ঢাকা , রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১১ মাসে প্রায় ৪৩ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানি

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 9

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: চলতি বছরের প্রথম ১১ মাসে অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে নভেম্বর সময়ে বাংলাদেশ থেকে ৪২ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক রফতানি হয়েছে । যা আগের বছরের তুলনায় ৪.৩৫ শতাংশ বেশি।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেলের স্বাক্ষর করা বিজ্ঞতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, তবে বৈশ্বিকভাবে ২০২৩ সালটি পোশাক খাতের জন্য আগের বছর ২০২২ সালের মতো অতটা ভালো ছিল না।

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার তথ্যের বরাতে বিজিএমইএ’র বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২২ সালের ৫৭৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক বিশ্ববাজারে রফতানি হয়েছে। তবে সেই প্রবণতা ২০২৩ সালে কিছুটা কমার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ ইতোমধ্যে ইউরোপ ও আমেরিকার পোশাক আমদানি কমেছে।

বিজ্ঞতিতে বমহিউদ্দিন রুবেল জানান, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর মাস সময়ে ইউরোপে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি বেড়েছে মাত্র ২ দশমিক ২৮ শতাংশ। যেখানে আমেরিকার বাজারে রফতানি কমেছে ৯ শতাংশ। অর্থাৎ সার্বিক মূল্যায়নে দেশের প্রধান দুটি বাজারে রফতানি খুব একটা বাড়েনি।

অপরদিকে অপ্রচলিত বাজারে রফতানি বেড়েছে ২২.৫৩ শতাংশ। অর্থাৎ অপ্রচলিত বাজারে প্রবৃদ্ধির কল্যাণেই আমাদের সার্বিক রফতানিতে এখনও কিছুটা প্রবৃদ্ধি বজায় আছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৪ সালটি কেমন যাবে এটি বলা কঠিন। একদিকে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোথায় যায় সেটি আমাদের দেখতে হবে। কারণ এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে সরবরাহ ব্যবস্থা, মূল্যস্ফীতিসহ অন্যান্য বিষয়। সেই সঙ্গে আমাদের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতেও কিছু চাপ তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ নিম্নমুখী ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখাটাও একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

তিনি আরও বলেন, আবার শিল্পখাতগুলোকেও সুরক্ষা দিতে হবে যেন বিনিয়োগ আসে আর আমরা প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকে। ২০২৪ সালের এ সার্বিকভাবে আমরা একটু চাপের মধ্যেই থাকব।

তবে আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বাড়বে বলে আমরা ইঙ্গিত পাচ্ছি। আমরা যদি অভ্যন্তরীণ সরবরাহ ব্যবস্থা ঠিক রাখতে পারি আর নতুন পণ্য ও বাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে পারি, তাহলে কাঙ্খিত প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পারব।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

১১ মাসে প্রায় ৪৩ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানি

পোস্ট হয়েছে : ১২:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: চলতি বছরের প্রথম ১১ মাসে অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে নভেম্বর সময়ে বাংলাদেশ থেকে ৪২ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক রফতানি হয়েছে । যা আগের বছরের তুলনায় ৪.৩৫ শতাংশ বেশি।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেলের স্বাক্ষর করা বিজ্ঞতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, তবে বৈশ্বিকভাবে ২০২৩ সালটি পোশাক খাতের জন্য আগের বছর ২০২২ সালের মতো অতটা ভালো ছিল না।

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার তথ্যের বরাতে বিজিএমইএ’র বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২২ সালের ৫৭৬ বিলিয়ন ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক বিশ্ববাজারে রফতানি হয়েছে। তবে সেই প্রবণতা ২০২৩ সালে কিছুটা কমার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ ইতোমধ্যে ইউরোপ ও আমেরিকার পোশাক আমদানি কমেছে।

বিজ্ঞতিতে বমহিউদ্দিন রুবেল জানান, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর মাস সময়ে ইউরোপে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি বেড়েছে মাত্র ২ দশমিক ২৮ শতাংশ। যেখানে আমেরিকার বাজারে রফতানি কমেছে ৯ শতাংশ। অর্থাৎ সার্বিক মূল্যায়নে দেশের প্রধান দুটি বাজারে রফতানি খুব একটা বাড়েনি।

অপরদিকে অপ্রচলিত বাজারে রফতানি বেড়েছে ২২.৫৩ শতাংশ। অর্থাৎ অপ্রচলিত বাজারে প্রবৃদ্ধির কল্যাণেই আমাদের সার্বিক রফতানিতে এখনও কিছুটা প্রবৃদ্ধি বজায় আছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৪ সালটি কেমন যাবে এটি বলা কঠিন। একদিকে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোথায় যায় সেটি আমাদের দেখতে হবে। কারণ এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে সরবরাহ ব্যবস্থা, মূল্যস্ফীতিসহ অন্যান্য বিষয়। সেই সঙ্গে আমাদের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতেও কিছু চাপ তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ নিম্নমুখী ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখাটাও একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

তিনি আরও বলেন, আবার শিল্পখাতগুলোকেও সুরক্ষা দিতে হবে যেন বিনিয়োগ আসে আর আমরা প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকে। ২০২৪ সালের এ সার্বিকভাবে আমরা একটু চাপের মধ্যেই থাকব।

তবে আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বাড়বে বলে আমরা ইঙ্গিত পাচ্ছি। আমরা যদি অভ্যন্তরীণ সরবরাহ ব্যবস্থা ঠিক রাখতে পারি আর নতুন পণ্য ও বাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে পারি, তাহলে কাঙ্খিত প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পারব।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: