ঢাকা , শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রেমিট্যান্স আহরণে ইসলামী ব্যাংকের রেকর্ড

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • 6

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে ৭০০ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আহরণের মাধ্যমে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। জানুয়ারি মাসে ইসলামী ব্যাংকের আহরিত রেমিট্যান্স মোট রেমিট্যান্সের প্রায় ৩৫ শতাংশ এবং ইসলামী ব্যাংকগুলোর আহরিত রেমিট্যান্সের ৫০ শতাংশের বেশি। জানুয়ারি মাস জুড়ে বিভিন্ন দেশে থাকা বাংলাদেশিরা এসব রেমিট্যান্স ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠিয়েছেন।

গত মাসেও বরাবরের মতো প্রবাসীদের পছন্দের শীর্ষে ছিল ইসলামী ব্যাংক। ফলে, সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আহরণ করে রেকর্ড করে এ ব্যাংক।

ইসলামী ব্যাংক দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে প্রবাসী আয় আহরণে শীর্ষ স্থানে আছে। ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে নিজস্ব আমদানি ব্যায় পরিশোধের পর এ পর্যন্ত সরকারি রিজার্ভে ১২.৫০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি যোগ করে অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রেখেছে। ইসলামী ব্যাংক সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ ও প্রবাসী সেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় দেশি-বিদেশি নানা পুরস্কার ও স্বীকৃতি পেয়েছে।

ইসলামী ব্যাংক রেমিট্যান্স আহরণ ও প্রবাসীদের সেবায় বিশেষ গুরুত্ব দেয়। বর্তমানে ব্যাংকের ২৯ জন প্রতিনিধি সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান, জর্ডান ও সিঙ্গাপুরে প্রবাসীদের সেবা দিচ্ছেন। ৬৪টি দেশের ৫৯৪টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক আছে ইসলামী ব্যাংকের। প্রবাসীদের কষ্টার্জিত আয়কে বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে আনার জন্য ২১ দেশের ১৫৫টি ব্যাংক ও এক্সচেঞ্জ হাউজের সঙ্গে ইসলামী ব্যাংকের চুক্তি আছে। দুই শতাধিক দেশ থেকে আসা রেমিট্যান্স বেনিফিসিয়ারির অ্যাকাউন্টে জমা হয়।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের অধিকাংশই মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত। আগে এসব দেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর সহজ, নিরাপদ ও দ্রুত উপায় না থাকায় প্রবাসীরা অবৈধ উপায় অবলম্বন করত। ইসলামী ব্যাংক প্রবাসীদের সঙ্গে নিয়মিত মতবিনিময় সভা ও বিশেষ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে মানুষকে বৈধ চ্যানেলে টাকা পাঠাতে উৎসাহিত করে। প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থ দেশে আসছে নিরাপদে। বিনিয়োগ হচ্ছে উন্নয়ন খাতে।

প্রবাসীদের স্বজনদের হাতে দ্রুত ও নিরাপদে টাকা পৌঁছে দিতে ইসলামী ব্যাংক এপিআই স্থাপন করেছে। এর মাধ্যমে ব্যাংকের নিবেদিত কর্মকর্তারা ২৪ ঘণ্টা রেমিট্যান্স সেবাদিচ্ছেন। ইসলামী ব্যাংকের ৩৯৪টি শাখা, ২৪৯টি উপ-শাখা, ২ হাজার ৭৭৩টি এজেন্ট ব্যাংক ও ২ হাজার ৯৯৪টি এটিএম/সিআরএমের সমন্বয়ে গঠিত দেশের সর্ববৃহৎ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে রেমিট্যান্স বেনিফেসিয়ারিরা তাৎক্ষণিক টাকা সংগ্রহ করতে পারেন। প্রবাসী এবং তাদের সুবিধাভোগীদের আরো দ্রুত ও উন্নত সেবা দেওয়ার জন্য ব্যাংকের প্রত্যেকটি শাখায় রেমিট্যান্স লাউঞ্জ স্থাপন কার্যক্রম চলছে, যা খুব দ্রুত শেষ হবে।

উল্লেখ্য, ইসলামী ব্যাংক ২০২৩ সালে এককভাবে ৫ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের রেমিট্যান্স আহরণ করে, যা মোট রেমিট্যান্সের ২৩ শতাংশ।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

রেমিট্যান্স আহরণে ইসলামী ব্যাংকের রেকর্ড

পোস্ট হয়েছে : ১০:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে ৭০০ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আহরণের মাধ্যমে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। জানুয়ারি মাসে ইসলামী ব্যাংকের আহরিত রেমিট্যান্স মোট রেমিট্যান্সের প্রায় ৩৫ শতাংশ এবং ইসলামী ব্যাংকগুলোর আহরিত রেমিট্যান্সের ৫০ শতাংশের বেশি। জানুয়ারি মাস জুড়ে বিভিন্ন দেশে থাকা বাংলাদেশিরা এসব রেমিট্যান্স ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠিয়েছেন।

গত মাসেও বরাবরের মতো প্রবাসীদের পছন্দের শীর্ষে ছিল ইসলামী ব্যাংক। ফলে, সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আহরণ করে রেকর্ড করে এ ব্যাংক।

ইসলামী ব্যাংক দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে প্রবাসী আয় আহরণে শীর্ষ স্থানে আছে। ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে নিজস্ব আমদানি ব্যায় পরিশোধের পর এ পর্যন্ত সরকারি রিজার্ভে ১২.৫০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি যোগ করে অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রেখেছে। ইসলামী ব্যাংক সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ ও প্রবাসী সেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় দেশি-বিদেশি নানা পুরস্কার ও স্বীকৃতি পেয়েছে।

ইসলামী ব্যাংক রেমিট্যান্স আহরণ ও প্রবাসীদের সেবায় বিশেষ গুরুত্ব দেয়। বর্তমানে ব্যাংকের ২৯ জন প্রতিনিধি সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান, জর্ডান ও সিঙ্গাপুরে প্রবাসীদের সেবা দিচ্ছেন। ৬৪টি দেশের ৫৯৪টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক আছে ইসলামী ব্যাংকের। প্রবাসীদের কষ্টার্জিত আয়কে বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে আনার জন্য ২১ দেশের ১৫৫টি ব্যাংক ও এক্সচেঞ্জ হাউজের সঙ্গে ইসলামী ব্যাংকের চুক্তি আছে। দুই শতাধিক দেশ থেকে আসা রেমিট্যান্স বেনিফিসিয়ারির অ্যাকাউন্টে জমা হয়।

প্রবাসী বাংলাদেশিদের অধিকাংশই মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত। আগে এসব দেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর সহজ, নিরাপদ ও দ্রুত উপায় না থাকায় প্রবাসীরা অবৈধ উপায় অবলম্বন করত। ইসলামী ব্যাংক প্রবাসীদের সঙ্গে নিয়মিত মতবিনিময় সভা ও বিশেষ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে মানুষকে বৈধ চ্যানেলে টাকা পাঠাতে উৎসাহিত করে। প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থ দেশে আসছে নিরাপদে। বিনিয়োগ হচ্ছে উন্নয়ন খাতে।

প্রবাসীদের স্বজনদের হাতে দ্রুত ও নিরাপদে টাকা পৌঁছে দিতে ইসলামী ব্যাংক এপিআই স্থাপন করেছে। এর মাধ্যমে ব্যাংকের নিবেদিত কর্মকর্তারা ২৪ ঘণ্টা রেমিট্যান্স সেবাদিচ্ছেন। ইসলামী ব্যাংকের ৩৯৪টি শাখা, ২৪৯টি উপ-শাখা, ২ হাজার ৭৭৩টি এজেন্ট ব্যাংক ও ২ হাজার ৯৯৪টি এটিএম/সিআরএমের সমন্বয়ে গঠিত দেশের সর্ববৃহৎ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে রেমিট্যান্স বেনিফেসিয়ারিরা তাৎক্ষণিক টাকা সংগ্রহ করতে পারেন। প্রবাসী এবং তাদের সুবিধাভোগীদের আরো দ্রুত ও উন্নত সেবা দেওয়ার জন্য ব্যাংকের প্রত্যেকটি শাখায় রেমিট্যান্স লাউঞ্জ স্থাপন কার্যক্রম চলছে, যা খুব দ্রুত শেষ হবে।

উল্লেখ্য, ইসলামী ব্যাংক ২০২৩ সালে এককভাবে ৫ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের রেমিট্যান্স আহরণ করে, যা মোট রেমিট্যান্সের ২৩ শতাংশ।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: