ঢাকা , সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আন্তর্জাতিক উৎসবে ‘খোয়াব: ক্যাসেল ইন দ্য এয়ার’

  • পোস্ট হয়েছে : ০৩:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
  • 41

বিনোদন ডেস্ক : জামদানি তাঁতির সংগ্রামকে উপজীব্র করে নির্মিত ‘খোয়াব: ক্যাসেল ইন দ্য এয়ার’ জাপানের আন্তর্জাতিক উৎসব ‘শর্ট শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অ্যান্ড এশিয়া ২০২৪’তে আমন্ত্রিত হয়েছে। এটি ৪ জুন থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত জাপানের টোকিওতে বিভিন্ন ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উৎসবের লাইভ-অ্যাকশন এশিয়া ইন্টারন্যাশনাল কম্পিটিশন সেগমেন্টে অংশগ্রহণ করবে।

এতে বিভিন্ন দেশের ২০০ টিরও বেশি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। এতে অংশ নেবেন সিনেমার প্রযোজক ও অভিনেত্রী লিজা আসমা আক্তার। লিজা আসমা আক্তার এর গল্পের উপর ভিত্তি করে ড্রিম শ্যাডোর ব্যানারে নির্মিত ‘খোয়াব: ক্যাসেল ইন দ্য এয়ার পরিচালনা করেছেন হেমন্ত সাদিক এবং চিত্রনাট্য লিখেছেন শাওন কৈরি। সিনেমাতে তাঁতি দম্পতির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আশীষ খন্দকার ও লিজা আসমা আক্তার।চলচ্চিত্রটির প্রযোজনা সংস্থা ড্রিম শ্যাডোর পক্ষে ‘খোয়াব’ এর প্রযোজক ও অভিনেত্রী লিজা আসমা আক্তার এবং পরিচালক হেমন্ত সাদিক আমন্ত্রিত হয়েছেন এই উৎসবে।

ছবিটিতে আবর্তিত হয় কাঞ্চন নামের একজন গ্রামের তাঁতিকে নিয়ে, তিনি তার পরিবারের ব্যবহৃত হস্তচালিত তাঁত রাখতে চান কারণ এটি পূর্বপুরুষের স্মৃতি ধারণ করে কিন্তু উৎপাদন বাড়াতে তাকে পাওয়ারলুমে যেতে হয়। তিনি দারিদ্র্য ও বাস্তবতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তার স্বপ্নকে ধরে রাখতে সংগ্রাম করেন। তাঁত হল সুতা বা সুতো দিয়ে কাপড় তৈরির একটি যন্ত্র। ডিজিটাল রূপান্তরের এই যুগে তাঁত অচল হয়ে যাচ্ছে, তার বদলে জায়গা পাচ্ছে পাওয়ার লুম। কিন্তু অনেক তাঁতীর জন্য, তাঁত ছিল প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তাদের আয়ের উৎস। সেই তাঁতগুলো ছিল তাদের জন্য আবেগ ও স্মৃতির গলি, যেগুলো তাদের পূর্বপুরুষের স্বাক্ষর বহন করে। তারা কখনই সেই চিহ্নগুলি বিক্রি করতে চায় না, কিন্তু বাস্তবতা তাদের বাধ্য করে।

এই গল্পে কাঞ্চন নামে এক তাঁতি এই বিভ্রান্তির মুখোমুখি হন। তিনি তার পারিবারিক তাঁত বিক্রি করতে চান না, অন্যদিকে, তার স্ত্রী আশা করছেন, এবং তাদের আরও শাড়ি তৈরি করতে হবে যা শুধুমাত্র পাওয়ার লুম ব্যবহার করেই সম্ভব। কাঞ্চনের পূর্বপুরুষরা স্বপ্নে এসে তাকে তাঁত বিক্রি না করার অনুরোধ করেন। কাঞ্চন তার স্ত্রীর জন্য একটি লাল জামদানি শাড়ি তৈরি করছিলেন, যা বাজারে দামী এবং স্ত্রীর প্রতি তার ভালবাসা ও অনুরাগের নিদর্শন। কিন্তু কাঞ্চন তার স্ত্রীর জন্য লাল জামদানি রাখতে পারেনি, মহাজন (কাপড় ব্যবসায়ী) তাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার আগে জোর করে তার কাছ থেকে শাড়ি নিয়ে নেয়। কাঞ্চন স্বপ্ন দেখতে থাকে যে, আগামী পুজোয় সে তার স্ত্রীর জন্য লাল জামদানি তৈরি করতে পারবে। স্বপ্ন, যেগুলো মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে, আর কি। শেষ পর্যন্ত কাঞ্চন তাঁর পারিবারিক তাঁতটি বিক্রি করে না। উল্লেখ্য, ২৫ মিনিটের ‘খোয়াব: ক্যাসেল ইন দ্য এয়ার’ আগামী ১৩ জুন সন্ধ্যায় উৎসবে প্রদর্শিত হবে।

বিজনেস আওয়ার/২৮এপ্রিল/ রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

আন্তর্জাতিক উৎসবে ‘খোয়াব: ক্যাসেল ইন দ্য এয়ার’

পোস্ট হয়েছে : ০৩:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

বিনোদন ডেস্ক : জামদানি তাঁতির সংগ্রামকে উপজীব্র করে নির্মিত ‘খোয়াব: ক্যাসেল ইন দ্য এয়ার’ জাপানের আন্তর্জাতিক উৎসব ‘শর্ট শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অ্যান্ড এশিয়া ২০২৪’তে আমন্ত্রিত হয়েছে। এটি ৪ জুন থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত জাপানের টোকিওতে বিভিন্ন ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উৎসবের লাইভ-অ্যাকশন এশিয়া ইন্টারন্যাশনাল কম্পিটিশন সেগমেন্টে অংশগ্রহণ করবে।

এতে বিভিন্ন দেশের ২০০ টিরও বেশি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। এতে অংশ নেবেন সিনেমার প্রযোজক ও অভিনেত্রী লিজা আসমা আক্তার। লিজা আসমা আক্তার এর গল্পের উপর ভিত্তি করে ড্রিম শ্যাডোর ব্যানারে নির্মিত ‘খোয়াব: ক্যাসেল ইন দ্য এয়ার পরিচালনা করেছেন হেমন্ত সাদিক এবং চিত্রনাট্য লিখেছেন শাওন কৈরি। সিনেমাতে তাঁতি দম্পতির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আশীষ খন্দকার ও লিজা আসমা আক্তার।চলচ্চিত্রটির প্রযোজনা সংস্থা ড্রিম শ্যাডোর পক্ষে ‘খোয়াব’ এর প্রযোজক ও অভিনেত্রী লিজা আসমা আক্তার এবং পরিচালক হেমন্ত সাদিক আমন্ত্রিত হয়েছেন এই উৎসবে।

ছবিটিতে আবর্তিত হয় কাঞ্চন নামের একজন গ্রামের তাঁতিকে নিয়ে, তিনি তার পরিবারের ব্যবহৃত হস্তচালিত তাঁত রাখতে চান কারণ এটি পূর্বপুরুষের স্মৃতি ধারণ করে কিন্তু উৎপাদন বাড়াতে তাকে পাওয়ারলুমে যেতে হয়। তিনি দারিদ্র্য ও বাস্তবতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তার স্বপ্নকে ধরে রাখতে সংগ্রাম করেন। তাঁত হল সুতা বা সুতো দিয়ে কাপড় তৈরির একটি যন্ত্র। ডিজিটাল রূপান্তরের এই যুগে তাঁত অচল হয়ে যাচ্ছে, তার বদলে জায়গা পাচ্ছে পাওয়ার লুম। কিন্তু অনেক তাঁতীর জন্য, তাঁত ছিল প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তাদের আয়ের উৎস। সেই তাঁতগুলো ছিল তাদের জন্য আবেগ ও স্মৃতির গলি, যেগুলো তাদের পূর্বপুরুষের স্বাক্ষর বহন করে। তারা কখনই সেই চিহ্নগুলি বিক্রি করতে চায় না, কিন্তু বাস্তবতা তাদের বাধ্য করে।

এই গল্পে কাঞ্চন নামে এক তাঁতি এই বিভ্রান্তির মুখোমুখি হন। তিনি তার পারিবারিক তাঁত বিক্রি করতে চান না, অন্যদিকে, তার স্ত্রী আশা করছেন, এবং তাদের আরও শাড়ি তৈরি করতে হবে যা শুধুমাত্র পাওয়ার লুম ব্যবহার করেই সম্ভব। কাঞ্চনের পূর্বপুরুষরা স্বপ্নে এসে তাকে তাঁত বিক্রি না করার অনুরোধ করেন। কাঞ্চন তার স্ত্রীর জন্য একটি লাল জামদানি শাড়ি তৈরি করছিলেন, যা বাজারে দামী এবং স্ত্রীর প্রতি তার ভালবাসা ও অনুরাগের নিদর্শন। কিন্তু কাঞ্চন তার স্ত্রীর জন্য লাল জামদানি রাখতে পারেনি, মহাজন (কাপড় ব্যবসায়ী) তাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার আগে জোর করে তার কাছ থেকে শাড়ি নিয়ে নেয়। কাঞ্চন স্বপ্ন দেখতে থাকে যে, আগামী পুজোয় সে তার স্ত্রীর জন্য লাল জামদানি তৈরি করতে পারবে। স্বপ্ন, যেগুলো মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে, আর কি। শেষ পর্যন্ত কাঞ্চন তাঁর পারিবারিক তাঁতটি বিক্রি করে না। উল্লেখ্য, ২৫ মিনিটের ‘খোয়াব: ক্যাসেল ইন দ্য এয়ার’ আগামী ১৩ জুন সন্ধ্যায় উৎসবে প্রদর্শিত হবে।

বিজনেস আওয়ার/২৮এপ্রিল/ রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: