ঢাকা , শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খেলাপি ঋণ কমলেও বেড়েছে প্রভিশন ঘাটতি

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩
  • 7

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: ঋণের বিপরীতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা বাবদ প্রভিশন রাখতে ব্যর্থ হয়েছে সরকারি ও বেসরকারি খাতের ৯টি ব্যাংক।

সেপ্টেম্বর শেষে প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার ২৭১ কোটি টাকা। প্রভিশন ঘাটতি বাড়ার কারণে ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতির পরিমাণও বেড়ে যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

চলতি বছরের জুন মাসে এ ঘাটতির পরিমাণ ছিল ২১ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা। তিন মাসে বেড়েছে ৩ হাজার ৮০৭ কোটি টাকা।

সাধারণত খেলাপি ঋণের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষিত হয়। খেলাপি ঋণ কমলে বা বাড়লে প্রভিশন কমে বা বাড়ে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে ঘটল উল্টো ঘটনা। খেলাপি ঋণ কমার সঙ্গে প্রভিশন ঘাটতি না কমে বেড়েছে।

তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। তিন মাস আগে জুন প্রান্তিকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল এক লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোকে পরিচালন মুনাফার ০.৫ থেকে ৫ শতাংশ সাধারণ ক্যাটাগরির ঋণের বিপরীতে প্রভিশন হিসেবে রাখতে হয়ে।

এ ছাড়া ব্যাড অ্যান্ড লস বা কু-ঋণ, ডাউটফুল বা সন্দেহজনক ঋণ এবং সাব-স্ট্যান্ডার্ড বা প্রাথমিক মানের খেলাপি ঋণের বিপরীতে যথাক্রমে শতভাগ, ৫০ শতাংশ ও ২০ শতাংশ করে হারে প্রভিশন সংরক্ষণ করা হয়।

আর্থিক খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুনঃতফসিলিকরণ বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুনাফা থেকে প্রভিশন সংরক্ষণ করার প্রয়োজন থাকলেও কয়েকটি ব্যাংক তা করতে পারেনি। বরং কয়েকটি ব্যাংকের নতুন করে খেলাপি বেড়ে প্রভিশন ঘাটতির হার বেড়েছে।

রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের দুটি ও বেসরকারি একটি ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ার কারণে ব্যাংক খাতে প্রভিশন ঘাটতির এ ঘটনা ঘটেছে।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

খেলাপি ঋণ কমলেও বেড়েছে প্রভিশন ঘাটতি

পোস্ট হয়েছে : ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: ঋণের বিপরীতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা বাবদ প্রভিশন রাখতে ব্যর্থ হয়েছে সরকারি ও বেসরকারি খাতের ৯টি ব্যাংক।

সেপ্টেম্বর শেষে প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার ২৭১ কোটি টাকা। প্রভিশন ঘাটতি বাড়ার কারণে ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতির পরিমাণও বেড়ে যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

চলতি বছরের জুন মাসে এ ঘাটতির পরিমাণ ছিল ২১ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা। তিন মাসে বেড়েছে ৩ হাজার ৮০৭ কোটি টাকা।

সাধারণত খেলাপি ঋণের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষিত হয়। খেলাপি ঋণ কমলে বা বাড়লে প্রভিশন কমে বা বাড়ে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে ঘটল উল্টো ঘটনা। খেলাপি ঋণ কমার সঙ্গে প্রভিশন ঘাটতি না কমে বেড়েছে।

তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। তিন মাস আগে জুন প্রান্তিকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল এক লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোকে পরিচালন মুনাফার ০.৫ থেকে ৫ শতাংশ সাধারণ ক্যাটাগরির ঋণের বিপরীতে প্রভিশন হিসেবে রাখতে হয়ে।

এ ছাড়া ব্যাড অ্যান্ড লস বা কু-ঋণ, ডাউটফুল বা সন্দেহজনক ঋণ এবং সাব-স্ট্যান্ডার্ড বা প্রাথমিক মানের খেলাপি ঋণের বিপরীতে যথাক্রমে শতভাগ, ৫০ শতাংশ ও ২০ শতাংশ করে হারে প্রভিশন সংরক্ষণ করা হয়।

আর্থিক খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুনঃতফসিলিকরণ বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুনাফা থেকে প্রভিশন সংরক্ষণ করার প্রয়োজন থাকলেও কয়েকটি ব্যাংক তা করতে পারেনি। বরং কয়েকটি ব্যাংকের নতুন করে খেলাপি বেড়ে প্রভিশন ঘাটতির হার বেড়েছে।

রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের দুটি ও বেসরকারি একটি ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ার কারণে ব্যাংক খাতে প্রভিশন ঘাটতির এ ঘটনা ঘটেছে।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: