ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আসছে প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা জুটির ৫০ ছবি

  • পোস্ট হয়েছে : ০৯:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
  • 45

বিনোদন ডেস্ক : বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় জুটি পশ্চিমবঙ্গের অভিনেতা প্রসেনজিৎ ও অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা। উত্তম-সুচিত্রার পরে বাংলা ছবির ইতিহাসের সবচেয়ে সফল জুটি বলা হয় তাদের। তারা একসঙ্গে অভিনয় করেছেন ‘মায়ার বাঁধন’, ‘বাবা কেন চাকর’, ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’-এর মতো সুপারহিট সিনেমা। শুধু তাই নয়, বানিজ্যিক সিনেমাই শুধু না দুজন মিলে বৈচিত্রময় গল্পের সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন তিনি।

সেই সুত্রে দুজন ভালো বন্ধুও হয়ে উঠেছিলেন। তবে নতুন শতাব্দীর শুরুতেই দূরত্ব তৈরি হয় দুই বন্ধুর সম্পর্কে মাঝে। জানা যায়, ঋতুপর্ণার কথায় নাকি মর্মাহত হয়েছিলেন বুম্বাদা। দুই তারকার ইগোই বাধা হয়ে দাঁড়ায় বন্ধুত্বের মাঝে।

তবে দুজনের মধ্যে সেই বরফ গলেছে। বাংলা ছবির স্বার্থে শিবপ্রসাদ-নন্দিতার হাত ধরে ফিরেছিল এই জুটি। ২০০১ সালে মুক্তি পাওয়া ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’এর পর প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার ৪৮তম ছবি ‘প্রাক্তন’। তারপর কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘দৃষ্টিকোণ’।

এই জুটির ম্যাজিক যে আজও অটুট তা প্রমাণিত। এবার পর্দায় ৫০তম বার একসঙ্গে ঋতু-প্রসেনজিৎ। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ‘অযোগ্য’ ছবিতে জুটি বাঁধছেন দুজনে। ছবির নতুন পোস্টার সামনে এল গত রোববার।

শাড়ি-সিঁদুরে গৃহবধূর বেশে ধরা দিলেন কৌশিকের পর্ণা অর্থাৎ ঋতুপর্ণা। দুজনের চোখের চাহনি রহস্যমাখা। সম্পর্কের টানাপোড়নে কৌশিকের ছবিতে বরাবর প্রাধান্য পেয়েছে, এই ছবিতেও তার অন্যথা হবে না। সুরিন্দর ফিল্মসের প্রযোজনায় তৈরি হচ্ছে এই ছবি। ২০১৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘দৃষ্টিকোণ’। এরপর কেটেছে প্রায় ৫ বছর। লম্বা অপেক্ষার পর প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার হাফ সেঞ্চুরি।

বুম্বাদার কথায়, এর আগে এদেশের সিনেমার ইতিহাসে কোনও জুটি হাফ সেঞ্চুরি করেছে বলে মনে হয় না। আগেই নায়ক বলেছেন, ‘আমাদের কাজটা করতে খুব ভালো লেগেছে একসঙ্গে। ঋতুর সঙ্গে এটা আমার মাত্র ৫০তম ছবি তো! সেই ভারটা বহন করার জন্য একটা কাঁধ খুঁজছিলাম, সেই কাঁধটা কৌশিকদার মধ্যে পেয়েছি। আমাদের জুটির ৫০তম ছবির ভারটা বহন করতে হবে তো! আশা করছি দর্শক এই ছবির জন্য অপেক্ষা করবে’। আর বেশিদিন নয়, আগামী ৭ জুন মুক্তি পাবে অযোগ্য। অর্থাৎ লোকসভা ভোট শেষ হলেই সিনেমাহলে অযোগ্য নিয়ে হাজির হবেন প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা।

ব্যাংক কর্মী রক্তিম মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী পর্ণার দাম্পত্যের টানাপোড়ন নিয়েই এগোবে অযোগ্য। রক্তিমের চাকরি চলে যাওয়ায় তাঁদের সংসারের সমীকরণ হঠাৎই বদলে যায়। পরিস্থিতি কঠিন হয়, রক্তিমকে বাড়িতে থাকতে হয় এবং সন্তানের দেখাশোনা করতে হয়। এদিকে পর্ণাকে কাজ নিতে হয় ইনভেস্টমেন্ট ফার্মে। এরই মাঝে তাঁদের জীবনে এসে হাজির হয় প্রসেন। আর তাতে সাধারণ মধ্যবিত্ত ছন্দে চলতে থাকা এই মধ্যবিত্ত কাপলের জীবনের সমীকরণ নিয়ে এগিয়ে যাবে সিনেমার গল্প।

বিজনেস আওয়ার/২৮ এপ্রিল/ রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

আসছে প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা জুটির ৫০ ছবি

পোস্ট হয়েছে : ০৯:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

বিনোদন ডেস্ক : বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় জুটি পশ্চিমবঙ্গের অভিনেতা প্রসেনজিৎ ও অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা। উত্তম-সুচিত্রার পরে বাংলা ছবির ইতিহাসের সবচেয়ে সফল জুটি বলা হয় তাদের। তারা একসঙ্গে অভিনয় করেছেন ‘মায়ার বাঁধন’, ‘বাবা কেন চাকর’, ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’-এর মতো সুপারহিট সিনেমা। শুধু তাই নয়, বানিজ্যিক সিনেমাই শুধু না দুজন মিলে বৈচিত্রময় গল্পের সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন তিনি।

সেই সুত্রে দুজন ভালো বন্ধুও হয়ে উঠেছিলেন। তবে নতুন শতাব্দীর শুরুতেই দূরত্ব তৈরি হয় দুই বন্ধুর সম্পর্কে মাঝে। জানা যায়, ঋতুপর্ণার কথায় নাকি মর্মাহত হয়েছিলেন বুম্বাদা। দুই তারকার ইগোই বাধা হয়ে দাঁড়ায় বন্ধুত্বের মাঝে।

তবে দুজনের মধ্যে সেই বরফ গলেছে। বাংলা ছবির স্বার্থে শিবপ্রসাদ-নন্দিতার হাত ধরে ফিরেছিল এই জুটি। ২০০১ সালে মুক্তি পাওয়া ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’এর পর প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার ৪৮তম ছবি ‘প্রাক্তন’। তারপর কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘দৃষ্টিকোণ’।

এই জুটির ম্যাজিক যে আজও অটুট তা প্রমাণিত। এবার পর্দায় ৫০তম বার একসঙ্গে ঋতু-প্রসেনজিৎ। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ‘অযোগ্য’ ছবিতে জুটি বাঁধছেন দুজনে। ছবির নতুন পোস্টার সামনে এল গত রোববার।

শাড়ি-সিঁদুরে গৃহবধূর বেশে ধরা দিলেন কৌশিকের পর্ণা অর্থাৎ ঋতুপর্ণা। দুজনের চোখের চাহনি রহস্যমাখা। সম্পর্কের টানাপোড়নে কৌশিকের ছবিতে বরাবর প্রাধান্য পেয়েছে, এই ছবিতেও তার অন্যথা হবে না। সুরিন্দর ফিল্মসের প্রযোজনায় তৈরি হচ্ছে এই ছবি। ২০১৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘দৃষ্টিকোণ’। এরপর কেটেছে প্রায় ৫ বছর। লম্বা অপেক্ষার পর প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার হাফ সেঞ্চুরি।

বুম্বাদার কথায়, এর আগে এদেশের সিনেমার ইতিহাসে কোনও জুটি হাফ সেঞ্চুরি করেছে বলে মনে হয় না। আগেই নায়ক বলেছেন, ‘আমাদের কাজটা করতে খুব ভালো লেগেছে একসঙ্গে। ঋতুর সঙ্গে এটা আমার মাত্র ৫০তম ছবি তো! সেই ভারটা বহন করার জন্য একটা কাঁধ খুঁজছিলাম, সেই কাঁধটা কৌশিকদার মধ্যে পেয়েছি। আমাদের জুটির ৫০তম ছবির ভারটা বহন করতে হবে তো! আশা করছি দর্শক এই ছবির জন্য অপেক্ষা করবে’। আর বেশিদিন নয়, আগামী ৭ জুন মুক্তি পাবে অযোগ্য। অর্থাৎ লোকসভা ভোট শেষ হলেই সিনেমাহলে অযোগ্য নিয়ে হাজির হবেন প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা।

ব্যাংক কর্মী রক্তিম মজুমদার ও তাঁর স্ত্রী পর্ণার দাম্পত্যের টানাপোড়ন নিয়েই এগোবে অযোগ্য। রক্তিমের চাকরি চলে যাওয়ায় তাঁদের সংসারের সমীকরণ হঠাৎই বদলে যায়। পরিস্থিতি কঠিন হয়, রক্তিমকে বাড়িতে থাকতে হয় এবং সন্তানের দেখাশোনা করতে হয়। এদিকে পর্ণাকে কাজ নিতে হয় ইনভেস্টমেন্ট ফার্মে। এরই মাঝে তাঁদের জীবনে এসে হাজির হয় প্রসেন। আর তাতে সাধারণ মধ্যবিত্ত ছন্দে চলতে থাকা এই মধ্যবিত্ত কাপলের জীবনের সমীকরণ নিয়ে এগিয়ে যাবে সিনেমার গল্প।

বিজনেস আওয়ার/২৮ এপ্রিল/ রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: