ঢাকা , সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওষুধ কোম্পানি হয়েও করোনায় সেন্ট্রাল ফার্মার বড় লোকসান

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর ২০২০
  • 1

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : করোনার মধ্যে ওষুধ কোম্পানিগুলোর রমরমা ব্যবসা হলেও শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস উল্টো পথে। এ কোম্পানিটি মুনাফাতো করতে পারেইনি, বরং লোকসানে রেকর্ড গড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালসের ২০১৯-২০ অর্থবছরের ৯ মাসের (জুলাই ১৯-মার্চ ২০) ব্যবসায় শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছিল ০.০৭ টাকা। যা শেষ প্রান্তিকের ধসে পুরো অর্থবছরে লোকসান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.২৪ টাকায়। অর্থাৎ শেষ প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন ২০) করোনার সময় কোম্পানিটি প্রতিটি শেয়ারে লোকসান করেছে ৯.১৭ টাকা। অথচ এই সময় ওষুধের চাহিদা আরও বেড়েছে।

২০১৩ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানিটির ২০১৯-২০ অর্থবছরেই সবচেয়ে বেশি লোকসান হয়েছে। এ অর্থবছরে ১১৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ৯.২৪ টাকা হিসেবে মোট ১১০ কোটি ৭০ লাখ টাকার লোকসান হয়েছে।

অথচ করোনায় দেশের ওষুধ খাতের অন্যান্য কোম্পানিগুলো মুনাফা বেড়েছে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যেই যেমন- স্কয়ার ফার্মার আগের অর্থবছরের ১৪.৯৮ টাকার ইপিএস ২০১৯-২০ অর্থবছরে বেড়ে হয়েছে ১৫.৮২ টাকা। এছাড়া বেক্সিমকো ফার্মার ৭.৪৮ টাকার ইপিএস বেড়ে ৮.৬৭ টাকা, রেনাটার ৪২.৩৯ টাকার ইপিএস বেড়ে ৪৫.২৯ টাকা, একমি ল্যাবরেটরিজের ৬.৮১ টাকার ইপিএস বেড়ে ৬.৮৫ টাকা, বিকন ফার্মার ০.৫১ টাকার ইপিএস বেড়ে ১.৬৫ টাকা ও ইন্দোবাংলা ফার্মার ১.৩৯ টাকার ইপিএস বেড়ে ১.৪০ টাকা হয়েছে।

ব্যবসায় বড় লোকসানের কারন হিসেবে সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালসের সচিব মো. তাজুল ইসলাম বিজনেস আওয়ারকে বলেন, করোনার কারনে শ্রমিকেরা না আসা ও বন্যার কারনে ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়া কিছু মেডিক্যাল প্রোমোশন অফিসার (এমপি) টাকা পয়সা নিয়ে চলে গেছে ও একটি কারখানা ২ মাস বন্ধ থাকার কারনে লোকসান হয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/০৫ নভেম্বর, ২০২০/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

6 thoughts on “ওষুধ কোম্পানি হয়েও করোনায় সেন্ট্রাল ফার্মার বড় লোকসান

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ওষুধ কোম্পানি হয়েও করোনায় সেন্ট্রাল ফার্মার বড় লোকসান

পোস্ট হয়েছে : ০৪:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ নভেম্বর ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : করোনার মধ্যে ওষুধ কোম্পানিগুলোর রমরমা ব্যবসা হলেও শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস উল্টো পথে। এ কোম্পানিটি মুনাফাতো করতে পারেইনি, বরং লোকসানে রেকর্ড গড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালসের ২০১৯-২০ অর্থবছরের ৯ মাসের (জুলাই ১৯-মার্চ ২০) ব্যবসায় শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছিল ০.০৭ টাকা। যা শেষ প্রান্তিকের ধসে পুরো অর্থবছরে লোকসান বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.২৪ টাকায়। অর্থাৎ শেষ প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন ২০) করোনার সময় কোম্পানিটি প্রতিটি শেয়ারে লোকসান করেছে ৯.১৭ টাকা। অথচ এই সময় ওষুধের চাহিদা আরও বেড়েছে।

২০১৩ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানিটির ২০১৯-২০ অর্থবছরেই সবচেয়ে বেশি লোকসান হয়েছে। এ অর্থবছরে ১১৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ৯.২৪ টাকা হিসেবে মোট ১১০ কোটি ৭০ লাখ টাকার লোকসান হয়েছে।

অথচ করোনায় দেশের ওষুধ খাতের অন্যান্য কোম্পানিগুলো মুনাফা বেড়েছে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যেই যেমন- স্কয়ার ফার্মার আগের অর্থবছরের ১৪.৯৮ টাকার ইপিএস ২০১৯-২০ অর্থবছরে বেড়ে হয়েছে ১৫.৮২ টাকা। এছাড়া বেক্সিমকো ফার্মার ৭.৪৮ টাকার ইপিএস বেড়ে ৮.৬৭ টাকা, রেনাটার ৪২.৩৯ টাকার ইপিএস বেড়ে ৪৫.২৯ টাকা, একমি ল্যাবরেটরিজের ৬.৮১ টাকার ইপিএস বেড়ে ৬.৮৫ টাকা, বিকন ফার্মার ০.৫১ টাকার ইপিএস বেড়ে ১.৬৫ টাকা ও ইন্দোবাংলা ফার্মার ১.৩৯ টাকার ইপিএস বেড়ে ১.৪০ টাকা হয়েছে।

ব্যবসায় বড় লোকসানের কারন হিসেবে সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালসের সচিব মো. তাজুল ইসলাম বিজনেস আওয়ারকে বলেন, করোনার কারনে শ্রমিকেরা না আসা ও বন্যার কারনে ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়া কিছু মেডিক্যাল প্রোমোশন অফিসার (এমপি) টাকা পয়সা নিয়ে চলে গেছে ও একটি কারখানা ২ মাস বন্ধ থাকার কারনে লোকসান হয়েছে।

বিজনেস আওয়ার/০৫ নভেম্বর, ২০২০/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: