ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এক ম্যাচে এত ছক্কা! দেখেনি আর কেউ

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
  • 47

স্পোর্টস ডেস্ক: কলকাতা নাইট রাইডার্স ২৬১ রান করার পর ভেবেছিলো, এবার তাদের জয় সম্ভবত আর ঠেকাতে পারবে না কেউ। কিন্তু এবারের আইপিএল যে ভিন্ন এক আবহ নিয়ে হাজির হয়েছে দর্শকদের সামনে! এখানে বোলারদের কোনো কিছুই করার নেই। নিয়মতান্ত্রিকভাবে বল করতে হবে এর বেদম পিটুনি খেতে হবে।

কলকাতার বোলারদের সম্ভবত এই বাজে অভিজ্ঞতাটা হলো সবচেয়ে বেশি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড যে তাদের বিপক্ষেই হয়ে গেলো! পাঞ্জাব কিংসের ব্যাটাররা শুক্রবার রাতে নির্দয়ভাবে পিটিয়েছে কেকেআরের বোলারদের।

শুধু কেকেআরের বোলাররা তো একা পিটুনি খায়নি। পিটুনি খেয়েছে পাঞ্জাব কিংসের বোলাররাও। কেকেআর প্রথমে ব্যাট করে যে ২৬১ রানের বিশাল স্কোর গড়েছে, তখন তো অসহায়ই মনে হচ্ছিলো পাঞ্জাব বোলারদের।রেকর্ড রান তাড়া করার ম্যাচে রেকর্ড হয়েছে আরও অনেকগুলো। টি-টোয়েন্টির এক ম্যাচে সর্বাধিক ছক্কা মারার রেকর্ডও হলো এই ম্যাচে।

২৬২: ইডেন গার্ডেন্সে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করার রেকর্ড গড়েছে পাঞ্জাব কিংস। এর আগে ২০২৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২৫৯ রানের স্কোর তাড়া করে জিতেছিলো দক্ষিণ আফ্রিকা। একই বছর কাউন্টি ক্রিকেটে সারের বিপক্ষে ২৫৩ রান তাড়া করে জিতেছিল মিডলসেক্স।

আইপিএলে এতদিন সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ছিল ২২৪ রানের। রাজস্থান রয়্যালসই কয়েকদিন আগে কেকেআরের বিপক্ষে এই রেকর্ড গড়েছিলো। এবার সেই কেকেআরের বিপক্ষেই সর্বোচ্চ রান তাড়া করার রেকর্ড গড়লো পাঞ্জাব।

৪২: টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ছক্কা মারার ঘটনা ঘটেছে কেকেআর-পাঞ্জাব ম্যাচে। গত মাসেই সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচে ৩৮টি ছক্কার মার মেরেছিলো ব্যাটাররা। গত সপ্তাহে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু এবং সানরাইজার্স হায়দারাবাদ ম্যাচেও ৩৮টি ছক্কার মার মারা হয়েছিলো।

২৪: কেকেআরের ছুঁড়ে দেয়া ২৬২ রানের চ্যালেঞ্জ তাড়া করতে নেমে ২৪টি ছক্কার মার মেরেছে পাঞ্জাব কিংসের ব্যাটাররা। যে কোনো একটি দল কর্তৃক এক ম্যাচে ছক্কা মারার ক্ষেত্রে এটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। গত বছর নেপালের ব্যাটাররা এক ইনিংসে ২৬টি ছক্কার মার মেরেছিলো মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে। আইপিএলের ইতিহাসে পাঞ্জাব কিংসের ২৪টি ছক্কা সর্বোচ্চ। তাড়া পেছনে ফেলেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে। ২২টি করে ছক্কার মার মেরেছিলো তারা বেঙ্গালুরু এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে।

৫২৩: কেকেআর এবং পাঞ্জাব- দুই দল মিলে এই ম্যাচে করেছে ৫২৩ রান। যা যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সও কিছুদিন আগে ৫২৩ রান করেছিলে। তবে দুই দল মিলে সর্বোচ্চ রানের স্কোর হলো ৫৪৯। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু মিলে চলতি আইপিএলেই করেছিলো এতগুলো রান।

৪: আইএপিএলে একই ম্যাচে দুই দলের চার ওপেনারেরই ৫০ বা তার বেশি রান করার ঘটনা এই প্রথম ঘটলো। কেকেআরের ফিল সল্ট (৭৫), সুনিল নারিন (৭১), পাঞ্জাবের প্রাবশিরাম সিং (৫৪) এবং জনি বেয়ারেস্ট (১০৮*) – এই চার ওপেনারই হাফ সেঞ্চুরির মাইল ফলক পার হয়েছিলেন। তবে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হিসেব করলে এই ঘটনা ১১তম। চার ওপেনার মিলে করেছে মোট ৩০৮ রান। যা আইপিএলে সর্বোচ্চ।

৫: পাঞ্জাব কিংস এবং কেকেআরের ম্যাচে মোট হয়েছে ৫টি ৫০ প্লাস স্কোর। প্রতিটি হাফ সেঞ্চুরিই হয়েছে ২০০ প্লাস স্ট্রাইক রেটে। ফিল সল্ট (২৫ বলে), নারিন (২৩ বলে), প্রাবশিরাম (১৮ বলে), বেয়ারেস্ট (২৩ বলে) এবং শশাঙ্ক সিং (২৩ বলে) – খেলেন পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে এক ম্যাচে এতগুলো হাফ সেঞ্চুরি হলো, যার প্রতিটি ২৫ কিংবা তারও কম বলে। এমন ঘটনা এই প্রথম ঘটলো।

বিজনেস আওয়ার/২৭ এপ্রিল/ রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

এক ম্যাচে এত ছক্কা! দেখেনি আর কেউ

পোস্ট হয়েছে : ১২:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক: কলকাতা নাইট রাইডার্স ২৬১ রান করার পর ভেবেছিলো, এবার তাদের জয় সম্ভবত আর ঠেকাতে পারবে না কেউ। কিন্তু এবারের আইপিএল যে ভিন্ন এক আবহ নিয়ে হাজির হয়েছে দর্শকদের সামনে! এখানে বোলারদের কোনো কিছুই করার নেই। নিয়মতান্ত্রিকভাবে বল করতে হবে এর বেদম পিটুনি খেতে হবে।

কলকাতার বোলারদের সম্ভবত এই বাজে অভিজ্ঞতাটা হলো সবচেয়ে বেশি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড যে তাদের বিপক্ষেই হয়ে গেলো! পাঞ্জাব কিংসের ব্যাটাররা শুক্রবার রাতে নির্দয়ভাবে পিটিয়েছে কেকেআরের বোলারদের।

শুধু কেকেআরের বোলাররা তো একা পিটুনি খায়নি। পিটুনি খেয়েছে পাঞ্জাব কিংসের বোলাররাও। কেকেআর প্রথমে ব্যাট করে যে ২৬১ রানের বিশাল স্কোর গড়েছে, তখন তো অসহায়ই মনে হচ্ছিলো পাঞ্জাব বোলারদের।রেকর্ড রান তাড়া করার ম্যাচে রেকর্ড হয়েছে আরও অনেকগুলো। টি-টোয়েন্টির এক ম্যাচে সর্বাধিক ছক্কা মারার রেকর্ডও হলো এই ম্যাচে।

২৬২: ইডেন গার্ডেন্সে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করার রেকর্ড গড়েছে পাঞ্জাব কিংস। এর আগে ২০২৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২৫৯ রানের স্কোর তাড়া করে জিতেছিলো দক্ষিণ আফ্রিকা। একই বছর কাউন্টি ক্রিকেটে সারের বিপক্ষে ২৫৩ রান তাড়া করে জিতেছিল মিডলসেক্স।

আইপিএলে এতদিন সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ছিল ২২৪ রানের। রাজস্থান রয়্যালসই কয়েকদিন আগে কেকেআরের বিপক্ষে এই রেকর্ড গড়েছিলো। এবার সেই কেকেআরের বিপক্ষেই সর্বোচ্চ রান তাড়া করার রেকর্ড গড়লো পাঞ্জাব।

৪২: টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ছক্কা মারার ঘটনা ঘটেছে কেকেআর-পাঞ্জাব ম্যাচে। গত মাসেই সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচে ৩৮টি ছক্কার মার মেরেছিলো ব্যাটাররা। গত সপ্তাহে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু এবং সানরাইজার্স হায়দারাবাদ ম্যাচেও ৩৮টি ছক্কার মার মারা হয়েছিলো।

২৪: কেকেআরের ছুঁড়ে দেয়া ২৬২ রানের চ্যালেঞ্জ তাড়া করতে নেমে ২৪টি ছক্কার মার মেরেছে পাঞ্জাব কিংসের ব্যাটাররা। যে কোনো একটি দল কর্তৃক এক ম্যাচে ছক্কা মারার ক্ষেত্রে এটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। গত বছর নেপালের ব্যাটাররা এক ইনিংসে ২৬টি ছক্কার মার মেরেছিলো মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে। আইপিএলের ইতিহাসে পাঞ্জাব কিংসের ২৪টি ছক্কা সর্বোচ্চ। তাড়া পেছনে ফেলেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে। ২২টি করে ছক্কার মার মেরেছিলো তারা বেঙ্গালুরু এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে।

৫২৩: কেকেআর এবং পাঞ্জাব- দুই দল মিলে এই ম্যাচে করেছে ৫২৩ রান। যা যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সও কিছুদিন আগে ৫২৩ রান করেছিলে। তবে দুই দল মিলে সর্বোচ্চ রানের স্কোর হলো ৫৪৯। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু মিলে চলতি আইপিএলেই করেছিলো এতগুলো রান।

৪: আইএপিএলে একই ম্যাচে দুই দলের চার ওপেনারেরই ৫০ বা তার বেশি রান করার ঘটনা এই প্রথম ঘটলো। কেকেআরের ফিল সল্ট (৭৫), সুনিল নারিন (৭১), পাঞ্জাবের প্রাবশিরাম সিং (৫৪) এবং জনি বেয়ারেস্ট (১০৮*) – এই চার ওপেনারই হাফ সেঞ্চুরির মাইল ফলক পার হয়েছিলেন। তবে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হিসেব করলে এই ঘটনা ১১তম। চার ওপেনার মিলে করেছে মোট ৩০৮ রান। যা আইপিএলে সর্বোচ্চ।

৫: পাঞ্জাব কিংস এবং কেকেআরের ম্যাচে মোট হয়েছে ৫টি ৫০ প্লাস স্কোর। প্রতিটি হাফ সেঞ্চুরিই হয়েছে ২০০ প্লাস স্ট্রাইক রেটে। ফিল সল্ট (২৫ বলে), নারিন (২৩ বলে), প্রাবশিরাম (১৮ বলে), বেয়ারেস্ট (২৩ বলে) এবং শশাঙ্ক সিং (২৩ বলে) – খেলেন পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে এক ম্যাচে এতগুলো হাফ সেঞ্চুরি হলো, যার প্রতিটি ২৫ কিংবা তারও কম বলে। এমন ঘটনা এই প্রথম ঘটলো।

বিজনেস আওয়ার/২৭ এপ্রিল/ রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: