ঢাকা , রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডলার সংকট কাটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন উদ্যোগ

  • পোস্ট হয়েছে : ০৬:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩
  • 3

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: দেশে ডলার সংকট কাটাতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে অফশোর ব্যাংকিংয়ে মাধ্যমে হিসাব খুলে বৈদেশিক মুদ্রা বা ডলার আমানত রাখতে পারবেন গ্রাহক। এই আমানতের বিপরীতে সুদ মিলবে ৭ থেকে প্রায় ৯ শতাংশ।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, অফশোর ব্যাংকিং সেবার আওতায় আমানত হিসাব খোলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। মুদ্রা ভিত্তিক রেফারেন্স রেটের সঙ্গে মার্কআপ যোগ করে সুদের হার নির্ধারণ করতে হবে।

তিন মাস থেকে ১ বছর মেয়াদি আমানতের উপর রেফারেন্স রেটসহ ১ দশমিক ৫০ শতাংশ, ১ বছর থেকে ৩ বছর সময়ের জন্য রেফারেন্স রেটসহ ২ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং ৩ বছর থেকে ৫ বছর সময়ের জন্য রেফারেন্স রেটসহ ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ সুদ পাবে।

এখন রেফারেন্স রেট রয়েছে সাড়ে ৫ শতাংশ। ফলে তিন মাস থেকে ১ বছর মেয়াদি অফশোর ব্যাংকিংয়ে আমানতের উপর মিলবে ৭ শতাংশ সুদ, ১ বছর থেকে ৩ বছর মেয়াদে পাবে ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং ৩ বছর থেকে ৫ বছর মেয়াদে মিলবে ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

বর্তমানে ব্যাংকগুলো আমানতের উপর ৫ থেকে ৬ শতাংশ সুদ দেয়। নতুন সেবা অফশোর ব্যাংকিংয়ে আমানতের সুদ মিলবে প্রায় ৯ শতাংশ।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বাইরে অবস্থানকারী অনিবাসী বাংলাদেশি, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্যক্তিবর্গ, বিদেশি নাগরিক, বিদেশে নিবন্ধিত ও পরিচালিত প্রতিষ্ঠান এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী আলোচ্য আমানত হিসাব পরিচালনার সুযোগ পাবে। অনিবাসীদের পাশাপাশি অফশোর ব্যাংকিং নিবাসী ব্যক্তি ও বিশেষায়িত অঞ্চলে কার্যরত টাইপ-এ, টাইপ-বি ও টাইপ-সি শিল্পসহ প্রতিষ্ঠানকে আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং হিসাব খোলার সুযোগ প্রদান করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বিদেশি পক্ষের সঙ্গে হিসাবধারীর যৌক্তিক সম্পর্ক থাকতে হবে। হিসাবধারী বিদেশি পক্ষের সহায়ক হিসেবে কাজ করবে এবং সে অনুযায়ী তহবিল ব্যবহার হবে। সকল ক্ষেত্রে বিদেশ থেকে প্রাপ্ত ইনওয়ার্ড রেমিট্যান্স আলোচ্য হিসাবে জমা হবে।

নতুন বিধানে পরিচালিত হিসাবের স্থিতি প্রয়োজনীয় স্থানীয় ব্যয় এবং বিভিন্ন বিনিয়োগসহ হিসাবের স্থিতি সুদসহ প্রয়োজন অর্থ বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এর ফলে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়বে পাশাপাশি ডলার সংকট কাটাতে সহায়তা করবে।

অফশোর ব্যাংকিং কী

অফশোর ব্যাংকিং হলো ব্যাংকের অভ্যন্তরে পৃথক ব্যাংকিং সেবা। বিদেশি কোম্পানিকে ঋণ প্রদান ও বিদেশি উৎস থেকে আমানত সংগ্রহের সুযোগ রয়েছে অফশোর ব্যাংকিংয়ে। স্থানীয় মুদ্রার পরিবর্তে বৈদেশিক মুদ্রায় হিসাব হয় অফশোর ব্যাংকিংয়ে।
বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ডলার সংকট কাটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন উদ্যোগ

পোস্ট হয়েছে : ০৬:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: দেশে ডলার সংকট কাটাতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে অফশোর ব্যাংকিংয়ে মাধ্যমে হিসাব খুলে বৈদেশিক মুদ্রা বা ডলার আমানত রাখতে পারবেন গ্রাহক। এই আমানতের বিপরীতে সুদ মিলবে ৭ থেকে প্রায় ৯ শতাংশ।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, অফশোর ব্যাংকিং সেবার আওতায় আমানত হিসাব খোলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। মুদ্রা ভিত্তিক রেফারেন্স রেটের সঙ্গে মার্কআপ যোগ করে সুদের হার নির্ধারণ করতে হবে।

তিন মাস থেকে ১ বছর মেয়াদি আমানতের উপর রেফারেন্স রেটসহ ১ দশমিক ৫০ শতাংশ, ১ বছর থেকে ৩ বছর সময়ের জন্য রেফারেন্স রেটসহ ২ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং ৩ বছর থেকে ৫ বছর সময়ের জন্য রেফারেন্স রেটসহ ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ সুদ পাবে।

এখন রেফারেন্স রেট রয়েছে সাড়ে ৫ শতাংশ। ফলে তিন মাস থেকে ১ বছর মেয়াদি অফশোর ব্যাংকিংয়ে আমানতের উপর মিলবে ৭ শতাংশ সুদ, ১ বছর থেকে ৩ বছর মেয়াদে পাবে ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং ৩ বছর থেকে ৫ বছর মেয়াদে মিলবে ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

বর্তমানে ব্যাংকগুলো আমানতের উপর ৫ থেকে ৬ শতাংশ সুদ দেয়। নতুন সেবা অফশোর ব্যাংকিংয়ে আমানতের সুদ মিলবে প্রায় ৯ শতাংশ।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বাইরে অবস্থানকারী অনিবাসী বাংলাদেশি, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্যক্তিবর্গ, বিদেশি নাগরিক, বিদেশে নিবন্ধিত ও পরিচালিত প্রতিষ্ঠান এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী আলোচ্য আমানত হিসাব পরিচালনার সুযোগ পাবে। অনিবাসীদের পাশাপাশি অফশোর ব্যাংকিং নিবাসী ব্যক্তি ও বিশেষায়িত অঞ্চলে কার্যরত টাইপ-এ, টাইপ-বি ও টাইপ-সি শিল্পসহ প্রতিষ্ঠানকে আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং হিসাব খোলার সুযোগ প্রদান করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বিদেশি পক্ষের সঙ্গে হিসাবধারীর যৌক্তিক সম্পর্ক থাকতে হবে। হিসাবধারী বিদেশি পক্ষের সহায়ক হিসেবে কাজ করবে এবং সে অনুযায়ী তহবিল ব্যবহার হবে। সকল ক্ষেত্রে বিদেশ থেকে প্রাপ্ত ইনওয়ার্ড রেমিট্যান্স আলোচ্য হিসাবে জমা হবে।

নতুন বিধানে পরিচালিত হিসাবের স্থিতি প্রয়োজনীয় স্থানীয় ব্যয় এবং বিভিন্ন বিনিয়োগসহ হিসাবের স্থিতি সুদসহ প্রয়োজন অর্থ বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এর ফলে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়বে পাশাপাশি ডলার সংকট কাটাতে সহায়তা করবে।

অফশোর ব্যাংকিং কী

অফশোর ব্যাংকিং হলো ব্যাংকের অভ্যন্তরে পৃথক ব্যাংকিং সেবা। বিদেশি কোম্পানিকে ঋণ প্রদান ও বিদেশি উৎস থেকে আমানত সংগ্রহের সুযোগ রয়েছে অফশোর ব্যাংকিংয়ে। স্থানীয় মুদ্রার পরিবর্তে বৈদেশিক মুদ্রায় হিসাব হয় অফশোর ব্যাংকিংয়ে।
বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: