ঢাকা , রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপি-জামায়াতের সৃষ্ট সহিংসতা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ক্ষতিকর : জয়

  • পোস্ট হয়েছে : ০২:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জানুয়ারী ২০২৪
  • 14

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: পরিবহনের অগ্নিসংযোগ ও ট্রেন লাইনচ্যুত করে বিএনপি জামায়াতের সৃষ্ট সহিংসতা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ক্ষতিকর বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ।

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ এক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা বলেন।

সংবাদমাধ্যমের খবরের বরাত দিয়ে সজীব ওয়াজেদ বলেন, গত ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতায় ৪শর বেশি ক্রুড বোমা সরবরাহ করেছেন মুকিত ওরফে মাওলানা। নির্বাচন বানচাল ও ভোটারদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করতে দলটি এসব কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিচ্ছে।

অগ্নিসংযোগ, রেললাইন উপড়ে ফেলা বিএনপির তথাকথিত গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বৈশিষ্ট্য বলেও উল্লেখ করেন সজীব ওয়াজেদ।

গত ২০ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ককটেল বিস্ফোরণের নেপথ্যের কারিগর হিসেবে আটক হয়েছেন মুকিত ওরফে মাওলানা। তাকে কারা এ হামলা করতে বলেছিল সেসব তিনি জানিয়েছেন।

যদিও এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে নিজেদের কর্মীরা জড়িত নয় বলে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপির নেতারা। বিশ্ববাসীকে ধোঁকা দিতে বিএনপি নেতা রিজভী এক টুইট করে দাবি করেন, এসব সহিংসতায় তাদের দলের নেতাকর্মী জড়িত নয়।

সজীব ওয়াজেদ লিখেন, বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী ও অন্যরা বিশ্বকে বোকা বানাতে প্রতিদিন অস্বীকারের নাটক মঞ্চস্থ করছেন।

রিজভী বাসে হামলায় বিএনপি জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করলেও সংবাদমাধ্যমে রিজভীর নেতৃত্বে ৩০ জনেরও কম নেতাকর্মীর মিছিল থেকে চলন্ত বাসে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে দেখা যায়। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক ও মানবাধিকার কর্মীরা রিজভীর মিথ্যাচারের নিন্দা জানিয়েছেন।

নিজের ভেরিফাইড এক্স অ্যাকাউন্টে ভিডিও পোস্ট করে সজীব ওয়াজেদ লিখেন, মুকিতকে কারা নিয়োগ করেছে, তার সঙ্গে কাদের সখ্যতা সেটি এখানে দেখা গেছে। বিএনপি নেতৃত্বের মিথ্যাচারেরও প্রমাণ এটি।

ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস ও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশের জন্য এই সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডকে ক্ষতিকর মনে করবে কি না বলেও প্রশ্ন রাখেন তিনি।

এর আগে, ঢাকায় বিস্ফোরক দ্রব্যসহ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দুই কর্মী আটক হলে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের কোনো প্রতিক্রিয়া না আসায় প্রশ্ন তুলেছিলেন সজীব ওয়াজেদ।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক ও মানবাধিকার কর্মীরা বিএনপির নেতৃত্বের ঘুষ, দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদ প্রশ্রয় দেওয়া এবং রাজনৈতিক বিরোধী নেতা শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা করা দলের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

বিএনপি-জামায়াতের সৃষ্ট সহিংসতা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ক্ষতিকর : জয়

পোস্ট হয়েছে : ০২:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জানুয়ারী ২০২৪

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: পরিবহনের অগ্নিসংযোগ ও ট্রেন লাইনচ্যুত করে বিএনপি জামায়াতের সৃষ্ট সহিংসতা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ক্ষতিকর বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ।

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ এক স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা বলেন।

সংবাদমাধ্যমের খবরের বরাত দিয়ে সজীব ওয়াজেদ বলেন, গত ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতায় ৪শর বেশি ক্রুড বোমা সরবরাহ করেছেন মুকিত ওরফে মাওলানা। নির্বাচন বানচাল ও ভোটারদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করতে দলটি এসব কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিচ্ছে।

অগ্নিসংযোগ, রেললাইন উপড়ে ফেলা বিএনপির তথাকথিত গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বৈশিষ্ট্য বলেও উল্লেখ করেন সজীব ওয়াজেদ।

গত ২০ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ককটেল বিস্ফোরণের নেপথ্যের কারিগর হিসেবে আটক হয়েছেন মুকিত ওরফে মাওলানা। তাকে কারা এ হামলা করতে বলেছিল সেসব তিনি জানিয়েছেন।

যদিও এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে নিজেদের কর্মীরা জড়িত নয় বলে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপির নেতারা। বিশ্ববাসীকে ধোঁকা দিতে বিএনপি নেতা রিজভী এক টুইট করে দাবি করেন, এসব সহিংসতায় তাদের দলের নেতাকর্মী জড়িত নয়।

সজীব ওয়াজেদ লিখেন, বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী ও অন্যরা বিশ্বকে বোকা বানাতে প্রতিদিন অস্বীকারের নাটক মঞ্চস্থ করছেন।

রিজভী বাসে হামলায় বিএনপি জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করলেও সংবাদমাধ্যমে রিজভীর নেতৃত্বে ৩০ জনেরও কম নেতাকর্মীর মিছিল থেকে চলন্ত বাসে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে দেখা যায়। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক ও মানবাধিকার কর্মীরা রিজভীর মিথ্যাচারের নিন্দা জানিয়েছেন।

নিজের ভেরিফাইড এক্স অ্যাকাউন্টে ভিডিও পোস্ট করে সজীব ওয়াজেদ লিখেন, মুকিতকে কারা নিয়োগ করেছে, তার সঙ্গে কাদের সখ্যতা সেটি এখানে দেখা গেছে। বিএনপি নেতৃত্বের মিথ্যাচারেরও প্রমাণ এটি।

ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস ও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশের জন্য এই সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডকে ক্ষতিকর মনে করবে কি না বলেও প্রশ্ন রাখেন তিনি।

এর আগে, ঢাকায় বিস্ফোরক দ্রব্যসহ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দুই কর্মী আটক হলে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের কোনো প্রতিক্রিয়া না আসায় প্রশ্ন তুলেছিলেন সজীব ওয়াজেদ।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক ও মানবাধিকার কর্মীরা বিএনপির নেতৃত্বের ঘুষ, দুর্নীতি ও জঙ্গিবাদ প্রশ্রয় দেওয়া এবং রাজনৈতিক বিরোধী নেতা শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা করা দলের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: