ঢাকা , মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেয়ারবাজারের দুর্বল ৬ ব্যাংক কে কত টাকা পেল

  • পোস্ট হয়েছে : ১২:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪
  • 17

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: তারল্য সংকটে থাকা ৬ ব্যাংকের লেনদেন পুরোপুরি স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা ধার দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকগুলো সবগুলোই শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্ণর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, এরপরও কোনো ব্যাংকের নগদ টাকা প্রয়োজন হলে সেটির জোগান দিতেও বাংলাদেশ ব্যাংক প্রস্তুত রয়েছে।

গভর্ণর বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার আমানতকারীদের প্রাপ্য মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখতে চায়। আপনারা যে ব্যাংকেই টাকা রাখুন না কেন, সেটি নিরাপদ। কোনো কারণেই আমানতকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। রোববার ব্যাংকগুলোর সব শাখা থেকেই চাহিদা অনুযায়ী টাকা তোলা যাবে।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘যেসব ব্যাংকে তারল্য সংকট চলছে, সেগুলোর প্রতি গ্রাহকদের আস্থা পুরোপুরি ফিরিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বদ্ধপরিকর। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা চাই, দেশের প্রতিটি আমানতকারী যেন মনে করেন ও আশ্বস্ত হন, তাদের আমানত নিশ্চিন্ত। সেটি যে ব্যাংকের আমানতই হোক না কেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সরকার আমানতকারীদের স্বার্থ পুরোপুরি দেখবে। এটি হলো আমাদের মৌলিক নীতি। এ নীতির সঙ্গে সংগতি রেখে আমরা তারল্য সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছি। তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী তারল্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে। ব্যাংকগুলোর প্রত্যেক আমানতকারী সুরক্ষিত থাকবে সে নিশ্চয়তা দিচ্ছি।’

বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে দেশের ৬টি ব্যাংককে ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পেয়েছে ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। আর ৫ হাজার কোটি টাকা পেয়েছে এক্সিম ব্যাংক। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক পেয়েছে ৪ হাজার কোটি টাকা করে। চতুর্থ প্রজন্মের ইউনিয়ন ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংককে ২ হাজার কোটি টাকা করে দেয়া হয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/ ২৯ নভেম্বর/ এন এস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

শেয়ারবাজারের দুর্বল ৬ ব্যাংক কে কত টাকা পেল

পোস্ট হয়েছে : ১২:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক: তারল্য সংকটে থাকা ৬ ব্যাংকের লেনদেন পুরোপুরি স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা ধার দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকগুলো সবগুলোই শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্ণর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, এরপরও কোনো ব্যাংকের নগদ টাকা প্রয়োজন হলে সেটির জোগান দিতেও বাংলাদেশ ব্যাংক প্রস্তুত রয়েছে।

গভর্ণর বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার আমানতকারীদের প্রাপ্য মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখতে চায়। আপনারা যে ব্যাংকেই টাকা রাখুন না কেন, সেটি নিরাপদ। কোনো কারণেই আমানতকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। রোববার ব্যাংকগুলোর সব শাখা থেকেই চাহিদা অনুযায়ী টাকা তোলা যাবে।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘যেসব ব্যাংকে তারল্য সংকট চলছে, সেগুলোর প্রতি গ্রাহকদের আস্থা পুরোপুরি ফিরিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বদ্ধপরিকর। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা চাই, দেশের প্রতিটি আমানতকারী যেন মনে করেন ও আশ্বস্ত হন, তাদের আমানত নিশ্চিন্ত। সেটি যে ব্যাংকের আমানতই হোক না কেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সরকার আমানতকারীদের স্বার্থ পুরোপুরি দেখবে। এটি হলো আমাদের মৌলিক নীতি। এ নীতির সঙ্গে সংগতি রেখে আমরা তারল্য সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছি। তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী তারল্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে। ব্যাংকগুলোর প্রত্যেক আমানতকারী সুরক্ষিত থাকবে সে নিশ্চয়তা দিচ্ছি।’

বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে দেশের ৬টি ব্যাংককে ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পেয়েছে ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। আর ৫ হাজার কোটি টাকা পেয়েছে এক্সিম ব্যাংক। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক পেয়েছে ৪ হাজার কোটি টাকা করে। চতুর্থ প্রজন্মের ইউনিয়ন ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংককে ২ হাজার কোটি টাকা করে দেয়া হয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/ ২৯ নভেম্বর/ এন এস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: