ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুলিশ সপ্তাহ শুরু, উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • 83

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করেছেন। এসময় তিনি বলেন, ‘পুলিশ জনগণের বন্ধু, সে কথা মাথায় রেখেই দায়িত্ব পালন করতে হবে। আর পুলিশ যে জনগণের বন্ধু এটা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে’।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

পুলিশ বাহিনীকে তাদের কর্মনিষ্ঠা, সাহসিকতা ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে যে, তারা জনগণের বন্ধু। এটা প্রতিষ্ঠা করা খুব জরুরি। দেশের মানুষ যখনই কোনো বিপদে পড়ে, সবার আগে আশ্রয় খোঁজে পুলিশের কাছে। পুলিশ জনগণের বন্ধু, এটা সবসময় হয়ে আসছে। পুলিশ বাহিনীকে মানুষের সেবায় আমরা গড়ে তুলছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক আন্দোলনের নামে অগ্নিসংযোগে বাধা দিতে যাওয়ায় পুলিশের ওপর হামলাও হয়েছে। তাদের পিটিয়ে মারা হয়েছে। জনগণের জানমাল রক্ষায় পুলিশ জীবন দিয়েছে। তারপরও পুলিশ জনগণের জানমাল রক্ষা করেছে। গত বছরের ২৮ অক্টোবর রাজারবাগে ঢুকে জামায়াত-বিএনপি হামলা করেছে। পুলিশ ধৈর্যের সঙ্গে এগুলো মোকাবিলা করছে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগে পুলিশের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে পুলিশ বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। করোনায় যখন আত্মীয়-স্বজন পাশে ছিল না, পুলিশ ছিল মানুষের পাশে। মরদেহ দাফন-কাফনের ব্যবস্থাও করেছে পুলিশ।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে পুলিশের অবদানের কথা তুলে ধরে বলেন, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে গিয়েও আমাদের পুলিশ বাহিনী বীরত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। অনেকে জীবনও দিয়েছে। শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বেও শান্তিরক্ষায় তাদের অবদানের কথা আমি স্মরণ করছি।

‘স্মার্ট পুলিশ স্মার্ট দেশ, শান্তি প্রগতির বাংলাদেশ’-প্রতিপাদ্যে পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এবার সর্বাধিক সংখ্যক ৪০০ পুলিশ সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) এবং রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) পরিয়ে দেন।

এছাড়া জীবন উৎসর্গকারী নয়জনের পরিবারের সদস্যদের হাতে মরণোত্তর বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অনুষ্ঠানে সরকারপ্রধান বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন কন্টিনজেন্ট ও পতাকাবাহী দলের প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন। বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) স্টলও পরিদর্শন করেন তিনি।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

পুলিশ সপ্তাহ শুরু, উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

পোস্ট হয়েছে : ১২:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন করেছেন। এসময় তিনি বলেন, ‘পুলিশ জনগণের বন্ধু, সে কথা মাথায় রেখেই দায়িত্ব পালন করতে হবে। আর পুলিশ যে জনগণের বন্ধু এটা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে’।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

পুলিশ বাহিনীকে তাদের কর্মনিষ্ঠা, সাহসিকতা ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে যে, তারা জনগণের বন্ধু। এটা প্রতিষ্ঠা করা খুব জরুরি। দেশের মানুষ যখনই কোনো বিপদে পড়ে, সবার আগে আশ্রয় খোঁজে পুলিশের কাছে। পুলিশ জনগণের বন্ধু, এটা সবসময় হয়ে আসছে। পুলিশ বাহিনীকে মানুষের সেবায় আমরা গড়ে তুলছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক আন্দোলনের নামে অগ্নিসংযোগে বাধা দিতে যাওয়ায় পুলিশের ওপর হামলাও হয়েছে। তাদের পিটিয়ে মারা হয়েছে। জনগণের জানমাল রক্ষায় পুলিশ জীবন দিয়েছে। তারপরও পুলিশ জনগণের জানমাল রক্ষা করেছে। গত বছরের ২৮ অক্টোবর রাজারবাগে ঢুকে জামায়াত-বিএনপি হামলা করেছে। পুলিশ ধৈর্যের সঙ্গে এগুলো মোকাবিলা করছে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগে পুলিশের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে পুলিশ বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। করোনায় যখন আত্মীয়-স্বজন পাশে ছিল না, পুলিশ ছিল মানুষের পাশে। মরদেহ দাফন-কাফনের ব্যবস্থাও করেছে পুলিশ।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে পুলিশের অবদানের কথা তুলে ধরে বলেন, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে গিয়েও আমাদের পুলিশ বাহিনী বীরত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। অনেকে জীবনও দিয়েছে। শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বেও শান্তিরক্ষায় তাদের অবদানের কথা আমি স্মরণ করছি।

‘স্মার্ট পুলিশ স্মার্ট দেশ, শান্তি প্রগতির বাংলাদেশ’-প্রতিপাদ্যে পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এবার সর্বাধিক সংখ্যক ৪০০ পুলিশ সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) এবং রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) পরিয়ে দেন।

এছাড়া জীবন উৎসর্গকারী নয়জনের পরিবারের সদস্যদের হাতে মরণোত্তর বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অনুষ্ঠানে সরকারপ্রধান বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন কন্টিনজেন্ট ও পতাকাবাহী দলের প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন। বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) স্টলও পরিদর্শন করেন তিনি।

বিজনেস আওয়ার/এএইচএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: