ঢাকা , শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘বুড়িগঙ্গার মতো নগর ভবনও দুর্নীতিমুক্ত করা হচ্ছে’

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২০
  • 1

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বুড়িগঙ্গা নদীর আদি চ্যানেল, কালুনগর ও বাসাবো খাল থেকে যেভাবে মানবসৃষ্ট বর্জ্য অপসারণ চলছে, তেমনিভাবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরশন দুর্নীতিমুক্ত করা হচ্ছে। বললেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বুড়িগঙ্গা নদীর আদি চ্যানেল, কালুনগর ও বাসাবো খালের বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

অবৈধ দখল-উচ্ছেদে বাধা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ভালো কাজ করতে গেলে বাধা আসবেই। কিন্তু আমরা দৃঢ়তা ও সংকল্প নিয়েই এ কার্যক্রম শুরু করেছি। নগর ভবনে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতায় ১১টি খালসহ আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ডিএসসিসি সেজন্য বসে নেই। খালগুলোকে এই মৌসুমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও দখলমুক্ত করতে চাচ্ছি। গত সপ্তাহে জিরানি খাল হয়ে বাসাবো খাল পরিদর্শন করেছি। এখন বুড়িগঙ্গা চ্যানেল এবং কালুনগর খাল পরিদর্শনে এসেছি।

তাপস বলেন, খালগুলো পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছি। প্রাথমিক পর্যায়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ সীমানা নির্ধারণ করব। সীমানা নির্ধারণ করে অবৈধ দখলমুক্ত করে জায়গাগুলোতে নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে। আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল নিয়ে বড় পরিকল্পনা রয়েছে। এ চ্যানেল পুনরুদ্ধার করা হবে। সেই সঙ্গে এখানেও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে।

মেয়র বলেন, প্রথম দিন থেকেই কাজ শুরু করেছি। এ কাজে আমাদের প্রাথমিক প্রতিকূলতা হলো, খালগুলোতে বর্জ্য ফেলে বন্ধ করে দেয়া হয়। সেখানে পানিপ্রবাহ থাকে না। এজন্য আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই খালগুলো পরিষ্কার এবং যেখানে-যেখানে সীমানা নির্ধারণ করে যেখানে বেড়া (ফেন্সিং) দেয়া প্রয়োজন হবে সেখানে বেড়া দেব।

পরিদর্শনের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর মো. বদরুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক প্রমুখ।

বিজনেস আওয়ার/০৯ ডিসেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

‘বুড়িগঙ্গার মতো নগর ভবনও দুর্নীতিমুক্ত করা হচ্ছে’

পোস্ট হয়েছে : ০৪:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বুড়িগঙ্গা নদীর আদি চ্যানেল, কালুনগর ও বাসাবো খাল থেকে যেভাবে মানবসৃষ্ট বর্জ্য অপসারণ চলছে, তেমনিভাবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরশন দুর্নীতিমুক্ত করা হচ্ছে। বললেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

বুধবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বুড়িগঙ্গা নদীর আদি চ্যানেল, কালুনগর ও বাসাবো খালের বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

অবৈধ দখল-উচ্ছেদে বাধা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ভালো কাজ করতে গেলে বাধা আসবেই। কিন্তু আমরা দৃঢ়তা ও সংকল্প নিয়েই এ কার্যক্রম শুরু করেছি। নগর ভবনে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতায় ১১টি খালসহ আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ডিএসসিসি সেজন্য বসে নেই। খালগুলোকে এই মৌসুমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও দখলমুক্ত করতে চাচ্ছি। গত সপ্তাহে জিরানি খাল হয়ে বাসাবো খাল পরিদর্শন করেছি। এখন বুড়িগঙ্গা চ্যানেল এবং কালুনগর খাল পরিদর্শনে এসেছি।

তাপস বলেন, খালগুলো পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছি। প্রাথমিক পর্যায়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ সীমানা নির্ধারণ করব। সীমানা নির্ধারণ করে অবৈধ দখলমুক্ত করে জায়গাগুলোতে নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে। আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল নিয়ে বড় পরিকল্পনা রয়েছে। এ চ্যানেল পুনরুদ্ধার করা হবে। সেই সঙ্গে এখানেও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে।

মেয়র বলেন, প্রথম দিন থেকেই কাজ শুরু করেছি। এ কাজে আমাদের প্রাথমিক প্রতিকূলতা হলো, খালগুলোতে বর্জ্য ফেলে বন্ধ করে দেয়া হয়। সেখানে পানিপ্রবাহ থাকে না। এজন্য আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই খালগুলো পরিষ্কার এবং যেখানে-যেখানে সীমানা নির্ধারণ করে যেখানে বেড়া (ফেন্সিং) দেয়া প্রয়োজন হবে সেখানে বেড়া দেব।

পরিদর্শনের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর মো. বদরুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক প্রমুখ।

বিজনেস আওয়ার/০৯ ডিসেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: