ঢাকা , সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা কমলো ৫৩৬ কোটি ডলার

  • পোস্ট হয়েছে : ০৫:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪
  • 55

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দেওয়া নিট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা ৫৩৬ কোটি ডলার কমানো হয়েছে।

গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে অনুষ্ঠিত আইএমএফের বৈঠকে রিজার্ভের লক্ষ্য কমানোর সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা গেছে।

জানা যায়, চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য আইএমএফ’র দেওয়া নিট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ১১ কোটি ডলার। এ লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে আইএমএফ ১ হাজার ৪৭৫ কোটি ডলারে নামিয়েছে। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রা কমানো হয়েছে ৫৩৬ কোটি ডলার।

রিজার্ভ সংরক্ষণে ১৬ মাসে কয়েক দফা ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। এরপর সংস্থাটিকে অনুরোধ করা হয় লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে দেওয়ার জন্য। এর আগেও রিজার্ভ রাখার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ। তখন সরকারের অনুরোধে আইএমএফ লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে দিয়েছিল।

আইএমএফের সঙ্গে বাংলাদেশের ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচি রয়েছে। এ কর্মসূচি থেকে দুই কিস্তিতে ১০০ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদের অনুমোদন সাপেক্ষে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার পাওয়ার কথা চলতি মাসেই।

এর আগে দুই সপ্তাহের জন্য ঢাকায় এসে আইএমএফের দল ঋণ কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যালোচনা বৈঠক শুরু করে গত ২৪ এপ্রিল। অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে গতকাল তা শেষ করে আইএমএফ।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল বুধবার ক্রলিং পেগ বিনিময় হার পদ্ধতি চালু করেছে এবং ব্যাংকগুলোকে প্রায় ১১৭ টাকায় মার্কিন ডলার ক্রয়-বিক্রয়ের অনুমতি দিয়েছে। নতুন বিনিময় হার পদ্ধতি চালু করায় মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার মান কমেছে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ।

এ পদ্ধতিতে প্রতি মার্কিন ডলারে ক্রলিং পেগ মিড রেট (সিপিএমআর) নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৭ টাকা। তফসিলি ব্যাংকগুলো তাদের গ্রাহকদের কাছে এবং আন্তঃব্যাংক চুক্তিতে সিপিএমআরের আশপাশে মার্কিন ডলার ক্রয় ও বিক্রয় করতে পারবে।

ক্রলিং পেগ হচ্ছে দেশীয় মুদ্রার সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার সমন্বয়ের একটি পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে একটি মুদ্রার বিনিময় হারকে একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে ওঠানামা করার অনুমতি দেওয়া হয়।

এক্ষেত্রে মুদ্রার দরের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন সীমা নির্ধারণ করা থাকে। ফলে একবারেই খুব বেশি বাড়তে পারবে না, আবার কমতেও পারবে না।

বিজনেস আওয়ার/০৯ মে/ রহমান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা কমলো ৫৩৬ কোটি ডলার

পোস্ট হয়েছে : ০৫:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দেওয়া নিট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা ৫৩৬ কোটি ডলার কমানো হয়েছে।

গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে অনুষ্ঠিত আইএমএফের বৈঠকে রিজার্ভের লক্ষ্য কমানোর সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা গেছে।

জানা যায়, চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য আইএমএফ’র দেওয়া নিট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ১১ কোটি ডলার। এ লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে আইএমএফ ১ হাজার ৪৭৫ কোটি ডলারে নামিয়েছে। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রা কমানো হয়েছে ৫৩৬ কোটি ডলার।

রিজার্ভ সংরক্ষণে ১৬ মাসে কয়েক দফা ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। এরপর সংস্থাটিকে অনুরোধ করা হয় লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে দেওয়ার জন্য। এর আগেও রিজার্ভ রাখার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ। তখন সরকারের অনুরোধে আইএমএফ লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে দিয়েছিল।

আইএমএফের সঙ্গে বাংলাদেশের ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচি রয়েছে। এ কর্মসূচি থেকে দুই কিস্তিতে ১০০ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদের অনুমোদন সাপেক্ষে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার পাওয়ার কথা চলতি মাসেই।

এর আগে দুই সপ্তাহের জন্য ঢাকায় এসে আইএমএফের দল ঋণ কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যালোচনা বৈঠক শুরু করে গত ২৪ এপ্রিল। অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে গতকাল তা শেষ করে আইএমএফ।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল বুধবার ক্রলিং পেগ বিনিময় হার পদ্ধতি চালু করেছে এবং ব্যাংকগুলোকে প্রায় ১১৭ টাকায় মার্কিন ডলার ক্রয়-বিক্রয়ের অনুমতি দিয়েছে। নতুন বিনিময় হার পদ্ধতি চালু করায় মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার মান কমেছে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ।

এ পদ্ধতিতে প্রতি মার্কিন ডলারে ক্রলিং পেগ মিড রেট (সিপিএমআর) নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৭ টাকা। তফসিলি ব্যাংকগুলো তাদের গ্রাহকদের কাছে এবং আন্তঃব্যাংক চুক্তিতে সিপিএমআরের আশপাশে মার্কিন ডলার ক্রয় ও বিক্রয় করতে পারবে।

ক্রলিং পেগ হচ্ছে দেশীয় মুদ্রার সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার সমন্বয়ের একটি পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে একটি মুদ্রার বিনিময় হারকে একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে ওঠানামা করার অনুমতি দেওয়া হয়।

এক্ষেত্রে মুদ্রার দরের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন সীমা নির্ধারণ করা থাকে। ফলে একবারেই খুব বেশি বাড়তে পারবে না, আবার কমতেও পারবে না।

বিজনেস আওয়ার/০৯ মে/ রহমান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: