ঢাকা , শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৃদ্ধাকে ধর্ষণের পর হত্যা, ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

  • পোস্ট হয়েছে : ০৩:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৪
  • 4

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: শরীয়তপুরে এক বৃদ্ধা নারীকে গণধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ৫ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সোহেল আহমেদ। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে রায় ঘোষণার পর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের পেশকার শাহিন বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।

মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া নিজাম বালী (৪৫), মোহাম্মদ আলী (৩৫), ওমর ফারুক বেপারী (২৪), আল আমীন বেপারী (২০) ও ইব্রাহীম মোল্লা (২১) ডামুড্যা উপজেলার দক্ষিণ সুতলকাঠি গ্রামের বাসিন্দা।

রায় ঘোষণার সময় আদালতে দুই আসামি উপস্থিত ছিলেন। বাকি তিনজন পলাতক রয়েছেন। আদালতে উপস্থিত আসামিদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ডামুড্যা উপজেলার ধানকাঠি ইউনিয়নের ভূঁইয়া বাজার গ্রামের ৫৫ বছর বয়সী নারী ফিরোজা বেগম ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল বিকেল ৫টার দিকে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। ২১ এপ্রিল বাড়ি থেকে দশ কিলোমিটার দূরে পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়নের বড় নওগাঁ এলাকার আব্দুর রহমান মাস্টারের বাড়ির পূর্ব পাশের একটি পরিত্যক্ত ডোবা থেকে তার ক্ষত-বিক্ষত মরেদহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরেরদিন ওই নারীর ছোট ভাই লাল মিয়া সরদার বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ২ থেকে ৩ জনকে অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে শরীয়তপুর আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন। আসামিদের মধ্যে পাঁচজন জড়িত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করে পুলিশ। পরে ২৮ এপ্রিল ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিজাম বালীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরেরদিন ওমর ফারুক ও মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণের পর হত্যা করার কথা আদালতের কাছে স্বীকার করেন। আর অন্য দুই আসামি ইব্রাহিম ও আল-আমীন পলাতক আছেন। আর ওমর ফারুক জামিনে গিয়ে পলাতক। এ ঘটনায় পরবর্তীতে পুলিশ ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ দুপুরে শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ হত্যা ও ধর্ষণ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।

নিহত ফিরোজা বেগমের ছেলে চিকিৎসক শাহ জালাল হাওলাদার বলেন, আমরা রায়ে খুশি হয়েছি। সরকারের কাছে দাবি, দ্রুত যেন এই রায়ে কার্যকর হয়।

শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট সানাল মিয়া বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক হত্যাকাণ্ডের রায়। বৃদ্ধা নারীকে গণধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। এই মামলায় পাঁচজন আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ এই রায়ে সন্তুষ্ট।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

বৃদ্ধাকে ধর্ষণের পর হত্যা, ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

পোস্ট হয়েছে : ০৩:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৪

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: শরীয়তপুরে এক বৃদ্ধা নারীকে গণধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ৫ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সোহেল আহমেদ। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে রায় ঘোষণার পর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের পেশকার শাহিন বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।

মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া নিজাম বালী (৪৫), মোহাম্মদ আলী (৩৫), ওমর ফারুক বেপারী (২৪), আল আমীন বেপারী (২০) ও ইব্রাহীম মোল্লা (২১) ডামুড্যা উপজেলার দক্ষিণ সুতলকাঠি গ্রামের বাসিন্দা।

রায় ঘোষণার সময় আদালতে দুই আসামি উপস্থিত ছিলেন। বাকি তিনজন পলাতক রয়েছেন। আদালতে উপস্থিত আসামিদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ডামুড্যা উপজেলার ধানকাঠি ইউনিয়নের ভূঁইয়া বাজার গ্রামের ৫৫ বছর বয়সী নারী ফিরোজা বেগম ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল বিকেল ৫টার দিকে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। ২১ এপ্রিল বাড়ি থেকে দশ কিলোমিটার দূরে পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়নের বড় নওগাঁ এলাকার আব্দুর রহমান মাস্টারের বাড়ির পূর্ব পাশের একটি পরিত্যক্ত ডোবা থেকে তার ক্ষত-বিক্ষত মরেদহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরেরদিন ওই নারীর ছোট ভাই লাল মিয়া সরদার বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ২ থেকে ৩ জনকে অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে শরীয়তপুর আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন। আসামিদের মধ্যে পাঁচজন জড়িত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করে পুলিশ। পরে ২৮ এপ্রিল ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিজাম বালীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরেরদিন ওমর ফারুক ও মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণের পর হত্যা করার কথা আদালতের কাছে স্বীকার করেন। আর অন্য দুই আসামি ইব্রাহিম ও আল-আমীন পলাতক আছেন। আর ওমর ফারুক জামিনে গিয়ে পলাতক। এ ঘটনায় পরবর্তীতে পুলিশ ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ দুপুরে শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ হত্যা ও ধর্ষণ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।

নিহত ফিরোজা বেগমের ছেলে চিকিৎসক শাহ জালাল হাওলাদার বলেন, আমরা রায়ে খুশি হয়েছি। সরকারের কাছে দাবি, দ্রুত যেন এই রায়ে কার্যকর হয়।

শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট সানাল মিয়া বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক হত্যাকাণ্ডের রায়। বৃদ্ধা নারীকে গণধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। এই মামলায় পাঁচজন আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ এই রায়ে সন্তুষ্ট।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: