ঢাকা , শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মালয়েশিয়ায় বন্দিশিবির থেকে রোহিঙ্গা পালিয়েছে শতাধিক

  • পোস্ট হয়েছে : ০৬:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • 9

বিজনেম আওয়ার ডেস্ক: মালয়েশিয়ার একটি বন্দিশিবির থেকে শতাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থী পলাতক। সেখানে একটি দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ার পর এই ঘটনা ঘটে। তবে পালিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় গাড়ির ধাক্কায় একজন মারা গেছেন।

শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) দেশটির পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।

মিয়ানমারে হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়ে মুসলিম দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে রোহিঙ্গারা, যা এখনো অব্যহত রয়েছে। বাংলাদেশের পাশাপাশি মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া রোহিঙ্গাদের অন্যতম গন্তব্য।

এসব রোহিঙ্গারা অনেক সময় সমুদ্রপথে ঝুঁকি নিয়ে মালয়েশিয়ায় যায়। আবার অনেক সময় থাইল্যান্ড সীমান্ত দিয়েও যাওয়ার চেষ্টা করে।

তবে অবৈধ পথে যাওয়ার পর তাদেরকে অনেক সবয় বন্দিশিবিরে রাখা হয়। তবে বিভিন্ন অধিকার সংগঠনগুলো জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের যে পরিবেশে রাখা হয় তা যথাযথ নয়।

২০২৩ সালে সাগরে অন্তত ৫৬৯ রোহিঙ্গা মারা গেছেন অথবা নিখোঁজ হয়েছেন, যা ২০১৪ সালের পর সর্বোচ্চ। মূলত দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ পথে ভ্রমণ করার সময় দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়।

বলা হয়েছে, গত বছর যারা ঝুঁকিপূর্ণ পথে অন্য দেশে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেছে তাদের প্রতি আটজনে একজন হয় মারা গেছেন না হয় নিখোঁজ হয়েছেন।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে যেসব রোহিঙ্গা অবশিষ্ট রয়েছেন তাদের ওপর বিভিন্ন ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বসবাস করছেন ক্যাম্পে। তিন বছর আগে মিয়নামারে অং সান সুচিকে হঠিয়ে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এরপরই শুরু হয় রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন।

সূত্র: এমএফপি

বিজনেম আওয়ার/বিএইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

মালয়েশিয়ায় বন্দিশিবির থেকে রোহিঙ্গা পালিয়েছে শতাধিক

পোস্ট হয়েছে : ০৬:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বিজনেম আওয়ার ডেস্ক: মালয়েশিয়ার একটি বন্দিশিবির থেকে শতাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থী পলাতক। সেখানে একটি দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ার পর এই ঘটনা ঘটে। তবে পালিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় গাড়ির ধাক্কায় একজন মারা গেছেন।

শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) দেশটির পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।

মিয়ানমারে হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়ে মুসলিম দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে রোহিঙ্গারা, যা এখনো অব্যহত রয়েছে। বাংলাদেশের পাশাপাশি মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া রোহিঙ্গাদের অন্যতম গন্তব্য।

এসব রোহিঙ্গারা অনেক সময় সমুদ্রপথে ঝুঁকি নিয়ে মালয়েশিয়ায় যায়। আবার অনেক সময় থাইল্যান্ড সীমান্ত দিয়েও যাওয়ার চেষ্টা করে।

তবে অবৈধ পথে যাওয়ার পর তাদেরকে অনেক সবয় বন্দিশিবিরে রাখা হয়। তবে বিভিন্ন অধিকার সংগঠনগুলো জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের যে পরিবেশে রাখা হয় তা যথাযথ নয়।

২০২৩ সালে সাগরে অন্তত ৫৬৯ রোহিঙ্গা মারা গেছেন অথবা নিখোঁজ হয়েছেন, যা ২০১৪ সালের পর সর্বোচ্চ। মূলত দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ পথে ভ্রমণ করার সময় দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়।

বলা হয়েছে, গত বছর যারা ঝুঁকিপূর্ণ পথে অন্য দেশে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেছে তাদের প্রতি আটজনে একজন হয় মারা গেছেন না হয় নিখোঁজ হয়েছেন।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে যেসব রোহিঙ্গা অবশিষ্ট রয়েছেন তাদের ওপর বিভিন্ন ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বসবাস করছেন ক্যাম্পে। তিন বছর আগে মিয়নামারে অং সান সুচিকে হঠিয়ে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এরপরই শুরু হয় রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন।

সূত্র: এমএফপি

বিজনেম আওয়ার/বিএইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: