ঢাকা , শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাকিবের টেস্ট রিপোর্ট নিয়ে গোপনীয়তা কেন?

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর ২০২০
  • 0

স্পোর্টস ডেস্ক : বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে ফিটনেস টেস্টে ডাক পাওয়া ১১৩ ক্রিকেটারের মধ্যে মাত্র ৬ ক্রিকেটার জন ১৩ পয়েন্ট অতিক্রম করেছে। এদের মধযে এক বছর পর মাঠে ফেরা সাকিব আল হাসান ছাড়িয়ে গেলেন সবাইকে! গতকাল বিসিবির একটি সূত্র এমনটাই জানিয়ে ছিল।

যদিও বিসিবির প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু সাকিব ইস্যুতে কঠোর গোপনীয়তা বজায় রাখলেন। সরাসরি কোনো স্কোর না জানিয়ে তিনি বললেন, সাকিব ভালো করেছে। আমরা যা বেঞ্চমার্ক বেঁধে দিয়েছিলাম তার চেয়ে বেশিই করেছে। কিন্তু সঠিক কত তা বলতে পারবো না।

কেমন ছিল এই ফিটনেস টেস্ট! এ বিষয়ে নান্নু বলেন, আমাদের দেশে ১১-তে সবাই খুশি হচ্ছে। আমি মনে করি এটি সঠিক নয়। কারণ অন্যদেশ যদি দেখেন তাহলে সেখানে ১২’র উপর থাকে পয়েন্ট। আমরা আর বিপ টেস্টের নিয়ম রাখবো না। আমরা ইও ইও টেস্ট নিবো। এখন বছরে তিনবার টেস্ট দিতে হবে ক্রিকেটারদের। তবে প্রশ্ন হচ্ছে- সাকিবের টেস্ট নিয়ে কেন এমন গোপনীতা!

উল্লেখ্য, ৯ই নভেম্বর শুরু হয় এই ফিটনেস টেস্ট। প্রথম দিন ৭০ জন ক্রিকেটার অংশ নেন। এর মধ্যে ৬০ জনের বেশি ক্রিকেটার বিসিবির বেঁধে দেয়া বিপ টেস্টের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করছে। দ্বিতীয় দিন প্রায় ৩০ জনের মতো ক্রিকেটা অংশ নেন। তবে প্রথম দিন এই টেস্ট দেয়ার কথা থাকলেও ফিজিওর সঙ্গে পরামর্শ করে সাকিব মঙ্গলবার মিরপুরে আসেন পরীক্ষা দিতে।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি ইনডোরে টেস্ট দেন। তা শেষ করে বের হয়ে চলে যান জিমে। তখন তার পিছনে ছিলেন জাতীয় দলের ট্রেনার নিকোলাস লি। সাকিবকে নিয়ে প্রশ্নে করলে তিনি বলেন, সাকিব সব দিক থেকে ভালো আছেন। পরে জানা যায় সাকিবের এই টেস্টের সময় লিক লি ছাড়া অন্য কোনো ট্রেনার পাশে ছিলেন না।

তিনি কত পয়েন্ট তুলেছেন সে নিয়ে ট্রেনারও মুখ খুলতে রাজি হননি। ক্রিকেটারের টেস্টের ফলাফল নিয়ে এমন গোপনীয়তার কারণটা সত্যি অজানা। কিন্তু কেন এই গোপনীয়তা? এমন প্রশ্নের সদুত্তর মেলেনি কোথাও!

গেল একটি বছর সাকিব আল হাসান ছিলেন মাঠের বাইরে। আইসিসির নিষেধাজ্ঞা থাকায় অংশ নিতে পারেননি কোনো ধরনের ক্রিকেটে। তবে ২৯শে অক্টোবর থেকে তিনি মুক্ত। সবকিছু ঠিক থাকলে এই মাসের শেষ সপ্তাহেই তাকে দেখা যাবে মাঠে। খেলবেন বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে।

বিজনেস আওয়ার/১২ নভেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

সাকিবের টেস্ট রিপোর্ট নিয়ে গোপনীয়তা কেন?

পোস্ট হয়েছে : ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর ২০২০

স্পোর্টস ডেস্ক : বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে ফিটনেস টেস্টে ডাক পাওয়া ১১৩ ক্রিকেটারের মধ্যে মাত্র ৬ ক্রিকেটার জন ১৩ পয়েন্ট অতিক্রম করেছে। এদের মধযে এক বছর পর মাঠে ফেরা সাকিব আল হাসান ছাড়িয়ে গেলেন সবাইকে! গতকাল বিসিবির একটি সূত্র এমনটাই জানিয়ে ছিল।

যদিও বিসিবির প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু সাকিব ইস্যুতে কঠোর গোপনীয়তা বজায় রাখলেন। সরাসরি কোনো স্কোর না জানিয়ে তিনি বললেন, সাকিব ভালো করেছে। আমরা যা বেঞ্চমার্ক বেঁধে দিয়েছিলাম তার চেয়ে বেশিই করেছে। কিন্তু সঠিক কত তা বলতে পারবো না।

কেমন ছিল এই ফিটনেস টেস্ট! এ বিষয়ে নান্নু বলেন, আমাদের দেশে ১১-তে সবাই খুশি হচ্ছে। আমি মনে করি এটি সঠিক নয়। কারণ অন্যদেশ যদি দেখেন তাহলে সেখানে ১২’র উপর থাকে পয়েন্ট। আমরা আর বিপ টেস্টের নিয়ম রাখবো না। আমরা ইও ইও টেস্ট নিবো। এখন বছরে তিনবার টেস্ট দিতে হবে ক্রিকেটারদের। তবে প্রশ্ন হচ্ছে- সাকিবের টেস্ট নিয়ে কেন এমন গোপনীতা!

উল্লেখ্য, ৯ই নভেম্বর শুরু হয় এই ফিটনেস টেস্ট। প্রথম দিন ৭০ জন ক্রিকেটার অংশ নেন। এর মধ্যে ৬০ জনের বেশি ক্রিকেটার বিসিবির বেঁধে দেয়া বিপ টেস্টের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করছে। দ্বিতীয় দিন প্রায় ৩০ জনের মতো ক্রিকেটা অংশ নেন। তবে প্রথম দিন এই টেস্ট দেয়ার কথা থাকলেও ফিজিওর সঙ্গে পরামর্শ করে সাকিব মঙ্গলবার মিরপুরে আসেন পরীক্ষা দিতে।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি ইনডোরে টেস্ট দেন। তা শেষ করে বের হয়ে চলে যান জিমে। তখন তার পিছনে ছিলেন জাতীয় দলের ট্রেনার নিকোলাস লি। সাকিবকে নিয়ে প্রশ্নে করলে তিনি বলেন, সাকিব সব দিক থেকে ভালো আছেন। পরে জানা যায় সাকিবের এই টেস্টের সময় লিক লি ছাড়া অন্য কোনো ট্রেনার পাশে ছিলেন না।

তিনি কত পয়েন্ট তুলেছেন সে নিয়ে ট্রেনারও মুখ খুলতে রাজি হননি। ক্রিকেটারের টেস্টের ফলাফল নিয়ে এমন গোপনীয়তার কারণটা সত্যি অজানা। কিন্তু কেন এই গোপনীয়তা? এমন প্রশ্নের সদুত্তর মেলেনি কোথাও!

গেল একটি বছর সাকিব আল হাসান ছিলেন মাঠের বাইরে। আইসিসির নিষেধাজ্ঞা থাকায় অংশ নিতে পারেননি কোনো ধরনের ক্রিকেটে। তবে ২৯শে অক্টোবর থেকে তিনি মুক্ত। সবকিছু ঠিক থাকলে এই মাসের শেষ সপ্তাহেই তাকে দেখা যাবে মাঠে। খেলবেন বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে।

বিজনেস আওয়ার/১২ নভেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: