ঢাকা , রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিংজিয়া-গানসুতে কয়েকশ মসজিদ বন্ধ করেছে চীন

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩
  • 7

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনা কর্তৃপক্ষ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ‘সিনিসাইজ’ বা ‘চীনাকরণ’ করার বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে জিনজিয়াংয়ের পর চীনের অন্য দুই মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চল নিংজিয়া এবং গানসুর উত্তরাঞ্চলে শত শত মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) বলছে, চীনের নিংজিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল এবং গানসু প্রদেশে মসজিদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে।

চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিসিপি) দীর্ঘকাল ধরে চীনের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের উপর শক্ত দমনপীড়ন বজায় রেখেছে। ২০১৬ সালে শি জিনপিং ধর্ম গুলোকে চীনাকরণের আহ্বান জানিয়েছিলেন, তখন থেকে চীনের মসজিদ গুলোতে কাঠামোগত এবং আচারিক পরিবর্তন বা বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনা বৃদ্ধি পেতে থাকে।

এপ্রিল ২০১৮ সালে, বেইজিং একটি অনুশাসন জারি করে যেখানে বলা হয়, সরকারি কর্মকর্তাদের উচিত ইসলামি স্থাপনা নির্মাণ এবং বিন্যাস কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা এবং ‘বেশি ধ্বংস ও কম নির্মাণের নীতি’ মেনে চলা।

এইচআরডব্লিউ বলছে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বন্ধ বা কাঠামো পরিবর্তিত মসজিদের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করতে তারা সক্ষম হয়নি, তবে চীনের সরকারি প্রতিবেদন অনুসারে এটি কয়েকশ হতে পারে। ঝোংওয়েই ১০ লাখেরও বেশি বাসিন্দার শহর। এখানকার কর্তৃপক্ষ ২০১৯ সালে বলেছিল তারা ২১৪টি মসজিদের কাঠামো পরিবর্তন করেছে, ৫৮টি একিভূত করেছে এবং ৩৭টি অবৈধভাবে নিবন্ধিত ধর্মীয় স্থাপনা বন্ধ করেছে। জিংগুই শহরে, কর্তৃপক্ষ বলেছে যে তারা ১৩০টিরও বেশি ‘ইসলামী স্থাপত্য’ ‘সংশোধন’ করেছে।

চীনা মসজিদের এই পরিণতি শুধু নিংজিয়া এবং গানসুতে সীমাবদ্ধ নয়। অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউট বলছে ২০১৭ সাল থেকে জিনজিয়াংয়ের ১৬ হাজার মসজিদের ৬৫ শতাংশ ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

নিংজিয়া-গানসুতে কয়েকশ মসজিদ বন্ধ করেছে চীন

পোস্ট হয়েছে : ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনা কর্তৃপক্ষ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ‘সিনিসাইজ’ বা ‘চীনাকরণ’ করার বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে জিনজিয়াংয়ের পর চীনের অন্য দুই মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চল নিংজিয়া এবং গানসুর উত্তরাঞ্চলে শত শত মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) বলছে, চীনের নিংজিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল এবং গানসু প্রদেশে মসজিদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে।

চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিসিপি) দীর্ঘকাল ধরে চীনের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের উপর শক্ত দমনপীড়ন বজায় রেখেছে। ২০১৬ সালে শি জিনপিং ধর্ম গুলোকে চীনাকরণের আহ্বান জানিয়েছিলেন, তখন থেকে চীনের মসজিদ গুলোতে কাঠামোগত এবং আচারিক পরিবর্তন বা বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনা বৃদ্ধি পেতে থাকে।

এপ্রিল ২০১৮ সালে, বেইজিং একটি অনুশাসন জারি করে যেখানে বলা হয়, সরকারি কর্মকর্তাদের উচিত ইসলামি স্থাপনা নির্মাণ এবং বিন্যাস কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা এবং ‘বেশি ধ্বংস ও কম নির্মাণের নীতি’ মেনে চলা।

এইচআরডব্লিউ বলছে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বন্ধ বা কাঠামো পরিবর্তিত মসজিদের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করতে তারা সক্ষম হয়নি, তবে চীনের সরকারি প্রতিবেদন অনুসারে এটি কয়েকশ হতে পারে। ঝোংওয়েই ১০ লাখেরও বেশি বাসিন্দার শহর। এখানকার কর্তৃপক্ষ ২০১৯ সালে বলেছিল তারা ২১৪টি মসজিদের কাঠামো পরিবর্তন করেছে, ৫৮টি একিভূত করেছে এবং ৩৭টি অবৈধভাবে নিবন্ধিত ধর্মীয় স্থাপনা বন্ধ করেছে। জিংগুই শহরে, কর্তৃপক্ষ বলেছে যে তারা ১৩০টিরও বেশি ‘ইসলামী স্থাপত্য’ ‘সংশোধন’ করেছে।

চীনা মসজিদের এই পরিণতি শুধু নিংজিয়া এবং গানসুতে সীমাবদ্ধ নয়। অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউট বলছে ২০১৭ সাল থেকে জিনজিয়াংয়ের ১৬ হাজার মসজিদের ৬৫ শতাংশ ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: