ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাঁচে পাঁচ পরাজয় সিলেটের, জয়ে ফিরছে বরিশাল

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪
  • 8

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: সিলেটের পাঁচে পাঁচ পরাজয়! গত আসরে যে দলটি প্রথম চার ম্যাচ টানা জিতেছিল, খেলেছিল টুর্নামেন্টের ফাইনাল। তারাই এবার উল্টো চিত্র দেখছে বিপিএলের দশম আসরে। টানা পঞ্চম ম্যাচ হেরে প্লে অফের সমীকরণ কঠিন করে ফেলেছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।

ঘরের মাঠে সিলেটকে তৃতীয় পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ দিয়েছে ফরচুন বরিশাল। সিলেটকে হারিয়ে তিন ম্যাচ পর জয়ে ফিরেছে তারা। সিলেটের আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে নেমে বরিশাল ৫ উইকেটে ১৮৬ রান সংগ্রহ করে। জবাবে সিলেটের ইনিংস থেমে যায় ১৩৭ রানে। ৪৯ রানের জয়ে দ্বিতীয় জয় পেয়েছে তামিমের বরিশাল।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার দিনের ম্যাচে বড় ব্যবধান গড়ে দেয় শেষ পাঁচ ওভার। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে রংপুর রাইডার্স তোলে ৬৮ রান। রাতের ম্যাচেও একই চিত্র। সিলেটের বোলিং তুলোধুনো করে তারা পায় ৬৩ রান।

বরিশালের ইনিংস টেনেছেন দুজন। শুরুর ১৩ ওভার পর্যন্ত আহমেদ শেহজাদ। শেষের ৭ ওভারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের ব্যাটে চড়ে জয়ের রান পেয়ে যান বরিশাল। শেহজাদ প্রথম ম্যাচের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে আজ ৪১ বলে ৬৬ রান করেন ৯ চার ও ২ ছক্কায়। ১৬০.৯৭ স্ট্রাইক রেটে সাজানো ইনিংসটি ম্যাচের শুরুতে গড়ে দেয় ব্যবধান। বেনি হাওয়েলকে শেহজাদ ফিরতি ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরলে বরিশালের ইনিংস শেষ করার দায়িত্ব নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মাত্র ২৩ বলে ফিফটি ছোয়া মাহমুদউল্লাহ ইনিংস শেষ করেন ৫১ রানে। ৭ চার ও ২ ছক্কা হাকিয়ে শেষের দিকে সিলেটের বোলিং লন্ডভন্ড করে দেন। তার সঙ্গে দারুণ ফিনিশিং করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৬ বলে ১টি করে চার ও ছক্কায় ১৫ রান করেন।

এর আগে, হাসেনি তামিমের ব্যাট (২)। ভালো শুরুর পর মুশফিক (২২) ও সৌম্য (২০) ইনিংস বড় করতে পারেননি। সিলেটের সেরা বোলার ছিলেন বেনি হাওয়েল। ২১ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি।

লক্ষ্য তাড়ায় সিলেটের ইনিংস গতি পায় চতুর্থ উইকেটে। এর আগে ৭ ওভারে ৩ উইকেটে তাদের রান ছিল মাত্র ৫২। অফফর্মে থাকা শান্ত ২ চারে ৯ রান করে থেমে যান মিরাজের বলে। মিঠুনের পরিবর্তে প্রথমবার সুযোগ পাওয়া শামসুর রহমান ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৩ বলে করেন ২৩ রান। মাশরাফি তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি। ৩ বলে ২ রান করে আউট হন খালেদের বলে।

সেখান থেকে জাকির হাসান ও বেনি হাওয়েলের জুটিতে প্রতি আক্রমণে যায় সিলেট। তাদের ৪২ বলে ৫৮ রানের জুটি চোখ রাঙাচ্ছিল বরিশালকে। অধিনায়ক তামিমের কপালে ছিল চিন্তার ভাজ। কিন্তু একই রানে দুই থিতু হওয়া ব্যাটসম্যান ড্রেসিংরুমে ফিরলে প্রাণে পানি আসে বরিশালের। পেসার মোহাম্মদ ইমরানের বল উড়াতে গিয়ে সীমানায় ক্যাচ দেন জাকির হাসান। ড্রেসিংরুমে ফেরার আগে ৩৪ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪৬ রান করেন। পরের ওভারের প্রথম বলে মিরাজের বলে আলগা শটে কাভারে ক্যাচ দেন হাওয়েল। তার ব্যাটে ২ ছক্কায় ১৯ বলে আসে ২৪ রান।

আসকিং রেট ১২ এর ওপর চলে যাওয়ায় প্রবল চাপ বাড়ছিল সিলেটের। জিততে হলে দ্রুত রান করতেই হতো তাদের। ঝুঁকি নিতে গিয়ে পরের ব্যাটসম্যানরা সফল হননি। আরিফুল ২, বার্ল ১, নাঈম ১ রানে ফেরেন ড্রেসিংরুমে। শেষ দিকে রাজা ও সামিট পাটেল ৩ ছক্কা হাঁকিয়ে পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়ে আনেন। বিপিএলে দ্বিতীয়বারের মতো লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সিলেট সবকটি উইকেট হারিয়ে ম্যাচ হারল। ১৫ বল আগেই শেষ হয় তাদের ইনিংস।

বিজনেস আওয়ার/বিএইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

পাঁচে পাঁচ পরাজয় সিলেটের, জয়ে ফিরছে বরিশাল

পোস্ট হয়েছে : ১০:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: সিলেটের পাঁচে পাঁচ পরাজয়! গত আসরে যে দলটি প্রথম চার ম্যাচ টানা জিতেছিল, খেলেছিল টুর্নামেন্টের ফাইনাল। তারাই এবার উল্টো চিত্র দেখছে বিপিএলের দশম আসরে। টানা পঞ্চম ম্যাচ হেরে প্লে অফের সমীকরণ কঠিন করে ফেলেছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।

ঘরের মাঠে সিলেটকে তৃতীয় পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ দিয়েছে ফরচুন বরিশাল। সিলেটকে হারিয়ে তিন ম্যাচ পর জয়ে ফিরেছে তারা। সিলেটের আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে নেমে বরিশাল ৫ উইকেটে ১৮৬ রান সংগ্রহ করে। জবাবে সিলেটের ইনিংস থেমে যায় ১৩৭ রানে। ৪৯ রানের জয়ে দ্বিতীয় জয় পেয়েছে তামিমের বরিশাল।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার দিনের ম্যাচে বড় ব্যবধান গড়ে দেয় শেষ পাঁচ ওভার। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে রংপুর রাইডার্স তোলে ৬৮ রান। রাতের ম্যাচেও একই চিত্র। সিলেটের বোলিং তুলোধুনো করে তারা পায় ৬৩ রান।

বরিশালের ইনিংস টেনেছেন দুজন। শুরুর ১৩ ওভার পর্যন্ত আহমেদ শেহজাদ। শেষের ৭ ওভারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের ব্যাটে চড়ে জয়ের রান পেয়ে যান বরিশাল। শেহজাদ প্রথম ম্যাচের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে আজ ৪১ বলে ৬৬ রান করেন ৯ চার ও ২ ছক্কায়। ১৬০.৯৭ স্ট্রাইক রেটে সাজানো ইনিংসটি ম্যাচের শুরুতে গড়ে দেয় ব্যবধান। বেনি হাওয়েলকে শেহজাদ ফিরতি ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরলে বরিশালের ইনিংস শেষ করার দায়িত্ব নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মাত্র ২৩ বলে ফিফটি ছোয়া মাহমুদউল্লাহ ইনিংস শেষ করেন ৫১ রানে। ৭ চার ও ২ ছক্কা হাকিয়ে শেষের দিকে সিলেটের বোলিং লন্ডভন্ড করে দেন। তার সঙ্গে দারুণ ফিনিশিং করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৬ বলে ১টি করে চার ও ছক্কায় ১৫ রান করেন।

এর আগে, হাসেনি তামিমের ব্যাট (২)। ভালো শুরুর পর মুশফিক (২২) ও সৌম্য (২০) ইনিংস বড় করতে পারেননি। সিলেটের সেরা বোলার ছিলেন বেনি হাওয়েল। ২১ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি।

লক্ষ্য তাড়ায় সিলেটের ইনিংস গতি পায় চতুর্থ উইকেটে। এর আগে ৭ ওভারে ৩ উইকেটে তাদের রান ছিল মাত্র ৫২। অফফর্মে থাকা শান্ত ২ চারে ৯ রান করে থেমে যান মিরাজের বলে। মিঠুনের পরিবর্তে প্রথমবার সুযোগ পাওয়া শামসুর রহমান ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৩ বলে করেন ২৩ রান। মাশরাফি তিনে নেমে সুবিধা করতে পারেননি। ৩ বলে ২ রান করে আউট হন খালেদের বলে।

সেখান থেকে জাকির হাসান ও বেনি হাওয়েলের জুটিতে প্রতি আক্রমণে যায় সিলেট। তাদের ৪২ বলে ৫৮ রানের জুটি চোখ রাঙাচ্ছিল বরিশালকে। অধিনায়ক তামিমের কপালে ছিল চিন্তার ভাজ। কিন্তু একই রানে দুই থিতু হওয়া ব্যাটসম্যান ড্রেসিংরুমে ফিরলে প্রাণে পানি আসে বরিশালের। পেসার মোহাম্মদ ইমরানের বল উড়াতে গিয়ে সীমানায় ক্যাচ দেন জাকির হাসান। ড্রেসিংরুমে ফেরার আগে ৩৪ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪৬ রান করেন। পরের ওভারের প্রথম বলে মিরাজের বলে আলগা শটে কাভারে ক্যাচ দেন হাওয়েল। তার ব্যাটে ২ ছক্কায় ১৯ বলে আসে ২৪ রান।

আসকিং রেট ১২ এর ওপর চলে যাওয়ায় প্রবল চাপ বাড়ছিল সিলেটের। জিততে হলে দ্রুত রান করতেই হতো তাদের। ঝুঁকি নিতে গিয়ে পরের ব্যাটসম্যানরা সফল হননি। আরিফুল ২, বার্ল ১, নাঈম ১ রানে ফেরেন ড্রেসিংরুমে। শেষ দিকে রাজা ও সামিট পাটেল ৩ ছক্কা হাঁকিয়ে পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়ে আনেন। বিপিএলে দ্বিতীয়বারের মতো লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সিলেট সবকটি উইকেট হারিয়ে ম্যাচ হারল। ১৫ বল আগেই শেষ হয় তাদের ইনিংস।

বিজনেস আওয়ার/বিএইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: