ঢাকা , বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে: জয়শঙ্কর

  • পোস্ট হয়েছে : ০৩:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫
  • 19

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠক করেছেন দেশটিতে সফররত ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এ বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয়সহ বাংলাদেশ ও ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বুধবার (৫ মার্চ) জয়শঙ্কর ও ডেভিড ল্যামি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেন। দুই মন্ত্রী ইউক্রেন, বাংলাদেশ, পশ্চিম এশিয়া ও কমনওয়েলথ নিয়েও আলোচনা করেছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জয়শঙ্কর লেখেন, আমরা ইউক্রেন ইস্যু, পশ্চিম এশিয়া, বাংলাদেশ, কমনওয়েলথসহ নানা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেছি। অনিশ্চিত ও অস্থির বিশ্বে ভারত-যুক্তরাজ্য স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির পথে অবদান রাখছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে গত বছরের ৫ আগস্ট শুরুতে শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। তারপর থেকে তিনি সেখানেই নির্বাসনে রয়েছেন। শোনা গিয়েছিল, হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলেও যুক্তরাজ্যে আশ্রয় চেয়েছিলেন। কিন্তু যুক্তরাজ্য তাকে আশ্রয় দেয়নি। ইউরোপের এই দেশটি সেসময় বলেছিল, এই পরিস্থিতিতে কাউকে আশ্রয় দেওয়ার কোনো আইনি ব্যবস্থা তাদের নেই।

এছাড়া শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতি ও দেশ ছেড়ে পলায়নের পর তার পরিবারের সদস্যসহ অনেকের বিরুদ্ধেই নানা অভিযোগ বের হয়ে আসছে ও দুর্নীতিবিরোধী তদন্ত চলছে। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে তাদের একজন ব্রিটিশ লেবার এমপি টিউলিপ সিদ্দিক, যিনি শেখ হাসিনার ভাগ্নি।

বাংলাদেশে দুর্নীতির তদন্তে নাম আসার পর গত জানুয়ারি মাসে টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। মূলত টিউলিপ দেশটির ক্ষমতাসীন লেবার মন্ত্রিসভার সদস্য ও পদত্যাগের আগে তিনি ইকনোমিক সেক্রেটারি টু দি ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তার দায়িত্ব ছিল যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি সামাল দেওয়া।

সূত্র: দ্য হিন্দু

বিজনেস আওয়ার/ ০৭ মার্চ / হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় পর্তুগাল বিএনপি একাংশের ইফতার ও দোয়া

যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে: জয়শঙ্কর

পোস্ট হয়েছে : ০৩:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক: যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠক করেছেন দেশটিতে সফররত ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এ বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয়সহ বাংলাদেশ ও ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বুধবার (৫ মার্চ) জয়শঙ্কর ও ডেভিড ল্যামি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেন। দুই মন্ত্রী ইউক্রেন, বাংলাদেশ, পশ্চিম এশিয়া ও কমনওয়েলথ নিয়েও আলোচনা করেছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জয়শঙ্কর লেখেন, আমরা ইউক্রেন ইস্যু, পশ্চিম এশিয়া, বাংলাদেশ, কমনওয়েলথসহ নানা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেছি। অনিশ্চিত ও অস্থির বিশ্বে ভারত-যুক্তরাজ্য স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির পথে অবদান রাখছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে গত বছরের ৫ আগস্ট শুরুতে শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। তারপর থেকে তিনি সেখানেই নির্বাসনে রয়েছেন। শোনা গিয়েছিল, হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেলেও যুক্তরাজ্যে আশ্রয় চেয়েছিলেন। কিন্তু যুক্তরাজ্য তাকে আশ্রয় দেয়নি। ইউরোপের এই দেশটি সেসময় বলেছিল, এই পরিস্থিতিতে কাউকে আশ্রয় দেওয়ার কোনো আইনি ব্যবস্থা তাদের নেই।

এছাড়া শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতি ও দেশ ছেড়ে পলায়নের পর তার পরিবারের সদস্যসহ অনেকের বিরুদ্ধেই নানা অভিযোগ বের হয়ে আসছে ও দুর্নীতিবিরোধী তদন্ত চলছে। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে তাদের একজন ব্রিটিশ লেবার এমপি টিউলিপ সিদ্দিক, যিনি শেখ হাসিনার ভাগ্নি।

বাংলাদেশে দুর্নীতির তদন্তে নাম আসার পর গত জানুয়ারি মাসে টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। মূলত টিউলিপ দেশটির ক্ষমতাসীন লেবার মন্ত্রিসভার সদস্য ও পদত্যাগের আগে তিনি ইকনোমিক সেক্রেটারি টু দি ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তার দায়িত্ব ছিল যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি সামাল দেওয়া।

সূত্র: দ্য হিন্দু

বিজনেস আওয়ার/ ০৭ মার্চ / হাসান

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: