ঢাকা , রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিরসরাইয়ে বাড়লো পেঁয়াজ প্রতি কেজিতে ৫০ টাকা

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 5

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় ৫ ঘণ্টার ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৫০ টাকা বেড়েছে। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) ভারতের নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পরই ১১০ টাকার পেঁয়াজ এক লাফে ১৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ১১০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। দুপুর ২টার দিকে ভারত আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রাখার ঘোষণার পর সন্ধ্যা ৭টা থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত প্রতিকেজি পেঁয়াজ ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

উপজেলার বড়দারোগাহাট, কমলদহ, বড়তাকিয়া, আবুতোরাব, মিরসরাই সদর, মিঠাছড়া বাজারসহ ১৬ ইউনিয়নে দুই পৌরসভায় অবস্থিত সব বাজারে এ চিত্র দেখা গেছে।

ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের মধ্যম ওয়াহেদপুর এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ খানসাব বলেন, শুক্রবার সকালে পেঁয়াজ কিনলাম ১১০ টাকায়। সন্ধ্যায় সেই একই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা দরে। তাদের আগের কেনা পেঁয়াজ ৪-৫ ঘণ্টার ব্যবধানে কেজি ৫০ টাকা বেড়ে গেছে।

মিরসরাই সদরে বাজার করতে আসা এনামুল হক নামে এক ক্রেতা বলেন, গলাকাটা হিসাব ব্যবসায়ীদের। ভারত মাত্র রপ্তানি বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে, তা শুনে কেজিতে ৫০ টাকা বেশি বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। অথচ এ নিয়ে প্রশাসনের কোনো ভূমিকা দেখছি না। হয়তো আজ-কালকের মধ্যে প্রতি কেজি ২০০ টাকাও বিক্রি করতে পারে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্কুল শিক্ষক বলেন, আমরা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি। তাদের খেয়াল খুশি মতো জিনিসের দাম নিচ্ছে। আগের কেনা পেঁয়াজ তারা এখন প্রতি কেজিতে ৫০ টাকা বেশি নিচ্ছে। মানুষের প্রতি অন্যায় করছে ব্যবসায়ীরা।

বড়তাকিয়া বাজারে নুর হোসেন নামের এক মুদিদোকানি বলেন, সকালে ১০০ টাকা পাইকারি মূল্যে ৪০ বস্তা অর্ডার করেছি। কিন্তু দুপুরে আমাকে স্টক আউট বলে আর পেঁয়াজ দেয়নি। পরবর্তীতে ১৫০ টাকা হলে নেওয়ার কথা বলেন আড়তদার।

জানতে চাইলে বারইয়ারহাট পৌর বাজারের ব্যবসায়ী সাব্বির মিয়া বলেন, সকালে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০-১১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ভারতীয় পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের খবরে এখানে প্রতি কেজি পেঁয়াজে ৫০-৬০ টাকা বেড়ে যায়।

মিরসরাই সদরের মুদি দোকানি আব্দুর রহিম বলেন, প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১৬০ টাকা দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। আমার দোকানে পেঁয়াজ ছিল না। মোজ্জাম্মেল সওদাগর থেকে পাইকারি ১৪০ টাকা করে এক মণ কিনে এনেছি। ১৬০ টাকায় বিক্রি না করলে লাভ হবে না।

মিরসরাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজানুর রহমান বলেন, বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি জানা নেই। আগের কেনা পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা যদি সংকটের অজুহাতে হঠাৎ কেজিতে ৫০ টাকা বেশি নেয়, এটা অন্যায়। আমি বাজারে গিয়ে মনিটরিং করবো এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।

বিজনেস আওয়ার / ৯ ডিসেম্বর / বিএইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

মিরসরাইয়ে বাড়লো পেঁয়াজ প্রতি কেজিতে ৫০ টাকা

পোস্ট হয়েছে : ১২:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় ৫ ঘণ্টার ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৫০ টাকা বেড়েছে। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) ভারতের নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পরই ১১০ টাকার পেঁয়াজ এক লাফে ১৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ১১০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। দুপুর ২টার দিকে ভারত আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রাখার ঘোষণার পর সন্ধ্যা ৭টা থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত প্রতিকেজি পেঁয়াজ ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

উপজেলার বড়দারোগাহাট, কমলদহ, বড়তাকিয়া, আবুতোরাব, মিরসরাই সদর, মিঠাছড়া বাজারসহ ১৬ ইউনিয়নে দুই পৌরসভায় অবস্থিত সব বাজারে এ চিত্র দেখা গেছে।

ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের মধ্যম ওয়াহেদপুর এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ খানসাব বলেন, শুক্রবার সকালে পেঁয়াজ কিনলাম ১১০ টাকায়। সন্ধ্যায় সেই একই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা দরে। তাদের আগের কেনা পেঁয়াজ ৪-৫ ঘণ্টার ব্যবধানে কেজি ৫০ টাকা বেড়ে গেছে।

মিরসরাই সদরে বাজার করতে আসা এনামুল হক নামে এক ক্রেতা বলেন, গলাকাটা হিসাব ব্যবসায়ীদের। ভারত মাত্র রপ্তানি বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে, তা শুনে কেজিতে ৫০ টাকা বেশি বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। অথচ এ নিয়ে প্রশাসনের কোনো ভূমিকা দেখছি না। হয়তো আজ-কালকের মধ্যে প্রতি কেজি ২০০ টাকাও বিক্রি করতে পারে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্কুল শিক্ষক বলেন, আমরা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি। তাদের খেয়াল খুশি মতো জিনিসের দাম নিচ্ছে। আগের কেনা পেঁয়াজ তারা এখন প্রতি কেজিতে ৫০ টাকা বেশি নিচ্ছে। মানুষের প্রতি অন্যায় করছে ব্যবসায়ীরা।

বড়তাকিয়া বাজারে নুর হোসেন নামের এক মুদিদোকানি বলেন, সকালে ১০০ টাকা পাইকারি মূল্যে ৪০ বস্তা অর্ডার করেছি। কিন্তু দুপুরে আমাকে স্টক আউট বলে আর পেঁয়াজ দেয়নি। পরবর্তীতে ১৫০ টাকা হলে নেওয়ার কথা বলেন আড়তদার।

জানতে চাইলে বারইয়ারহাট পৌর বাজারের ব্যবসায়ী সাব্বির মিয়া বলেন, সকালে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০-১১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ভারতীয় পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের খবরে এখানে প্রতি কেজি পেঁয়াজে ৫০-৬০ টাকা বেড়ে যায়।

মিরসরাই সদরের মুদি দোকানি আব্দুর রহিম বলেন, প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১৬০ টাকা দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। আমার দোকানে পেঁয়াজ ছিল না। মোজ্জাম্মেল সওদাগর থেকে পাইকারি ১৪০ টাকা করে এক মণ কিনে এনেছি। ১৬০ টাকায় বিক্রি না করলে লাভ হবে না।

মিরসরাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজানুর রহমান বলেন, বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি জানা নেই। আগের কেনা পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা যদি সংকটের অজুহাতে হঠাৎ কেজিতে ৫০ টাকা বেশি নেয়, এটা অন্যায়। আমি বাজারে গিয়ে মনিটরিং করবো এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।

বিজনেস আওয়ার / ৯ ডিসেম্বর / বিএইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: