ঢাকা , শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নতুন তিনটি ছবি করছেন : মিম

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
  • 35

যে কারণে বলিউডের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন মিম

বিনোদন ডেস্ক: ঈদের সিনেমা-নাটকে দেখা যায়নি বিদ্যা সিনহা মিমকে। কোরবানির ঈদের দৌড়েও নেই তাঁর ছবি। রোজার ঈদ কাটিয়ে এলেন সিঙ্গাপুরে। সঙ্গে ছিল পুরো পরিবার।

দেশে ফিরে কী করছেন? আবার কবে পর্দায় ফিরবেন? শুনেছেন সুদীপ কুমার দীপ।১৬ এপ্রিল সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরেছেন মিম। এসেই যেন পড়েছেন দাবানলে। ঘর থেকে বের হলেই দম উঠছে মুখের ওপর।

তার পরও কিছু করার নেই। কাজ তো করতেই হবে। গতকাল ছিল ইউনিসেফের একটি কর্মশালা। প্রতিষ্ঠানটির শুভেচ্ছাদূত তিনি।

ফলে অংশ নিতে হয়েছে। মিম বলেন, ‘এই গরমে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো বা কোনো মিটিংয়ে অংশ নেওয়াটা একপ্রকার শাস্তি। যেটা না করলেই নয়, শুধু সেটা করছি। কয়েক দিন পর ইউনিসেফ থেকে টিকা দেওয়া হবে বাচ্চাদের। তাই গতকালের ওয়ার্কশপে যেতেই হয়েছে।

সবাইকে বলছি, আবার কিন্তু হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। দরকার না পড়লে অযথা ঘর থেকে বের হবেন না।’

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্য মিম। এর আগেও সমিতির নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। এবার ভোট দিতে যেতে পারেননি। সেদিন গাজীপুরের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন সকালে। ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় আর এফডিসিতে যাননি। মিম বলেন, ‘ভোটটা নষ্ট হয়েছে। এ জন্য সহকর্মীদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। যাঁরা নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন তাঁদের অভিনন্দন। সেই সঙ্গে যাঁরা পরাজিত হয়েছেন তাঁদের মন খারাপ না করে মিলেমিশে কাজ করার অনুরোধ করব। সবার একাত্মতায় শিল্পীদের উন্নয়ন সম্ভব, চলচ্চিত্রের উন্নয়ন সম্ভব।’

এবার ঈদে মুক্তি পেয়েছে ১১টি ছবি। তবে কোনোটিই এখনো দেখতে পারেননি মিম। কারণ হিসেবে জানান, দেশে ছিলেন না। ঈদের আগেই সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন। ফিরেছেন ১৬ এপ্রিল, তত দিনে ঈদের আমেজ কেটে গেছে। এর মধ্যে কোন ছবিটি কেমন হয়েছে সেটার খবর নিয়েছেন মিম। বলেন, “এবার গরমের মধ্যে দর্শক হয়তো হলে একটু কম গেছে। তা ছাড়া এক ঈদে ১১ ছবি একটু বেশিই হয়ে গেছে। দর্শক কোনটা রেখে কোনটা দেখবে সেটা নিয়ে হয়তো কনফিউজ ছিল। যত দূর জেনেছি, ঈদে ‘রাজকুমার’, ‘ওমর’, ‘দেয়ালের দেশ’ ভালো চলেছে। আশা করব কোরবানির ঈদে পরিচালক-প্রযোজকরা এত ছবি মুক্তি দেওয়ার মতো আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেবেন না।”

‘পরাণ’-এর সাফল্যের পর একের পর এক নতুন ছবি হাতে নেওয়ার কথা ছিল তাঁর। সেটা হয়নি, তা নিয়ে একটু খারাপ লাগা থাকলেও বিষয়টা ভালো হয়েছে বলে মনে করেন মিম। ‘পরাণ’-এর পর যত ছবির প্রস্তাব পেয়েছেন, বেশির ভাগই পছন্দ হয়নি তাঁর। মিমের ছেড়ে দেওয়া ছবিগুলো অন্যরা করেছেন ঠিকই, কিন্তু সাফল্য পাননি। ছবিও আসেনি আলোচনায়। মিম বলেন, ‘ছবিগুলোতে আমি অভিনয় করলেও ফল একই হতো। হয়তো সংখ্যা বাড়ত, কিন্তু সাফল্য জুটত না। তার চেয়ে বসে ছিলাম, এটাই ভালো হয়েছে।’ ‘পরাণ’ মুক্তি পেয়েছে ২০২২ সালের কোরবানির ঈদে। হিসাবে দুই বছর হয়ে গেল। এর মধ্যে করেছেন একটিই ছবি—‘দিগন্তে ফুলের আগুন’। সম্প্রতি হাতে নিয়েছেন তিনটি ছবি। মিম বলেন, ‘তিনটি নতুন ছবি হাতে নিয়েছি। একটার শুটিং জুন থেকে, বাকি দুটির শুটিং জুলাই-আগস্টে। ছবি তিনটি পরিচালনা করবেন নামি তিন নির্মাতা। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানও দেশের শীর্ষস্থানীয়। তবে এখনই নাম বলতে পারছি না। চুক্তিতে নিষেধ করা আছে।’

দেশের শীর্ষস্থানীয় ১২টি ব্র্যান্ডের শুভেচ্ছাদূত মিম। এর মধ্যে আছে ইউনিসেফ, বাটা, বিকাশ, লাক্স, বার্জারের মতো ব্র্যান্ড। মিম বলেন, ‘নিজের ব্যক্তিগত জীবনে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পেরেছি বলেই বড় ব্রান্ডগুলো আমার সঙ্গে কাজ করে। কেউ চাইলেই কিন্তু ইউনিসেফ বা লাক্সের শুভেচ্ছাদূত হতে পারবেন না। তাঁকে অবশ্যই মর্যাদাশীল অবস্থানে থাকতে হবে। সেই অবস্থানটা তৈরি করতে পেরেছি, এটা নিয়ে আমি গর্বিত।’

বিজনেস আওয়ার/২৫ এপ্রিল/ রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

নতুন তিনটি ছবি করছেন : মিম

পোস্ট হয়েছে : ১১:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

বিনোদন ডেস্ক: ঈদের সিনেমা-নাটকে দেখা যায়নি বিদ্যা সিনহা মিমকে। কোরবানির ঈদের দৌড়েও নেই তাঁর ছবি। রোজার ঈদ কাটিয়ে এলেন সিঙ্গাপুরে। সঙ্গে ছিল পুরো পরিবার।

দেশে ফিরে কী করছেন? আবার কবে পর্দায় ফিরবেন? শুনেছেন সুদীপ কুমার দীপ।১৬ এপ্রিল সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরেছেন মিম। এসেই যেন পড়েছেন দাবানলে। ঘর থেকে বের হলেই দম উঠছে মুখের ওপর।

তার পরও কিছু করার নেই। কাজ তো করতেই হবে। গতকাল ছিল ইউনিসেফের একটি কর্মশালা। প্রতিষ্ঠানটির শুভেচ্ছাদূত তিনি।

ফলে অংশ নিতে হয়েছে। মিম বলেন, ‘এই গরমে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো বা কোনো মিটিংয়ে অংশ নেওয়াটা একপ্রকার শাস্তি। যেটা না করলেই নয়, শুধু সেটা করছি। কয়েক দিন পর ইউনিসেফ থেকে টিকা দেওয়া হবে বাচ্চাদের। তাই গতকালের ওয়ার্কশপে যেতেই হয়েছে।

সবাইকে বলছি, আবার কিন্তু হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। দরকার না পড়লে অযথা ঘর থেকে বের হবেন না।’

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্য মিম। এর আগেও সমিতির নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। এবার ভোট দিতে যেতে পারেননি। সেদিন গাজীপুরের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন সকালে। ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় আর এফডিসিতে যাননি। মিম বলেন, ‘ভোটটা নষ্ট হয়েছে। এ জন্য সহকর্মীদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। যাঁরা নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন তাঁদের অভিনন্দন। সেই সঙ্গে যাঁরা পরাজিত হয়েছেন তাঁদের মন খারাপ না করে মিলেমিশে কাজ করার অনুরোধ করব। সবার একাত্মতায় শিল্পীদের উন্নয়ন সম্ভব, চলচ্চিত্রের উন্নয়ন সম্ভব।’

এবার ঈদে মুক্তি পেয়েছে ১১টি ছবি। তবে কোনোটিই এখনো দেখতে পারেননি মিম। কারণ হিসেবে জানান, দেশে ছিলেন না। ঈদের আগেই সিঙ্গাপুর গিয়েছিলেন। ফিরেছেন ১৬ এপ্রিল, তত দিনে ঈদের আমেজ কেটে গেছে। এর মধ্যে কোন ছবিটি কেমন হয়েছে সেটার খবর নিয়েছেন মিম। বলেন, “এবার গরমের মধ্যে দর্শক হয়তো হলে একটু কম গেছে। তা ছাড়া এক ঈদে ১১ ছবি একটু বেশিই হয়ে গেছে। দর্শক কোনটা রেখে কোনটা দেখবে সেটা নিয়ে হয়তো কনফিউজ ছিল। যত দূর জেনেছি, ঈদে ‘রাজকুমার’, ‘ওমর’, ‘দেয়ালের দেশ’ ভালো চলেছে। আশা করব কোরবানির ঈদে পরিচালক-প্রযোজকরা এত ছবি মুক্তি দেওয়ার মতো আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেবেন না।”

‘পরাণ’-এর সাফল্যের পর একের পর এক নতুন ছবি হাতে নেওয়ার কথা ছিল তাঁর। সেটা হয়নি, তা নিয়ে একটু খারাপ লাগা থাকলেও বিষয়টা ভালো হয়েছে বলে মনে করেন মিম। ‘পরাণ’-এর পর যত ছবির প্রস্তাব পেয়েছেন, বেশির ভাগই পছন্দ হয়নি তাঁর। মিমের ছেড়ে দেওয়া ছবিগুলো অন্যরা করেছেন ঠিকই, কিন্তু সাফল্য পাননি। ছবিও আসেনি আলোচনায়। মিম বলেন, ‘ছবিগুলোতে আমি অভিনয় করলেও ফল একই হতো। হয়তো সংখ্যা বাড়ত, কিন্তু সাফল্য জুটত না। তার চেয়ে বসে ছিলাম, এটাই ভালো হয়েছে।’ ‘পরাণ’ মুক্তি পেয়েছে ২০২২ সালের কোরবানির ঈদে। হিসাবে দুই বছর হয়ে গেল। এর মধ্যে করেছেন একটিই ছবি—‘দিগন্তে ফুলের আগুন’। সম্প্রতি হাতে নিয়েছেন তিনটি ছবি। মিম বলেন, ‘তিনটি নতুন ছবি হাতে নিয়েছি। একটার শুটিং জুন থেকে, বাকি দুটির শুটিং জুলাই-আগস্টে। ছবি তিনটি পরিচালনা করবেন নামি তিন নির্মাতা। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানও দেশের শীর্ষস্থানীয়। তবে এখনই নাম বলতে পারছি না। চুক্তিতে নিষেধ করা আছে।’

দেশের শীর্ষস্থানীয় ১২টি ব্র্যান্ডের শুভেচ্ছাদূত মিম। এর মধ্যে আছে ইউনিসেফ, বাটা, বিকাশ, লাক্স, বার্জারের মতো ব্র্যান্ড। মিম বলেন, ‘নিজের ব্যক্তিগত জীবনে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পেরেছি বলেই বড় ব্রান্ডগুলো আমার সঙ্গে কাজ করে। কেউ চাইলেই কিন্তু ইউনিসেফ বা লাক্সের শুভেচ্ছাদূত হতে পারবেন না। তাঁকে অবশ্যই মর্যাদাশীল অবস্থানে থাকতে হবে। সেই অবস্থানটা তৈরি করতে পেরেছি, এটা নিয়ে আমি গর্বিত।’

বিজনেস আওয়ার/২৫ এপ্রিল/ রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: