ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘সাজানো নির্বাচনে যারা অংশ নিচ্ছে তারা শোষক-লুটেরা’

  • পোস্ট হয়েছে : ০৬:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 5

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: অবৈধ সরকারের পদত্যাগ ও প্রহসনের নির্বাচন বাতিলের দাবিতে আজ রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)।

মিছিল থেকে আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের নামে প্রহসন বন্ধ করে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচনের দাবি জানানো হয়।

৭ জানুয়ারি নির্বাচন হলে দেশ আবারও একদলীয় বাকশালী শাসন প্রতিষ্ঠা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন দলটির নেতারা।

সরকারের পদত্যাগ ও প্রহসনের নির্বাচন বাতিলের দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে মঙ্গলবার(১২ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে তা কাকরাইল, বিজয়নগর, নয়াপল্টন, সেগুনবাগিচা, পুরানা পল্টনসহ রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে বিজয় নগরস্থ বিজয়-৭১ চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন দলের অন্যতম যুগ্ম আহ্বায়ক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হক।

সমাবেশে যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, এই অবৈধ জালিম সরকারের পদত্যাগের দাবিতে এবি পার্টি লাগাতার কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। এখন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ৭১ এর রাজাকার আলবদরদের মতোই বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশ দিয়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে। পুলিশ ও বিজিবি আজ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। অন্যদিকে আওয়ামী কালোবাজারি সিন্ডিকেট বাহিনী একদিনে পিয়াজসহ দ্রব্য মূল্য বাড়িয়ে জনমনে হাহাকার তৈরি করেছে।

তিনি বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারির এই প্রহসনের নির্বাচন হতে পারে না, এটা বাংলাদেশের জনগণ হতে দেবে না।

সমাবেশে দলটির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, অবৈধ সরকারের সাজানো নির্বাচন দিনের পর দিন হাসি তামাশার রঙ্গে পরিণত হচ্ছে। এই নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা সবাই দুর্নীতিবাজ, ডাকাত। দেশের মানুষ চরম আর্থিক সংকটে থাকলেও গত ১৫ বছরে এরা সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। ৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামে মানুষ দুই ভাগে বিভক্ত ছিল শোষক আর শোষিত।

তিনি বলেন, ২০২৩ ও ২৪ সালে এসেও মানুষ আজ দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। একপক্ষ হলো যারা এই সাজানো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে সেসকল লুটেরা ডাকাত বাহিনী আর অপরপক্ষে আমরা যারা প্রহসনের নির্বাচন বর্জন করে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি সেসকল মজলুম বঞ্চিত জনগণ। মজলুম বঞ্চিত জনগণের বিজয় হবেই হবে।

যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, আজ গণভবনে ঘুরাঘুরি করছে আওয়ামী রাজাকার, আলবদররা। সিট কিংবা অর্থ ভাগাভাগি করেও সরকার দালাল সংগ্রহে ব্যর্থ। আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনী এখন গোটা বাংলাদেশের গ্রামে গ্রামে বয়স্ক ভাতা, ভিজিডি, ভিজিএফ কার্ডের সহায়তা গ্রহণকারী জনগণকে হুমকি দিচ্ছে, তাদের নৌকায় ভোট দিতে হবে। এ ভাতার টাকা কারো বাপের টাকা নয়। এটা জনগণের টাকা। জনগণের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলে কেউ পার পাবে না।

সভাপতির বক্তব্যে বিএম নাজমুল হক বলেন, এই বাকশালি সরকারের পতন আন্দোলনে এবি পার্টি যে সংগ্রাম করছে তা এই ফ্যাসিবাদের পতন না হওয়া পর্যন্ত চলবে।

মিছিল ও সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল, এবি যুবপার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব আব্দুল বাসেত মারজান, সহকারী সদস্য সচিব শাহ্ আব্দুর রহমান, যুবপার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব হাদিউজ্জামান খোকন, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম খোকন, যুগ্ম সদস্য সচিব সফিউল বাসার, কেফায়েত হোসেন তানভীর, ছাত্রপক্ষের আহ্বায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স, মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সেলিম খান, রুনা হোসাইন, সুমাইয়া শারমিন ফারহানা, মশিউর রহমান মিলু, শাহীনুর আকতার শীলা, মাহমুদ আজাদসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

‘সাজানো নির্বাচনে যারা অংশ নিচ্ছে তারা শোষক-লুটেরা’

পোস্ট হয়েছে : ০৬:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: অবৈধ সরকারের পদত্যাগ ও প্রহসনের নির্বাচন বাতিলের দাবিতে আজ রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)।

মিছিল থেকে আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের নামে প্রহসন বন্ধ করে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচনের দাবি জানানো হয়।

৭ জানুয়ারি নির্বাচন হলে দেশ আবারও একদলীয় বাকশালী শাসন প্রতিষ্ঠা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন দলটির নেতারা।

সরকারের পদত্যাগ ও প্রহসনের নির্বাচন বাতিলের দাবিতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে মঙ্গলবার(১২ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে তা কাকরাইল, বিজয়নগর, নয়াপল্টন, সেগুনবাগিচা, পুরানা পল্টনসহ রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে বিজয় নগরস্থ বিজয়-৭১ চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন দলের অন্যতম যুগ্ম আহ্বায়ক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হক।

সমাবেশে যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, এই অবৈধ জালিম সরকারের পদত্যাগের দাবিতে এবি পার্টি লাগাতার কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। এখন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ৭১ এর রাজাকার আলবদরদের মতোই বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশ দিয়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে। পুলিশ ও বিজিবি আজ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। অন্যদিকে আওয়ামী কালোবাজারি সিন্ডিকেট বাহিনী একদিনে পিয়াজসহ দ্রব্য মূল্য বাড়িয়ে জনমনে হাহাকার তৈরি করেছে।

তিনি বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারির এই প্রহসনের নির্বাচন হতে পারে না, এটা বাংলাদেশের জনগণ হতে দেবে না।

সমাবেশে দলটির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, অবৈধ সরকারের সাজানো নির্বাচন দিনের পর দিন হাসি তামাশার রঙ্গে পরিণত হচ্ছে। এই নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা সবাই দুর্নীতিবাজ, ডাকাত। দেশের মানুষ চরম আর্থিক সংকটে থাকলেও গত ১৫ বছরে এরা সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। ৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামে মানুষ দুই ভাগে বিভক্ত ছিল শোষক আর শোষিত।

তিনি বলেন, ২০২৩ ও ২৪ সালে এসেও মানুষ আজ দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। একপক্ষ হলো যারা এই সাজানো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে সেসকল লুটেরা ডাকাত বাহিনী আর অপরপক্ষে আমরা যারা প্রহসনের নির্বাচন বর্জন করে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি সেসকল মজলুম বঞ্চিত জনগণ। মজলুম বঞ্চিত জনগণের বিজয় হবেই হবে।

যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, আজ গণভবনে ঘুরাঘুরি করছে আওয়ামী রাজাকার, আলবদররা। সিট কিংবা অর্থ ভাগাভাগি করেও সরকার দালাল সংগ্রহে ব্যর্থ। আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনী এখন গোটা বাংলাদেশের গ্রামে গ্রামে বয়স্ক ভাতা, ভিজিডি, ভিজিএফ কার্ডের সহায়তা গ্রহণকারী জনগণকে হুমকি দিচ্ছে, তাদের নৌকায় ভোট দিতে হবে। এ ভাতার টাকা কারো বাপের টাকা নয়। এটা জনগণের টাকা। জনগণের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলে কেউ পার পাবে না।

সভাপতির বক্তব্যে বিএম নাজমুল হক বলেন, এই বাকশালি সরকারের পতন আন্দোলনে এবি পার্টি যে সংগ্রাম করছে তা এই ফ্যাসিবাদের পতন না হওয়া পর্যন্ত চলবে।

মিছিল ও সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল, এবি যুবপার্টির আহ্বায়ক এবিএম খালিদ হাসান, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব আব্দুল বাসেত মারজান, সহকারী সদস্য সচিব শাহ্ আব্দুর রহমান, যুবপার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব হাদিউজ্জামান খোকন, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম খোকন, যুগ্ম সদস্য সচিব সফিউল বাসার, কেফায়েত হোসেন তানভীর, ছাত্রপক্ষের আহ্বায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স, মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সেলিম খান, রুনা হোসাইন, সুমাইয়া শারমিন ফারহানা, মশিউর রহমান মিলু, শাহীনুর আকতার শীলা, মাহমুদ আজাদসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: