ঢাকা , রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কঙ্গোয় কারাগার থেকে পালানোর চেষ্টায় ১২৯ বন্দি নিহত

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 37

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোয় কারাগার থেকে বন্দিরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টার ঘটনায় অন্তত ১২৯ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাকমিন শাবানি এ তথ্য জানিয়েছেন।

রাজধানী কিনশাসায় অবস্থিত মাকালা কারাগারটি কঙ্গোর বৃহত্তম বন্দিশালা হিসেবে পরিচিত। গত সোমবার সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন কয়েদিরা। এসময় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অনেকে হতাহত হন।

জ্যাকমেইন শাবানি এক ভিডিওবার্তায় বলেছেন, প্রাথমিক হিসাবে ১২৯ জন মারা গেছেন, যাদের মধ্যে ২৪ জনকে সতর্ক করার পরে গুলি করা হয়েছিল। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৫৯ জন।

কঙ্গোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর আগে জানিয়েছিল, এই ঘটনার সময় কয়েকজন পদপিষ্ট বা শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বেশ কয়েকজন নারী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় রাত ২টার দিকে কারাগারে গোলাগুলি শুরু হয় এবং তা কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী হয়েছিল।

দাদ্দি সোসো নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ভোরের দিকে তিনি নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়িতে করে মরদেহগুলো নিয়ে যেতে দেখেছিলেন।

এদিন কতজন বন্দি পালিয়ে গেছে বা পালানোর চেষ্টা করেছিল তা এখনো নিশ্চিত করেনি কর্তৃপক্ষ। তবে সোমবার মধ্যরাতে সরকারের মুখপাত্র প্যাট্রিক মুয়ায়া জাতীয় টেলিভিশনে বলেছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

সূত্র: এএফপি

বিজনেস আওয়ার/ ০৪ সেপ্টেম্বর / হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

কঙ্গোয় কারাগার থেকে পালানোর চেষ্টায় ১২৯ বন্দি নিহত

পোস্ট হয়েছে : ০৪:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোয় কারাগার থেকে বন্দিরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টার ঘটনায় অন্তত ১২৯ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাকমিন শাবানি এ তথ্য জানিয়েছেন।

রাজধানী কিনশাসায় অবস্থিত মাকালা কারাগারটি কঙ্গোর বৃহত্তম বন্দিশালা হিসেবে পরিচিত। গত সোমবার সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন কয়েদিরা। এসময় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অনেকে হতাহত হন।

জ্যাকমেইন শাবানি এক ভিডিওবার্তায় বলেছেন, প্রাথমিক হিসাবে ১২৯ জন মারা গেছেন, যাদের মধ্যে ২৪ জনকে সতর্ক করার পরে গুলি করা হয়েছিল। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৫৯ জন।

কঙ্গোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর আগে জানিয়েছিল, এই ঘটনার সময় কয়েকজন পদপিষ্ট বা শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বেশ কয়েকজন নারী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় রাত ২টার দিকে কারাগারে গোলাগুলি শুরু হয় এবং তা কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী হয়েছিল।

দাদ্দি সোসো নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, ভোরের দিকে তিনি নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়িতে করে মরদেহগুলো নিয়ে যেতে দেখেছিলেন।

এদিন কতজন বন্দি পালিয়ে গেছে বা পালানোর চেষ্টা করেছিল তা এখনো নিশ্চিত করেনি কর্তৃপক্ষ। তবে সোমবার মধ্যরাতে সরকারের মুখপাত্র প্যাট্রিক মুয়ায়া জাতীয় টেলিভিশনে বলেছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

সূত্র: এএফপি

বিজনেস আওয়ার/ ০৪ সেপ্টেম্বর / হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: