ঢাকা , রবিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ট্রাম্প-বাইডেনের পর যুক্তরাষ্ট্রের হাল ধরতে পারে কে

  • পোস্ট হয়েছে : ০৯:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪
  • 67

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনকে ঘিরে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে গোটা বিশ্বের। বিশেষ করে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় ফিরলে দেশটির গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ ও বহির্বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক আমূল বদলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রথম কার্যকালের শেষে ট্রাম্প কিছুতেই নির্বাচনে হার স্বীকার করেননি। দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামোর ওপর জোরালো আঘাত হানতে পারেন বলে অনেক মহল আশঙ্কা করছে। অন্যদিকে, অশীতিপর বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পুনর্নির্বাচিত হলে আরও কতদিন কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন, সে বিষয়েও সংশয় রয়েছে।

রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে ট্রাম্পের পথ থেকে একের পর এক বাধা দূর হচ্ছে। একাধিক সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন৷ বিবেক রামস্বামী ও রন ডিস্যান্টিস রণে ভঙ্গ দিয়েছেন। রামস্বামী ট্রাম্পের ভাইস-প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারেন, এমন জল্পনা-কল্পনাও চলছে।

ট্রাম্পের কিছুটা ‘দায়িত্বশীল’ সংস্করণ হিসেবে পরিচিত ডিস্যান্টিসও শেষ পর্যন্ত সাবেক প্রেসিডেন্টের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন। ফলে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী নিকি হ্যালি। তিনি নিজেকে রিপাবলিকান পার্টিতে ট্রাম্পের একমাত্র বিকল্প এবং ট্রাম্প ও বাইডেনের মতো ‘বৃদ্ধ’ প্রার্থীর বদলে তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের বয়স সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে পারে। বাইডেনের বয়স ৮১ বছর, ট্রাম্পের ৭৭। ফলে তাদের প্রেসিডেন্ট হিসেবে সম্পূর্ণ কার্যকাল পূরণ করার ক্ষমতা রয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

সেক্ষেত্রে ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদ বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে। এখন পর্যন্ত বাইডেনের কার্যকালে কমলা হ্যারিস তেমন নেতৃত্বের পরিচয় দেখাতে পারেননি। বরং, তার দপ্তরে কেলেঙ্কারির জেরে কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন।

অন্যদিকে, ট্রাম্প দলের মনোনয়ন পেলে কাকে ভাইস-প্রেসিডেন্ট প্রার্থী করবেন, তার ওপরও ভোটারদের সিদ্ধান্ত নির্ভর করতে পারে। বাইডেন শেষ মুহূর্তে তার দ্বিতীয় কার্যকালের জন্য আরও আকর্ষণীয় ও গ্রহণযোগ্য কাউকে ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ঘোষণা করলে হয়তো কিছুটা বাড়তি সমর্থন পেতে পারেন।

আবার, কমলা হ্যারিস, বিবেক রামস্বামী ও নিকি হ্যালির মতো তিনজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নেতাদের নিয়ে হিসাব-নিকাশ মার্কিন রাজনীতির বিবর্তন স্পষ্ট করে দিচ্ছে।

বিজনেস আওয়ার/বিএইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ট্রাম্প-বাইডেনের পর যুক্তরাষ্ট্রের হাল ধরতে পারে কে

পোস্ট হয়েছে : ০৯:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনকে ঘিরে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে গোটা বিশ্বের। বিশেষ করে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় ফিরলে দেশটির গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ ও বহির্বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক আমূল বদলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রথম কার্যকালের শেষে ট্রাম্প কিছুতেই নির্বাচনে হার স্বীকার করেননি। দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক কাঠামোর ওপর জোরালো আঘাত হানতে পারেন বলে অনেক মহল আশঙ্কা করছে। অন্যদিকে, অশীতিপর বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পুনর্নির্বাচিত হলে আরও কতদিন কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন, সে বিষয়েও সংশয় রয়েছে।

রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে ট্রাম্পের পথ থেকে একের পর এক বাধা দূর হচ্ছে। একাধিক সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন৷ বিবেক রামস্বামী ও রন ডিস্যান্টিস রণে ভঙ্গ দিয়েছেন। রামস্বামী ট্রাম্পের ভাইস-প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারেন, এমন জল্পনা-কল্পনাও চলছে।

ট্রাম্পের কিছুটা ‘দায়িত্বশীল’ সংস্করণ হিসেবে পরিচিত ডিস্যান্টিসও শেষ পর্যন্ত সাবেক প্রেসিডেন্টের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন। ফলে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী নিকি হ্যালি। তিনি নিজেকে রিপাবলিকান পার্টিতে ট্রাম্পের একমাত্র বিকল্প এবং ট্রাম্প ও বাইডেনের মতো ‘বৃদ্ধ’ প্রার্থীর বদলে তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের বয়স সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে পারে। বাইডেনের বয়স ৮১ বছর, ট্রাম্পের ৭৭। ফলে তাদের প্রেসিডেন্ট হিসেবে সম্পূর্ণ কার্যকাল পূরণ করার ক্ষমতা রয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

সেক্ষেত্রে ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদ বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে। এখন পর্যন্ত বাইডেনের কার্যকালে কমলা হ্যারিস তেমন নেতৃত্বের পরিচয় দেখাতে পারেননি। বরং, তার দপ্তরে কেলেঙ্কারির জেরে কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন।

অন্যদিকে, ট্রাম্প দলের মনোনয়ন পেলে কাকে ভাইস-প্রেসিডেন্ট প্রার্থী করবেন, তার ওপরও ভোটারদের সিদ্ধান্ত নির্ভর করতে পারে। বাইডেন শেষ মুহূর্তে তার দ্বিতীয় কার্যকালের জন্য আরও আকর্ষণীয় ও গ্রহণযোগ্য কাউকে ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ঘোষণা করলে হয়তো কিছুটা বাড়তি সমর্থন পেতে পারেন।

আবার, কমলা হ্যারিস, বিবেক রামস্বামী ও নিকি হ্যালির মতো তিনজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নেতাদের নিয়ে হিসাব-নিকাশ মার্কিন রাজনীতির বিবর্তন স্পষ্ট করে দিচ্ছে।

বিজনেস আওয়ার/বিএইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: