রাল্টার। এটাই ম্যাচে তাদের একমাত্র সফলতা। ৬৩ মিনিটে গোল করেন রাবিওট। এই অর্ধে তার গোলের পর ফের গোলবন্যা শুরু হয়। ৬৫ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন কোমান।

৭৪ ও ৮২ মিনিটে আরও দুই গোল করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। এর আগে ৭৩ মিনিটে গোলের দেখা পান দেম্বেলেও।

গোল উৎসবের দিন চুপচাপ বসে থাকেননি ফ্রান্সের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা অলিভিয়ের জিরুদও। বদলি হিসেবে নেমে ৮৯ ও ৯১ মিনিটে শেষ গোল দুটি করেন এসি মিলানের এই ফরোয়ার্ড। মজার বিষয় এদিন ফ্রান্সের পক্ষে কনিষ্ঠতম গোলদাতা ও বয়ঃজেষ্ঠ গোলদাতার মধ্যে বয়সের তফাত পাক্কা ২০ বছর!

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ফ্রান্সের ১৪-০ গোলে জয়, এমবাপ্পের হ্যাটট্রিক

পোস্ট হয়েছে : ১২:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক: আগামী ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে খেলা ফ্রান্স আগেই নিশ্চিত করে ফেলেছিল। বাছাই পর্বের সবগুলো ম্যাচেই জয় পাওয়া ফ্রান্সের সামনে যে জিব্রাল্টারের মতো পুঁচকে দলটি পাত্তা পাবে না তা জানাই ছিল। দেখার বিষয় ছিল কিলিয়ান এমবাপ্পের মতো বিশ্বসেরাদের সামনে কেমন করে দলটি। যা ভাবা হচ্ছিল, তাই ঘটেছে। বাছাই পর্বের ম্যাচে জিব্রাল্টারকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্বের খেলায় জিব্রাল্টারকে ১৪-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে শক্তিশালী ফ্রান্স। হ্যাটট্রিক করেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ইউরোর বাছাই পর্বে এটিই সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয়। এর আগের সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ডটি ছিল জার্মানির দখলে। ২০০৮ সালের ইউরোর বাছাই পর্বে সান ম্যারিনোকে ১৩-০ গোলে হারিয়েছিল জার্মানি।

ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ের দ্বিতীয় দল ফ্রান্স। অন্যদিকে জিব্রাল্টারের র‍্যাঙ্কিং ২০১! শক্তির পার্থক্য বুঝতে র‍্যাঙ্কিংয়ে চোখ বুলালেই যথেষ্ট। গ্রুপ বি’তে থাকা জিব্রাল্টার বাছাই পর্বে খেলা ৭ ম্যাচের প্রতিটিতেই হেরেছে। এই সাত ম্যাচে তারা হজম করেছে ৩৫ গোল, বিপরীতে একটি গোলও করতে পারেনি। অন্যদিকে ফ্রান্স প্রতিটি ম্যাচেই জয় নিশ্চিত করে সবার আগে ইউরো ২০২৬ এ স্থান নিশ্চিত করেছে। এই সাত ম্যাচে ২৭ গোল করে হজম করেছে মাত্র ১ গোল।

এদিন এমবাপ্পের হ্যাটট্রিক ছাড়াও জোড়া গোল করেছেন কিংসলে কোমান ও অলিভিয়ের জিরুদ। এছাড়া মার্কাস থুরাম, ওয়ারেন জাইরে-এমেরি, জোনাথন ক্লস, ইয়োসফ ফোফানা, আদ্রিয়ান রাবিওট ও ওসমান দেম্বেলে একটি করে গোল করেন। বাকি গোলটি ইথান স্যান্তোসের আত্মঘাতী।

ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই স্যান্তোসের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। পরের মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন থুরাম। ১৬ মিনিটে গোল করেন জাইরে-এমেরি। এদিনই ফ্রান্সের হয়ে অভিষেক হয়েছে এই ১৭ বছর বয়সীর। এই গোলেই তিনি ফ্রান্সের পক্ষে কনিষ্ঠতম গোলদাতায় পরিণত হয়েছেন। তবে এর কিছুক্ষণ পরেই জিব্রাল্টারের এক খেলোয়াড়ের কড়া ট্যাকলে আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন পিএসজির এই মিডফিল্ডার।

৩০ মিনিটে নিজের প্রথম গোলটি করেন এমবাপ্পে। এই অর্ধেই ৭-০ গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। প্রথমার্ধের ৩৪ মিনিটে জনাথন ক্লস, ৩৬ মিনিটে কিংসলে কোমান ও ৩৭ মিনিটে ফোফানা গোল করেন।

দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কিছুক্ষণ ফ্রান্সের গোলবন্যায় বাধ দিতে সক্ষম হয় জিব্রাল্টার। এটাই ম্যাচে তাদের একমাত্র সফলতা। ৬৩ মিনিটে গোল করেন রাবিওট। এই অর্ধে তার গোলের পর ফের গোলবন্যা শুরু হয়। ৬৫ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন কোমান।

৭৪ ও ৮২ মিনিটে আরও দুই গোল করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। এর আগে ৭৩ মিনিটে গোলের দেখা পান দেম্বেলেও।

গোল উৎসবের দিন চুপচাপ বসে থাকেননি ফ্রান্সের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা অলিভিয়ের জিরুদও। বদলি হিসেবে নেমে ৮৯ ও ৯১ মিনিটে শেষ গোল দুটি করেন এসি মিলানের এই ফরোয়ার্ড। মজার বিষয় এদিন ফ্রান্সের পক্ষে কনিষ্ঠতম গোলদাতা ও বয়ঃজেষ্ঠ গোলদাতার মধ্যে বয়সের তফাত পাক্কা ২০ বছর!

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: