ঢাকা , সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইরানের অস্ত্র-সাইবার কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • 19

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন ক্রয় কর্মসূচিকে লক্ষ্য করে শুক্রবার নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, মার্কিন অবকাঠামো হ্যাকিংয়ের সঙ্গে ইরান জড়িত ছিল।

ওয়াশিংটন তেহরানের ওপর চাপ বাড়াতে চায়।
মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন কর্মসূচিতে উপকরণ ও প্রযুক্তি সরবরাহে জড়িত চারটি ইরান- ও হংকং-ভিত্তিক কোম্পানির পাশাপাশি চীনাদের কাছে ইরানের পণ্য বিক্রির জন্য হংকং-ভিত্তিক একটি সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

ট্রেজারি আরও বলেছে, এসব নিষেধাজ্ঞা আইআরজিসি’র সাইবার-ইলেক্ট্রনিক কমান্ডের ছয় কর্মকর্তা এবং ইরানের ব্যালিস্টিক মিসাইল এবং ড্রোন কর্মসূচির জন্য উপকরণ সরবরাহকারী ইরান ও হংকং-ভিত্তিক সরবরাহকারীদের একটি নেটওয়ার্ককে লক্ষ্য করে দেওয়া হয়েছে।

আন্ডার সেক্রেটারি অব টেররিজম অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্রায়ান ই নেলসন এক বিবৃতিতে বলেছেন, মার্কিন সৈন্যদের লক্ষ্য করে ইউএভি এবং ক্ষেপণাস্ত্রসহ ইরানের উন্নত প্রচলিত অস্ত্রের ক্রমাগত বিস্তার এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য একটি গুরুতর হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, আমরা এসব অস্ত্র তৈরির উপাদান সরবরাহকারী অবৈধ ক্রয় নেটওয়ার্কগুলোকে ব্যাহত করার জন্য আমাদের পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করব না। সেই সঙ্গে যারা এসব অস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কাছে রপ্তানি করতে চায় তাদেরও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।

একটি পৃথক বিবৃতিতে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, আইআরজিসি-সিইসি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ওপর সাইবার আক্রমণের জন্য দায়ী।

জাতিসংঘে ইরানের মিশন তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চীনের দূতাবাস এ নিষেধাজ্ঞাকে ‘বেআইনি একতরফা’ পদক্ষেপ বলে সমালোচনা করেছে।

গত সপ্তাহে জর্ডানে সিরিয়া সীমান্তবর্তী মার্কিন ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় তিন সেনা নিহত ও ৪০ জনের বেশি আহত হওয়ার প্রতিশোধ নিতে শুক্রবার ইরাক ও সিরিয়ায় সাতটি ইরানি স্থাপনার ৮৫ লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী। এরপরই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নতুন এ নিষেধাজ্ঞা অনুমোদন করেন।

এদিকে, মার্কিন প্রসিকিউটররাও ঘোষণা করেছেন, তারা আইআরজিসি’র অভিজাত বাহিনী কুদস ফোর্সকে অর্থায়নের জন্য ব্যবহৃত তেলপাঁচারের স্কিম থেকে ১০৮ মিলিয়ন ডলার জব্দ করেছে।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ইরানের অস্ত্র-সাইবার কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র

পোস্ট হয়েছে : ১২:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন ক্রয় কর্মসূচিকে লক্ষ্য করে শুক্রবার নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, মার্কিন অবকাঠামো হ্যাকিংয়ের সঙ্গে ইরান জড়িত ছিল।

ওয়াশিংটন তেহরানের ওপর চাপ বাড়াতে চায়।
মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন কর্মসূচিতে উপকরণ ও প্রযুক্তি সরবরাহে জড়িত চারটি ইরান- ও হংকং-ভিত্তিক কোম্পানির পাশাপাশি চীনাদের কাছে ইরানের পণ্য বিক্রির জন্য হংকং-ভিত্তিক একটি সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

ট্রেজারি আরও বলেছে, এসব নিষেধাজ্ঞা আইআরজিসি’র সাইবার-ইলেক্ট্রনিক কমান্ডের ছয় কর্মকর্তা এবং ইরানের ব্যালিস্টিক মিসাইল এবং ড্রোন কর্মসূচির জন্য উপকরণ সরবরাহকারী ইরান ও হংকং-ভিত্তিক সরবরাহকারীদের একটি নেটওয়ার্ককে লক্ষ্য করে দেওয়া হয়েছে।

আন্ডার সেক্রেটারি অব টেররিজম অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্রায়ান ই নেলসন এক বিবৃতিতে বলেছেন, মার্কিন সৈন্যদের লক্ষ্য করে ইউএভি এবং ক্ষেপণাস্ত্রসহ ইরানের উন্নত প্রচলিত অস্ত্রের ক্রমাগত বিস্তার এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য একটি গুরুতর হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, আমরা এসব অস্ত্র তৈরির উপাদান সরবরাহকারী অবৈধ ক্রয় নেটওয়ার্কগুলোকে ব্যাহত করার জন্য আমাদের পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করব না। সেই সঙ্গে যারা এসব অস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কাছে রপ্তানি করতে চায় তাদেরও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।

একটি পৃথক বিবৃতিতে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, আইআরজিসি-সিইসি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ওপর সাইবার আক্রমণের জন্য দায়ী।

জাতিসংঘে ইরানের মিশন তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চীনের দূতাবাস এ নিষেধাজ্ঞাকে ‘বেআইনি একতরফা’ পদক্ষেপ বলে সমালোচনা করেছে।

গত সপ্তাহে জর্ডানে সিরিয়া সীমান্তবর্তী মার্কিন ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় তিন সেনা নিহত ও ৪০ জনের বেশি আহত হওয়ার প্রতিশোধ নিতে শুক্রবার ইরাক ও সিরিয়ায় সাতটি ইরানি স্থাপনার ৮৫ লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী। এরপরই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নতুন এ নিষেধাজ্ঞা অনুমোদন করেন।

এদিকে, মার্কিন প্রসিকিউটররাও ঘোষণা করেছেন, তারা আইআরজিসি’র অভিজাত বাহিনী কুদস ফোর্সকে অর্থায়নের জন্য ব্যবহৃত তেলপাঁচারের স্কিম থেকে ১০৮ মিলিয়ন ডলার জব্দ করেছে।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: