ঢাকা , বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাম হারানো অভিনেতা তিনি

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 25

বিনোদন ডেস্ক: এই সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতাদের অন্যতম জিয়াউল হক পলাশ। অল্প সময়ের মধ্যেই তরুণ দর্শকদের মন জয় করেছেন তিনি। একজন নির্মাতাও। কিন্তু দুর্দান্ত অভিনয়ের কারণে এ পরিচয় অনেকটাই চাপা পড়ে গেছে। ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ ধারাবাহিক নাটকে অভিনয়ের কারণে এই অভিনেতার আসল নামও হারিয়ে গেছে। তাকে এখন নাটকের চরিত্র ‘কাবিলা’ নামেই ডাকেন সবাই। শুধু দর্শক? পরিবারের অনেক সদস্যও তাকে ‘কাবিলা’ নামে ডাকেন।

‘জিয়াউল হক পলাশ’ নামের চেয়ে তাকে তার অনেক সহকর্মী ‘কাবিলা’ নামে ডাকতে পছন্দ করেন। চরিত্রের নামেই যখন কোনো অভিনেতা পরিচিতি লাভ করেন সেটাই সবচেয়ে বড় সফলতা। পলাশকে যখন কেউ কাবিলা নামে ডাকে তখন তিনি ভীষণ আনন্দ পান। এ নামটি নিয়ে অভিজ্ঞতার কথা জানতে চাইলে পলাশ এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘দেখেন না সবাই কাবিলা ডাকে আমাকে। আমার আসল নাম পলাশ যেন ঢাকা পড়ে গেছে।’

পলাশ আরও বলেন, ‘এমন অবস্থা হয়েছে, কখনো কখনো আমাকে পলাশ নামে ডাকলে হঠাৎ করে নিজের কাছে অন্যরকম মনে হয়। মজার ব্যাপার হলো, প্রথম দিকে আমার মা-বাবা ভাবতেন, তাদের দেওয়া নাম বাদ দিয়ে ছেলের নাম সবাই কাবিলা বলে ডাকে কেনো। তখন তারা আমার এই নাটক দেখেননি। পরে ব্যাপারটা বুঝতে পারেন।’ এমন অভিজ্ঞতা একজন অভিনেতার জন্য সত্যিই মধুর।

পলাশের বাবা-মা এই ঘটনা জানার পরে তারাও ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ দেখা শুরু করেন। এ অভিনেতা আরও বলেন, ‘মাঝেমধ্যে আব্বা-আম্মাও মুখ ফসকে কাবিলা নামে ডেকে ফেলেন।’ পলাশ অভিনীত তুমুল জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ ২০১৮ সালে চ্যানেল নাইনে সর্বপ্রথম প্রচার হয়। এটি পরিচালনা করেছেন কাজল আরেফিন অমি।

আজ (৩ ফেব্রুয়ারি) অভিনেতা জিয়াউল হক পলাশের জন্মদিন। পলাশ জন্মগ্রহণ করেন নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলার কালিকাপুর গ্রামে। কিন্তু তার বেড়ে ওঠা ঢাকার নাখালপাড়ায়। নাটকে তার নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষা ভক্ত-অনুরাগীরা ভীষণ পছন্দ করেন।

পলাশ ২০১৩ সালে নির্মাতা (বর্তামান অর্ন্তবর্তী সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা) মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘ছবিয়াল’র সঙ্গে কাজ শুরু করেন। দীর্ঘদিন তিনি ফারুকীর সঙ্গে সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন। এরপর ইশতিয়াক আহমেদ রোমেলের সহকারী হিসেবেও কাজ করেছেন। ২০১৭ সালে কাজল আরেফিন অমির সঙ্গে সহযোগী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। বর্তমানে তিনি তুমুল ব্যস্ত এক নির্মাতা ও অভিনেতা। উৎসবকেন্দ্রীক কাজে এ অভিনেতার সিডিউল পাওয়া যেন নির্মাতাদের ভাগ্যের ব্যাপার।

পলাশ অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে রয়েছে, ‘একটি সন্দেহের গল্প’, ‘জার্নি বাই লঞ্চ’, ‘কারসাজি’ , ‘জাস্ট চিল’, ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’, ‘এক্স গার্লফ্রেন্ড’, ‘নেটওয়ার্ক বিজি’, ‘ব্যাড ড্রিমস’, ‘প্লুরাল নাম্বার থার্ড পারসন’, ‘কলেজ বাঙ্ক’ , ‘সব সম্পর্কের নাম হয় না’ , ‘টম অ্যান্ড জেরি’, ‘সরি স্যার’, ‘আরেকটি সন্দেহের গল্প’, ‘আরেকটি বিড়াল বিরম্বনা’, ‘টম অ্যান্ড জেরি’, ‘ব্যাচেলর ট্রিপ, ‘ব্যাচেলর ঈদ’, ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’।

অন্যদিকে পলাশ নির্মিত নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে, ‘ফ্রেন্ডস উইথ বেনিফিট’, ‘সারপ্রাইজ’, ‘ঘরে ফেরা’, ‘একটুখানি’, ‘রিভেঞ্জ’, ‘ফিমেইল’, ‘ব্যাড-ব্যাজ’ ও ‘দ্যা কিডনাপার’।

বিজনেস আওয়ার/ ০৩ ফেব্রুয়ারি / রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

নাম হারানো অভিনেতা তিনি

পোস্ট হয়েছে : ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বিনোদন ডেস্ক: এই সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতাদের অন্যতম জিয়াউল হক পলাশ। অল্প সময়ের মধ্যেই তরুণ দর্শকদের মন জয় করেছেন তিনি। একজন নির্মাতাও। কিন্তু দুর্দান্ত অভিনয়ের কারণে এ পরিচয় অনেকটাই চাপা পড়ে গেছে। ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ ধারাবাহিক নাটকে অভিনয়ের কারণে এই অভিনেতার আসল নামও হারিয়ে গেছে। তাকে এখন নাটকের চরিত্র ‘কাবিলা’ নামেই ডাকেন সবাই। শুধু দর্শক? পরিবারের অনেক সদস্যও তাকে ‘কাবিলা’ নামে ডাকেন।

‘জিয়াউল হক পলাশ’ নামের চেয়ে তাকে তার অনেক সহকর্মী ‘কাবিলা’ নামে ডাকতে পছন্দ করেন। চরিত্রের নামেই যখন কোনো অভিনেতা পরিচিতি লাভ করেন সেটাই সবচেয়ে বড় সফলতা। পলাশকে যখন কেউ কাবিলা নামে ডাকে তখন তিনি ভীষণ আনন্দ পান। এ নামটি নিয়ে অভিজ্ঞতার কথা জানতে চাইলে পলাশ এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘দেখেন না সবাই কাবিলা ডাকে আমাকে। আমার আসল নাম পলাশ যেন ঢাকা পড়ে গেছে।’

পলাশ আরও বলেন, ‘এমন অবস্থা হয়েছে, কখনো কখনো আমাকে পলাশ নামে ডাকলে হঠাৎ করে নিজের কাছে অন্যরকম মনে হয়। মজার ব্যাপার হলো, প্রথম দিকে আমার মা-বাবা ভাবতেন, তাদের দেওয়া নাম বাদ দিয়ে ছেলের নাম সবাই কাবিলা বলে ডাকে কেনো। তখন তারা আমার এই নাটক দেখেননি। পরে ব্যাপারটা বুঝতে পারেন।’ এমন অভিজ্ঞতা একজন অভিনেতার জন্য সত্যিই মধুর।

পলাশের বাবা-মা এই ঘটনা জানার পরে তারাও ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ দেখা শুরু করেন। এ অভিনেতা আরও বলেন, ‘মাঝেমধ্যে আব্বা-আম্মাও মুখ ফসকে কাবিলা নামে ডেকে ফেলেন।’ পলাশ অভিনীত তুমুল জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ ২০১৮ সালে চ্যানেল নাইনে সর্বপ্রথম প্রচার হয়। এটি পরিচালনা করেছেন কাজল আরেফিন অমি।

আজ (৩ ফেব্রুয়ারি) অভিনেতা জিয়াউল হক পলাশের জন্মদিন। পলাশ জন্মগ্রহণ করেন নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলার কালিকাপুর গ্রামে। কিন্তু তার বেড়ে ওঠা ঢাকার নাখালপাড়ায়। নাটকে তার নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষা ভক্ত-অনুরাগীরা ভীষণ পছন্দ করেন।

পলাশ ২০১৩ সালে নির্মাতা (বর্তামান অর্ন্তবর্তী সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা) মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘ছবিয়াল’র সঙ্গে কাজ শুরু করেন। দীর্ঘদিন তিনি ফারুকীর সঙ্গে সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন। এরপর ইশতিয়াক আহমেদ রোমেলের সহকারী হিসেবেও কাজ করেছেন। ২০১৭ সালে কাজল আরেফিন অমির সঙ্গে সহযোগী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। বর্তমানে তিনি তুমুল ব্যস্ত এক নির্মাতা ও অভিনেতা। উৎসবকেন্দ্রীক কাজে এ অভিনেতার সিডিউল পাওয়া যেন নির্মাতাদের ভাগ্যের ব্যাপার।

পলাশ অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে রয়েছে, ‘একটি সন্দেহের গল্প’, ‘জার্নি বাই লঞ্চ’, ‘কারসাজি’ , ‘জাস্ট চিল’, ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’, ‘এক্স গার্লফ্রেন্ড’, ‘নেটওয়ার্ক বিজি’, ‘ব্যাড ড্রিমস’, ‘প্লুরাল নাম্বার থার্ড পারসন’, ‘কলেজ বাঙ্ক’ , ‘সব সম্পর্কের নাম হয় না’ , ‘টম অ্যান্ড জেরি’, ‘সরি স্যার’, ‘আরেকটি সন্দেহের গল্প’, ‘আরেকটি বিড়াল বিরম্বনা’, ‘টম অ্যান্ড জেরি’, ‘ব্যাচেলর ট্রিপ, ‘ব্যাচেলর ঈদ’, ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’।

অন্যদিকে পলাশ নির্মিত নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে, ‘ফ্রেন্ডস উইথ বেনিফিট’, ‘সারপ্রাইজ’, ‘ঘরে ফেরা’, ‘একটুখানি’, ‘রিভেঞ্জ’, ‘ফিমেইল’, ‘ব্যাড-ব্যাজ’ ও ‘দ্যা কিডনাপার’।

বিজনেস আওয়ার/ ০৩ ফেব্রুয়ারি / রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: