ঢাকা , রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কমিউনিটি ক্লিনিকের ধারণা কাজে লাগাতে চায় নেপাল সরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

  • পোস্ট হয়েছে : ০৬:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • 12

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিকের ধারণাকে নেপাল সরকার কাজে লাগাতে চায় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দপ্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে ফেডারেল ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি এ কথা জানান।

এ সময় নেপাল দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব যোজনা বামজান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন।

সাক্ষাতকালে নেপাল সরকারের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ধারণার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক ধারণাকে কীভাবে নেপালেও কাজে লাগানো যায়, এ বিষয়ে নেপাল রাষ্ট্রদূত স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চান।

নেপাল রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, বাংলাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের চিন্তা এবং এর সম্প্রসারণ সবই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মস্তিষ্ক নিঃসৃত বিষয়। প্রধানমন্ত্রীর এ দূরদর্শী চিন্তার ফসল হিসেবে স্বাস্থ্য সেবা এখন বাংলাদেশের একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ে চলে গেছে।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত প্রায় ৭৮টি দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ধারণাকে গ্রহণ করেছে। এসব ক্লিনিক থেকে ৩২ রকমের ওষুধ বর্তমানে বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। আগামীতে এসব ক্লিনিকের সেবার পরিধির আরও বিস্তার করার চিন্তাভাবনাও চলছে আমাদের। আর নেপাল সরকার এ কমিউনিটি ক্লিনিক ধারণাকে নিজ দেশে কাজে লাগাতে চাইলে বাংলাদেশ থেকে আমরা প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করব।

আলাপকালে বাংলাদেশের শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভুটানের এক রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে নেপাল রাষ্ট্রদূতকে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভুটান থেকে একজন রোগী চিকিৎসা নিতে আমাদের দেশের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে এসে ভর্তি আছেন। ভুটানে ওই রোগীর যে চিকিৎসা সম্ভব হয়নি, তা এখন বাংলাদেশেই হচ্ছে। অনুরূপভাবে নেপাল থেকেও কোনো গুরুতর রোগী চিকিৎসা নিতে আমাদের দেশে এলে আমরা তাদেরও চিকিৎসা সেবা দিতে সচেষ্ট হব।

রাষ্ট্রদূত স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশের মেডিক্যাল কলেজগুলোতে নেপালের বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীর পড়ালেখার বিশেষ সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ করেন।

নেপাল-বাংলাদেশ স্বাস্থ্য পর্যটন খাত তৈরি করা বিষয়েও তারা আলাপ করেন। সাক্ষাতকালে, দুই দেশে ভ্যাকসিন সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো, প্রাইমারি স্বাস্থ্যসেবা বাড়ানো, চিকিৎসক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ বিনিময় করা নিয়েও কথা হয়।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

কমিউনিটি ক্লিনিকের ধারণা কাজে লাগাতে চায় নেপাল সরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

পোস্ট হয়েছে : ০৬:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিকের ধারণাকে নেপাল সরকার কাজে লাগাতে চায় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দপ্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে ফেডারেল ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি এ কথা জানান।

এ সময় নেপাল দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব যোজনা বামজান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন।

সাক্ষাতকালে নেপাল সরকারের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ধারণার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক ধারণাকে কীভাবে নেপালেও কাজে লাগানো যায়, এ বিষয়ে নেপাল রাষ্ট্রদূত স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে চান।

নেপাল রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, বাংলাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের চিন্তা এবং এর সম্প্রসারণ সবই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মস্তিষ্ক নিঃসৃত বিষয়। প্রধানমন্ত্রীর এ দূরদর্শী চিন্তার ফসল হিসেবে স্বাস্থ্য সেবা এখন বাংলাদেশের একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ে চলে গেছে।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত প্রায় ৭৮টি দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ধারণাকে গ্রহণ করেছে। এসব ক্লিনিক থেকে ৩২ রকমের ওষুধ বর্তমানে বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। আগামীতে এসব ক্লিনিকের সেবার পরিধির আরও বিস্তার করার চিন্তাভাবনাও চলছে আমাদের। আর নেপাল সরকার এ কমিউনিটি ক্লিনিক ধারণাকে নিজ দেশে কাজে লাগাতে চাইলে বাংলাদেশ থেকে আমরা প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করব।

আলাপকালে বাংলাদেশের শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভুটানের এক রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে নেপাল রাষ্ট্রদূতকে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভুটান থেকে একজন রোগী চিকিৎসা নিতে আমাদের দেশের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে এসে ভর্তি আছেন। ভুটানে ওই রোগীর যে চিকিৎসা সম্ভব হয়নি, তা এখন বাংলাদেশেই হচ্ছে। অনুরূপভাবে নেপাল থেকেও কোনো গুরুতর রোগী চিকিৎসা নিতে আমাদের দেশে এলে আমরা তাদেরও চিকিৎসা সেবা দিতে সচেষ্ট হব।

রাষ্ট্রদূত স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশের মেডিক্যাল কলেজগুলোতে নেপালের বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীর পড়ালেখার বিশেষ সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ করেন।

নেপাল-বাংলাদেশ স্বাস্থ্য পর্যটন খাত তৈরি করা বিষয়েও তারা আলাপ করেন। সাক্ষাতকালে, দুই দেশে ভ্যাকসিন সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো, প্রাইমারি স্বাস্থ্যসেবা বাড়ানো, চিকিৎসক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ বিনিময় করা নিয়েও কথা হয়।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: