ঢাকা , শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অলিখিত ফাইনালে মাঠে নামছে ‘লিভারপুল-আর্সেনাল’

  • পোস্ট হয়েছে : ০৮:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 8

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: প্রিমিয়ার লিগের আক্ষরিক অর্থে ফাইনাল হওয়া সম্ভব নয়। তারপরেও এখন কেবল মৌসুমের মাঝপথ। এখনো কোন দলই ১৯ ম্যাচ শেষ করতে পারেনি। তবু কেনো রাতের লিভারপুল এবং আর্সেনাল ম্যাচকে ফাইনাল বলছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম, তার পেছনে আছে যৌক্তিক ব্যাখ্যা। অ্যানফিল্ডে রাতের এই ম্যাচেই নির্ধারিত হবে বড়দিনে ইংলিশ লিগের সবার উপরে থাকবে কারা।

প্রিমিয়ার লিগের শেষ ১৪ বারের মধ্যে ১০ বারই যে দল বড়দিন অর্থাৎ ২৫ ডিসেম্বর শীর্ষে ছিল, সেই দলই প্রিমিয়ার লিগ জিতেছে। ২০০৪-০৫ মৌসুম থেকে ২০০৬-০৭ মৌসুম অর্থাৎ টানা ৩ বছর এমন ঘটনা ঘটে। ২০০৯–১০ থেকে ২০১২–১৩ পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটেছে টানা চারবার। দুই বছর বিরতি দিয়ে ২০১৫–১৬ মৌসুম থেকে ২০১৭–১৮ পর্যন্ত আবারও টানা তিনবার শিরোপা জিতেছে বড়দিনে শীর্ষে থাকা দল।

সবমিলিয়ে প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান সংস্করণে ৩২ বারের মধ্যে ১৬ বার, অর্থাৎ ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে বড়দিনে শীর্ষে থাকা দলটি মৌসুম শেষে ট্রফি ঘরে তুলেছে। আর্সেনাল এবং লিভারপুলের ম্যাচকে তাই মৌসুমের অলিখিত ফাইনাল বলতে পিছপা হয়নি ব্রিটিশ মিডিয়া। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে এগারটায় লিভারপুলের ঘরের মাঠে হবে এই হাইভোল্টেজ ম্যাচ।

পয়েন্ট টেবিলের ১ম ও ৩য় স্থানে থাকা দুই দলের এই ম্যাচ ঘিরে তাই আগে থেকেই কাজ করছে বাড়তি উন্মাদনা। ম্যাচ নিজেদের মাঠে বলেই কিনা শনিবার রাতে কিছুটা হলেও আত্মবিশ্বাসী অলরেড বস ইউর্গেন ক্লপ। জার্মান এই কোচ ম্যাচ জিততে সাহায্য চেয়েছেন সমর্থকদেরও। ঘরের মাঠের সুবিধা পুরোপুরি কাজে লাগাতে চান তিনি।

সবশেষ ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে অ্যানফিল্ডে সমর্থকদের আওয়াজ খুব বেশি জোরালো মনে হয়নি ক্লপের। এবার তাই আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, মাঠে গলার আওয়াজ চড়া করতে হবে সমর্থকদের। অন্যথায় টিকিট অন্য সমর্থকদের দিয়ে ফেলারও অনুরোধ করেছেন এই জার্মান কোচ।

গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের আগে ক্লপের চিন্তার কারণ তার দলের ইনজুরি। অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার আর অ্যান্ডি রবার্টসন নেই বেশ কিছু ম্যাচ। তবে অভিজ্ঞ দিয়েগো জোটা আর রায়ান গ্রাভেনবাচের ইনজুরি তার জন্য বাড়তি চিন্তা। ওয়াতারু এন্ডো, কার্টিস জোন্সের চেয়ে তাই মিডফিল্ডে ডমিনিক সবোস্লাইয়ের উপরেই বেশি নির্ভর করতে হবে অলরেডদের। আর কোডি গাকপোর উপরেও থাকবে নজর।

আর্সেনাল অবশ্য পাচ্ছে সেরা একাদশই। ডিফেন্সে সালিবা আর গ্যাব্রিয়েল থাকবেন আক্রমণ ঠেকাবার কাজে। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এই জুটির বিপক্ষে সালাহ-দিয়াজরা কতটা সুবিধা করতে পারেন, সেটাই দেখার বিষয়। মাঝমাঠে মার্টিন ওডেগার্ড আর ডেক্লান রাইস দুজনেই আছেন দুর্দান্ত ফর্মে। এন্ডো-জোনসের বিপরীতে তারা অনেকটাই এগিয়ে থাকবেন। আর আক্রমণভাগে বুকায়ো সাকা আর গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লি ইপিএলেরই সবচেয়ে ভয়ানক জুটির একটি। তবে অ্যানফিল্ডে শেষ ৫ ম্যাচে ১৭ গোল হজম করা আর্সেনাল মাঠের আবহেই যে খানিকটা পিছিয়ে থাকবে সেটা হয়ত অনায়াসে বলা চলে।

ইপিএলে বড়দিনে সবার উপরে থাকার সুযোগ কাজে লাগাতে পারে দুই দলই। অলরেডদের পয়েন্ট ৩৮। আর গানার্সরা টেবিলে সবার ওপরে আছে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে। যারা জিতবে তারাই থাকবে শীর্ষে। আর্সেনালের জন্য অবশ্য ড্র করলেও চলবে।

বিজনেস আওয়ার/২৩ডিসেম্বর/বিএইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

অলিখিত ফাইনালে মাঠে নামছে ‘লিভারপুল-আর্সেনাল’

পোস্ট হয়েছে : ০৮:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: প্রিমিয়ার লিগের আক্ষরিক অর্থে ফাইনাল হওয়া সম্ভব নয়। তারপরেও এখন কেবল মৌসুমের মাঝপথ। এখনো কোন দলই ১৯ ম্যাচ শেষ করতে পারেনি। তবু কেনো রাতের লিভারপুল এবং আর্সেনাল ম্যাচকে ফাইনাল বলছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম, তার পেছনে আছে যৌক্তিক ব্যাখ্যা। অ্যানফিল্ডে রাতের এই ম্যাচেই নির্ধারিত হবে বড়দিনে ইংলিশ লিগের সবার উপরে থাকবে কারা।

প্রিমিয়ার লিগের শেষ ১৪ বারের মধ্যে ১০ বারই যে দল বড়দিন অর্থাৎ ২৫ ডিসেম্বর শীর্ষে ছিল, সেই দলই প্রিমিয়ার লিগ জিতেছে। ২০০৪-০৫ মৌসুম থেকে ২০০৬-০৭ মৌসুম অর্থাৎ টানা ৩ বছর এমন ঘটনা ঘটে। ২০০৯–১০ থেকে ২০১২–১৩ পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটেছে টানা চারবার। দুই বছর বিরতি দিয়ে ২০১৫–১৬ মৌসুম থেকে ২০১৭–১৮ পর্যন্ত আবারও টানা তিনবার শিরোপা জিতেছে বড়দিনে শীর্ষে থাকা দল।

সবমিলিয়ে প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান সংস্করণে ৩২ বারের মধ্যে ১৬ বার, অর্থাৎ ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে বড়দিনে শীর্ষে থাকা দলটি মৌসুম শেষে ট্রফি ঘরে তুলেছে। আর্সেনাল এবং লিভারপুলের ম্যাচকে তাই মৌসুমের অলিখিত ফাইনাল বলতে পিছপা হয়নি ব্রিটিশ মিডিয়া। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে এগারটায় লিভারপুলের ঘরের মাঠে হবে এই হাইভোল্টেজ ম্যাচ।

পয়েন্ট টেবিলের ১ম ও ৩য় স্থানে থাকা দুই দলের এই ম্যাচ ঘিরে তাই আগে থেকেই কাজ করছে বাড়তি উন্মাদনা। ম্যাচ নিজেদের মাঠে বলেই কিনা শনিবার রাতে কিছুটা হলেও আত্মবিশ্বাসী অলরেড বস ইউর্গেন ক্লপ। জার্মান এই কোচ ম্যাচ জিততে সাহায্য চেয়েছেন সমর্থকদেরও। ঘরের মাঠের সুবিধা পুরোপুরি কাজে লাগাতে চান তিনি।

সবশেষ ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে অ্যানফিল্ডে সমর্থকদের আওয়াজ খুব বেশি জোরালো মনে হয়নি ক্লপের। এবার তাই আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, মাঠে গলার আওয়াজ চড়া করতে হবে সমর্থকদের। অন্যথায় টিকিট অন্য সমর্থকদের দিয়ে ফেলারও অনুরোধ করেছেন এই জার্মান কোচ।

গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের আগে ক্লপের চিন্তার কারণ তার দলের ইনজুরি। অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার আর অ্যান্ডি রবার্টসন নেই বেশ কিছু ম্যাচ। তবে অভিজ্ঞ দিয়েগো জোটা আর রায়ান গ্রাভেনবাচের ইনজুরি তার জন্য বাড়তি চিন্তা। ওয়াতারু এন্ডো, কার্টিস জোন্সের চেয়ে তাই মিডফিল্ডে ডমিনিক সবোস্লাইয়ের উপরেই বেশি নির্ভর করতে হবে অলরেডদের। আর কোডি গাকপোর উপরেও থাকবে নজর।

আর্সেনাল অবশ্য পাচ্ছে সেরা একাদশই। ডিফেন্সে সালিবা আর গ্যাব্রিয়েল থাকবেন আক্রমণ ঠেকাবার কাজে। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এই জুটির বিপক্ষে সালাহ-দিয়াজরা কতটা সুবিধা করতে পারেন, সেটাই দেখার বিষয়। মাঝমাঠে মার্টিন ওডেগার্ড আর ডেক্লান রাইস দুজনেই আছেন দুর্দান্ত ফর্মে। এন্ডো-জোনসের বিপরীতে তারা অনেকটাই এগিয়ে থাকবেন। আর আক্রমণভাগে বুকায়ো সাকা আর গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লি ইপিএলেরই সবচেয়ে ভয়ানক জুটির একটি। তবে অ্যানফিল্ডে শেষ ৫ ম্যাচে ১৭ গোল হজম করা আর্সেনাল মাঠের আবহেই যে খানিকটা পিছিয়ে থাকবে সেটা হয়ত অনায়াসে বলা চলে।

ইপিএলে বড়দিনে সবার উপরে থাকার সুযোগ কাজে লাগাতে পারে দুই দলই। অলরেডদের পয়েন্ট ৩৮। আর গানার্সরা টেবিলে সবার ওপরে আছে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে। যারা জিতবে তারাই থাকবে শীর্ষে। আর্সেনালের জন্য অবশ্য ড্র করলেও চলবে।

বিজনেস আওয়ার/২৩ডিসেম্বর/বিএইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: