ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এক মাসে ইসলামী ব্যাংকগুলোর আমানত কমেছে ৮৮৩২ কোটি টাকা

  • পোস্ট হয়েছে : ০৯:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪
  • 117

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: ঋণ বিতরণে অনিয়মের কারণে ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর উপর আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। এতে ব্যাংকগুলো থেকে আমানত তুলে নিচ্ছেন গ্রাহকরা। এর ফলে এসব ব্যাংকে এক মাসে আমানত কমেছে ৮ হাজার ৮৩২ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর আমানতের পরিমাণ ছিলো ৩ লাখ ৮৪ হাজার ১৩৬ কোটি টাকা। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ব্যাংকগুলোর আমানত কমে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ৩০৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ মাসের ব্যবধানে আমানত কমেছে ৮ হাজার ৮৩২ কোটি টাকা।

আমানত কমলেও আলোচ্য এই সময়ে এসব ব্যাংকের বিনিয়োগ বেড়েছে ৩ হাজার ৬৪২ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বরে ব্যাংকগুলোর ঋণের পরিমাণ ছিলো ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা। জানুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৭৩ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ইসলামী ব্যাংকগুলোর আমানত কমলেও প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোর ইসলামী ব্যাংকিং শাখাগুলোতে আমানত বেড়েছে ২ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা। ডিসেম্বরে প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোর ইসলামী ব্যাংকিং শাখাগুলোতে আমানতের পরিমাণ ছিলো ২১ হাজার ১১৮ কোটি টাকা। জানুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ২৭০ কোটি টাকা। যদিও একই সময়ে এসব ব্যাংকের ইসলামী ব্যাংকিং উইন্ডোগুলোতে আমানত কমেছে ১ হাজার ৮১৬ কোটি টাকা।

সবমিলিয়ে গত জানুয়ারি শেষে ব্যাংক খাতে ইসলামী ধারার ব্যাংকিংয়ে মোট আমানতের পরিমাণ ৪ লাখ ১৩ হাজার ৯৬৯ কোটি টাকা। আগের মাস ডিসেম্বরে আমানত ছিলো ৪ লাখ ২২ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ মাসের ব্যবধানে ইসলামী ধারার ব্যাংকিংয়ে আমানত কমেছে ৮ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা। যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই আমানতের হিসেবে গড়মিল দেখা গেছে।

তথ্য বলছে, প্রতি তিন মাস পর বাংলাদেশ ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকগুলোর আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে ‘কোয়াটারলি রিপোর্ট অন ইসলামী ব্যাংকিং বাংলাদেশ’ নামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘ইসলামী ব্যাংকিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স স্ট্যাটিস্টিক্স’ নাম প্রতিবেদনে বড় ধরণের গড়মিল পাওয়া গেছে।

দুটি প্রতিবেদন বিশ্লেষন করে দেখা যায়, গেল বছরের ডিসেম্বর প্রান্তিকে প্রকাশিত কোয়াটারলি রিপোর্ট অন ইসলামী ব্যাংকিং বাংলাদেশ অনুযায়ী, ডিসেম্বরে ইসলামী ব্যাংকিংয়ে আমানতের পরিমাণ ছিলো ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা। কিন্তু গতকাল প্রকাশিত ইসলামী ব্যাংকিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স স্ট্যাটিস্টিক্স প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে ইসলামী ব্যাংকিংয়ে আমানতের পরিমাণ ৪ লাখ ২২ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দুই প্রতিবেদনেই ইসলামী ধারার ব্যাংকিং আমানতে গড়মিল ২০ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা।

বিজনেস আওয়ার/১৫ মে/ এ এইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

এক মাসে ইসলামী ব্যাংকগুলোর আমানত কমেছে ৮৮৩২ কোটি টাকা

পোস্ট হয়েছে : ০৯:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: ঋণ বিতরণে অনিয়মের কারণে ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর উপর আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। এতে ব্যাংকগুলো থেকে আমানত তুলে নিচ্ছেন গ্রাহকরা। এর ফলে এসব ব্যাংকে এক মাসে আমানত কমেছে ৮ হাজার ৮৩২ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর আমানতের পরিমাণ ছিলো ৩ লাখ ৮৪ হাজার ১৩৬ কোটি টাকা। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ব্যাংকগুলোর আমানত কমে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ৩০৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ মাসের ব্যবধানে আমানত কমেছে ৮ হাজার ৮৩২ কোটি টাকা।

আমানত কমলেও আলোচ্য এই সময়ে এসব ব্যাংকের বিনিয়োগ বেড়েছে ৩ হাজার ৬৪২ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বরে ব্যাংকগুলোর ঋণের পরিমাণ ছিলো ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা। জানুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৪৯ হাজার ৭৩ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ইসলামী ব্যাংকগুলোর আমানত কমলেও প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোর ইসলামী ব্যাংকিং শাখাগুলোতে আমানত বেড়েছে ২ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা। ডিসেম্বরে প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোর ইসলামী ব্যাংকিং শাখাগুলোতে আমানতের পরিমাণ ছিলো ২১ হাজার ১১৮ কোটি টাকা। জানুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ২৭০ কোটি টাকা। যদিও একই সময়ে এসব ব্যাংকের ইসলামী ব্যাংকিং উইন্ডোগুলোতে আমানত কমেছে ১ হাজার ৮১৬ কোটি টাকা।

সবমিলিয়ে গত জানুয়ারি শেষে ব্যাংক খাতে ইসলামী ধারার ব্যাংকিংয়ে মোট আমানতের পরিমাণ ৪ লাখ ১৩ হাজার ৯৬৯ কোটি টাকা। আগের মাস ডিসেম্বরে আমানত ছিলো ৪ লাখ ২২ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ মাসের ব্যবধানে ইসলামী ধারার ব্যাংকিংয়ে আমানত কমেছে ৮ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা। যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই আমানতের হিসেবে গড়মিল দেখা গেছে।

তথ্য বলছে, প্রতি তিন মাস পর বাংলাদেশ ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকগুলোর আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে ‘কোয়াটারলি রিপোর্ট অন ইসলামী ব্যাংকিং বাংলাদেশ’ নামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘ইসলামী ব্যাংকিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স স্ট্যাটিস্টিক্স’ নাম প্রতিবেদনে বড় ধরণের গড়মিল পাওয়া গেছে।

দুটি প্রতিবেদন বিশ্লেষন করে দেখা যায়, গেল বছরের ডিসেম্বর প্রান্তিকে প্রকাশিত কোয়াটারলি রিপোর্ট অন ইসলামী ব্যাংকিং বাংলাদেশ অনুযায়ী, ডিসেম্বরে ইসলামী ব্যাংকিংয়ে আমানতের পরিমাণ ছিলো ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা। কিন্তু গতকাল প্রকাশিত ইসলামী ব্যাংকিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স স্ট্যাটিস্টিক্স প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে ইসলামী ব্যাংকিংয়ে আমানতের পরিমাণ ৪ লাখ ২২ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দুই প্রতিবেদনেই ইসলামী ধারার ব্যাংকিং আমানতে গড়মিল ২০ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা।

বিজনেস আওয়ার/১৫ মে/ এ এইচ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: