ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্ত্রীকে নিয়ে সাবেক ডাচ প্রধানমন্ত্রীর স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ

  • পোস্ট হয়েছে : ০৫:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • 109

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নেদারল্যান্ডসের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দ্রিস ভ্যান অ্যাগট তার স্ত্রীকে নিয়ে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করেছেন। দ্রিস ভ্যান ও তার স্ত্রী ইগুইন উভয়ই ৯৩ বছর বয়সী ছিলেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত সোমবার তাদের মৃত্যু হয়। যা নেদারল্যান্ডসে ‘যুগলদের স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণের’ ক্রমবর্ধমান ট্রেন্ডের একটি প্রতিচ্ছবি।

নেদারল্যান্ডসে ২০২০ সালে ২৬ দম্পতিকে একসঙ্গে মৃত্যুবরণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। পরের বছর এটি ৩২ এ দাঁড়ায়। আর ২০২৩ সালে দেশটিতে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করেছিলেন ৫৮টি যুগল।

ডাচ সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, দ্রিস ভ্যান ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি খ্রিস্টান ডেমোক্র্যাটিক আপিল পার্টির নেতা ছিলেন। তিনি ব্যক্তি জীবনে ক্যাথলিক খ্রিস্টান ছিলেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও সব সময় নিজের পথে চলেছেন।

দ্রিস ভ্যানের প্রতিষ্ঠিত একটি অধিকার সংস্থা তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সংস্থাটির পরিচালক জেরার্ড জোনকম্যান সংবাদমাধ্যম এনওএসকে বলেছেন, গত সপ্তাহে ‘একসঙ্গে হাতে হাত রেখে’ তাদের মৃত্যু হয়েছে।

তিনি আরও জানিয়েছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী দ্রিস ভ্যান গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। কিন্তু তিনি তার স্ত্রীকে রেখে আগে চলে যেতে পারতেন না। ফলে তারা দুজনই একসঙ্গে মৃত্যুবরণ করেছেন।

২০১৯ সালে দ্রিস ভ্যানের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়েন। যেখান থেকে আর কখনো সুস্থ হননি তিনি।

নেদারল্যান্ডসে ২০০২ সাল থেকে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ বা সাহায্য নিয়ে আত্মহত্যার অনুমতি রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে ছয়টি শর্ত রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো— যদি কেউ স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণের আগ্রহ দেখান তাহলে তাকে অসহ্যকর যন্ত্রণার মধ্যে থাকতে হবে। সুস্থ হবেন এমন কোনো সম্ভাবনা থাকা যাবে না এবং মৃত্যুবরণের স্বইচ্ছা থাকতে হবে।

যাচাই-বাছাইয়ের পর আগ্রহী ব্যক্তিকে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণের অনুমতি দেওয়া হবে। আর এতে সহযোগিতা করবেন পারিবারিক চিকিৎসক।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

স্ত্রীকে নিয়ে সাবেক ডাচ প্রধানমন্ত্রীর স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ

পোস্ট হয়েছে : ০৫:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নেদারল্যান্ডসের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দ্রিস ভ্যান অ্যাগট তার স্ত্রীকে নিয়ে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করেছেন। দ্রিস ভ্যান ও তার স্ত্রী ইগুইন উভয়ই ৯৩ বছর বয়সী ছিলেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত সোমবার তাদের মৃত্যু হয়। যা নেদারল্যান্ডসে ‘যুগলদের স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণের’ ক্রমবর্ধমান ট্রেন্ডের একটি প্রতিচ্ছবি।

নেদারল্যান্ডসে ২০২০ সালে ২৬ দম্পতিকে একসঙ্গে মৃত্যুবরণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। পরের বছর এটি ৩২ এ দাঁড়ায়। আর ২০২৩ সালে দেশটিতে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করেছিলেন ৫৮টি যুগল।

ডাচ সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, দ্রিস ভ্যান ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি খ্রিস্টান ডেমোক্র্যাটিক আপিল পার্টির নেতা ছিলেন। তিনি ব্যক্তি জীবনে ক্যাথলিক খ্রিস্টান ছিলেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও সব সময় নিজের পথে চলেছেন।

দ্রিস ভ্যানের প্রতিষ্ঠিত একটি অধিকার সংস্থা তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সংস্থাটির পরিচালক জেরার্ড জোনকম্যান সংবাদমাধ্যম এনওএসকে বলেছেন, গত সপ্তাহে ‘একসঙ্গে হাতে হাত রেখে’ তাদের মৃত্যু হয়েছে।

তিনি আরও জানিয়েছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী দ্রিস ভ্যান গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। কিন্তু তিনি তার স্ত্রীকে রেখে আগে চলে যেতে পারতেন না। ফলে তারা দুজনই একসঙ্গে মৃত্যুবরণ করেছেন।

২০১৯ সালে দ্রিস ভ্যানের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়েন। যেখান থেকে আর কখনো সুস্থ হননি তিনি।

নেদারল্যান্ডসে ২০০২ সাল থেকে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ বা সাহায্য নিয়ে আত্মহত্যার অনুমতি রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে ছয়টি শর্ত রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো— যদি কেউ স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণের আগ্রহ দেখান তাহলে তাকে অসহ্যকর যন্ত্রণার মধ্যে থাকতে হবে। সুস্থ হবেন এমন কোনো সম্ভাবনা থাকা যাবে না এবং মৃত্যুবরণের স্বইচ্ছা থাকতে হবে।

যাচাই-বাছাইয়ের পর আগ্রহী ব্যক্তিকে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণের অনুমতি দেওয়া হবে। আর এতে সহযোগিতা করবেন পারিবারিক চিকিৎসক।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: