ঢাকা , শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য সুখবর দিলো মালদ্বীপ

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 8

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দীর্ঘ চার বছর বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য সুখবর দিলো মালদ্বীপ। তবে এ যাত্রায় সুযোগ পাবেন দক্ষ কর্মীরা। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) মালদ্বীপের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি অ্যান্ড টেকনোলজি মন্ত্রণালয় এক ঘোষণায় এই তথ্য জানিয়েছে।

বাংলাদেশের ওপর ২০১৯ সালে এক বছেরের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেশটির পূর্ববর্তী সরকার। মূলত অবৈধ অভিবাসীদের থামাতে দেশটি এমন উদ্যেগ নেয়। যা ক্রমাগত বেড়ে চার বছর পর্যন্ত গড়ায়।

সেসময় দেশটির তৎকালীন অর্থ মন্ত্রী ফাইয়াজ ইসমাইল জনিয়েছিলেন, মালদ্বীপের আইন অনুযায়ী বিদেশি রাষ্ট্রের (বাংলাদেশের) এক লাখ শ্রমিক থাকার সুযোগ রয়েছে। যদিও ২০১৯ সালের গণনা করে বাংলাদেশের শ্রমিকদের সংখ্যা দেখা যায় দেড় লাখে। যাদের একটি বড় অংশ অবৈধভাবে দেশটিতে অবস্থান করছে।

ফাইয়াজ ইসমাইল আরও জানান, মালদ্বীপে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোটা শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুন করে কাউকে নিতে পারেনি দেশটি। সেসময় কাজের ভিসায় ১ লাখ ১৪ হাজারের বেশি মালদ্বীপে প্রবেশ করে, যাদের মধ্যে ৬৩ হাজার অবৈধভাবে বসবাস করছিল। যদিও বাংলাদেশি কর্মীদের ওপর শ্রম নিষেধাজ্ঞায় নতুন সুযোগ তৈরি হয় ভারত, শ্রীলঙ্কা নেপালসহ বেশ করেকটি দেশের। মালদ্বীপে ক্রমাগত বাড়তে থাকে এসব দেশগুলোর কর্মীর সংখ্যা।

এদিকে মালদ্বীপে অবৈধ অভিবাসীদের সমস্যা মোকাবেলায় কঠোর হচ্ছে দেশটির সরকার। দেশটিতে অবৈধ অভিবাসীদের সমস্যার দ্রুত সমাধান খুঁজতে অভিযান শুরু করেছে ইমিগ্রেশন। এর মধ্যে অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশের প্রায় ১৫০ জন শ্রমিক আটক করেছে।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য সুখবর দিলো মালদ্বীপ

পোস্ট হয়েছে : ১০:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দীর্ঘ চার বছর বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য সুখবর দিলো মালদ্বীপ। তবে এ যাত্রায় সুযোগ পাবেন দক্ষ কর্মীরা। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) মালদ্বীপের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি অ্যান্ড টেকনোলজি মন্ত্রণালয় এক ঘোষণায় এই তথ্য জানিয়েছে।

বাংলাদেশের ওপর ২০১৯ সালে এক বছেরের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেশটির পূর্ববর্তী সরকার। মূলত অবৈধ অভিবাসীদের থামাতে দেশটি এমন উদ্যেগ নেয়। যা ক্রমাগত বেড়ে চার বছর পর্যন্ত গড়ায়।

সেসময় দেশটির তৎকালীন অর্থ মন্ত্রী ফাইয়াজ ইসমাইল জনিয়েছিলেন, মালদ্বীপের আইন অনুযায়ী বিদেশি রাষ্ট্রের (বাংলাদেশের) এক লাখ শ্রমিক থাকার সুযোগ রয়েছে। যদিও ২০১৯ সালের গণনা করে বাংলাদেশের শ্রমিকদের সংখ্যা দেখা যায় দেড় লাখে। যাদের একটি বড় অংশ অবৈধভাবে দেশটিতে অবস্থান করছে।

ফাইয়াজ ইসমাইল আরও জানান, মালদ্বীপে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোটা শেষ হয়ে যাওয়ায় নতুন করে কাউকে নিতে পারেনি দেশটি। সেসময় কাজের ভিসায় ১ লাখ ১৪ হাজারের বেশি মালদ্বীপে প্রবেশ করে, যাদের মধ্যে ৬৩ হাজার অবৈধভাবে বসবাস করছিল। যদিও বাংলাদেশি কর্মীদের ওপর শ্রম নিষেধাজ্ঞায় নতুন সুযোগ তৈরি হয় ভারত, শ্রীলঙ্কা নেপালসহ বেশ করেকটি দেশের। মালদ্বীপে ক্রমাগত বাড়তে থাকে এসব দেশগুলোর কর্মীর সংখ্যা।

এদিকে মালদ্বীপে অবৈধ অভিবাসীদের সমস্যা মোকাবেলায় কঠোর হচ্ছে দেশটির সরকার। দেশটিতে অবৈধ অভিবাসীদের সমস্যার দ্রুত সমাধান খুঁজতে অভিযান শুরু করেছে ইমিগ্রেশন। এর মধ্যে অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশের প্রায় ১৫০ জন শ্রমিক আটক করেছে।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: