ঢাকা , বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যেভাবে পূনর্গঠন হবে ৩০ শতাংশ শেয়ারধারনে ব্যর্থ কোম্পানির পর্ষদ

  • পোস্ট হয়েছে : ০৬:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০
  • 1

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে উদ্যোক্তা/পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ারধারনে ব্যর্থ কোম্পানির পর্ষদ পূনর্গঠনের প্রক্রিয়া প্রকাশ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

রবিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম সাক্ষরিত এই প্রক্রিয়ার নির্দেশনাটি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে গত ২৫ নভেম্বর বিএসইসির ৭৫০তম কমিশন সভায় পর্ষদ পূনর্গঠনের কর্ম-পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়।

কমিশনের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ৩০ শতাংশ শেয়ারধারনে ব্যর্থ কোম্পানির পর্ষদ কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে অতিরিক্ত ২ জন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেবে। যারা ৩০ শতাংশ শেয়ারধারনের বিষয়টি তদারকি করবে এবং পর্ষদে ১ মেয়াদের জন্য থাকবে। আর তদারকির জন্য একটি কমিটি গঠন করবে। এছাড়া অতিরিক্ত নিয়োগকৃত স্বতন্ত্র পরিচালকেরা প্রতি প্রান্তিকের শেষ হওয়ার ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে রিপোর্ট জমা দেবে।

শেয়ারহোল্ডারদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য এ জাতীয় কোম্পানিগুলো কমিশনের নির্দেশনা জারির পরবর্তী ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে হাইব্রিড সিস্টেমে (স্বশরীর বা ডিজিটাল) সাধারন মিটিং (এজিএম বা ইজিএম) আয়োজন করবে।

নতুন শেয়ারহোল্ডার পরিচালক নির্বাচনের করার জন্য সিডিবিএলের পর্ষদ ৩ সদস্যের ১টি নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ গঠন করা ওই কমিশন শেয়ারহোল্ডারদের সাধারন মিটিংয়ে নির্বাচনের জন্য সিডিউল ঘোষণা করবে।

সিডিবিএল ওই নির্বাচনের জন্য কমপক্ষে ২ শতাংশ শেয়ারধারন করা যোগ্য প্রার্থীর তালিকা প্রদান করবে। একইসঙ্গে ভোটার তালিকা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য কোম্পানির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে। ওই তালিকার মধ্য থেকে কোম্পানির পর্ষদ পরিচালক পদে নির্বাচনের জন্য যোগ্য প্রার্থী সুপারিশ করবে।

তবে ৩০ শতাংশ শেয়ারধারনের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে যদি কোম্পানির পর্ষদ না থাকে বা বিদ্যমান পর্ষদের কোন সুপারিশ না থাকে, তাহলে সিডিবিএলের সরবরাহ করা তালিকাই পরিচালক পদে নির্বাচনের জন্য সুপারিশকৃত যোগ্য প্রার্থী হবে। এই নির্বাচনের জন্য সিডিবিএল শেয়ারহোল্ডারদের জন্য অনলাইন/ইভোটিং প্লাটফর্ম বা সিস্টেম সরবরাহ করবে। এছাড়া সিডিবিএলের সঙ্গে কোম্পানি শেয়ারহোল্ডারদের রেজিস্ট্রেশনের জন্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান করবে।

অনলাইন/ইভোটিং প্লাটফর্ম বা সিস্টেমে শেয়ারহোল্ডারদেরকে ভোট দেওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে বলে কমিশনের নির্দেশনায় বলা হয়েছে। সেটা পরিচালক নিয়োগ বা সাধারন মিটিংয়ে যেকোন প্রস্তাবিত রেজুলেশেনের জন্য। এছাড়া নিশ্চিত করতে হবে- শেয়ারহোল্ডারের পক্ষে সাধারন মিটিংয়ে অংশগ্রহন ও ভোটদানের জন্য কোম্পানি হার্ড বা সফট প্রক্সি ফর্ম পাঠানো, সাধারন মিটিং চলাকালীন পর্যন্ত ভোট প্রদান সিস্টেম, নির্বাচন প্রক্রিয়া ও ফলাফল সিডিবিএল দ্ধারা প্রমাণিত বা সত্যায়িত হতে হবে, অনুমোদনের জন্য মিটিং শেষ হওয়ার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে কমিশনকে অবহিত করতে হবে, স্টক এক্সচেঞ্জ নির্বাচন পর্যবেক্ষনের জন্য কর্মকর্তা (সর্বনিম্ন সহকারী মহা-ব্যবস্থাপক পদধারী) নিয়োগ দিতে পারবে, নির্বাচন কমিশন যেকোন সমস্যা বা বিতর্কের সমাধান করবে এবং বিএসইসি নির্বাচন কমিশনের যেকোন সিদ্ধান্ত আপিলের দায়িত্ব পালন করতে পারবে। সবশেষে বিএসইসির সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত।

বিজনেস আওয়ার/১৩ ডিসেম্বর, ২০২০/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

One thought on “যেভাবে পূনর্গঠন হবে ৩০ শতাংশ শেয়ারধারনে ব্যর্থ কোম্পানির পর্ষদ

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

সর্বাধিক পঠিত

যেভাবে পূনর্গঠন হবে ৩০ শতাংশ শেয়ারধারনে ব্যর্থ কোম্পানির পর্ষদ

পোস্ট হয়েছে : ০৬:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে উদ্যোক্তা/পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ারধারনে ব্যর্থ কোম্পানির পর্ষদ পূনর্গঠনের প্রক্রিয়া প্রকাশ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

রবিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম সাক্ষরিত এই প্রক্রিয়ার নির্দেশনাটি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে গত ২৫ নভেম্বর বিএসইসির ৭৫০তম কমিশন সভায় পর্ষদ পূনর্গঠনের কর্ম-পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়।

কমিশনের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ৩০ শতাংশ শেয়ারধারনে ব্যর্থ কোম্পানির পর্ষদ কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে অতিরিক্ত ২ জন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেবে। যারা ৩০ শতাংশ শেয়ারধারনের বিষয়টি তদারকি করবে এবং পর্ষদে ১ মেয়াদের জন্য থাকবে। আর তদারকির জন্য একটি কমিটি গঠন করবে। এছাড়া অতিরিক্ত নিয়োগকৃত স্বতন্ত্র পরিচালকেরা প্রতি প্রান্তিকের শেষ হওয়ার ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে রিপোর্ট জমা দেবে।

শেয়ারহোল্ডারদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য এ জাতীয় কোম্পানিগুলো কমিশনের নির্দেশনা জারির পরবর্তী ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে হাইব্রিড সিস্টেমে (স্বশরীর বা ডিজিটাল) সাধারন মিটিং (এজিএম বা ইজিএম) আয়োজন করবে।

নতুন শেয়ারহোল্ডার পরিচালক নির্বাচনের করার জন্য সিডিবিএলের পর্ষদ ৩ সদস্যের ১টি নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ গঠন করা ওই কমিশন শেয়ারহোল্ডারদের সাধারন মিটিংয়ে নির্বাচনের জন্য সিডিউল ঘোষণা করবে।

সিডিবিএল ওই নির্বাচনের জন্য কমপক্ষে ২ শতাংশ শেয়ারধারন করা যোগ্য প্রার্থীর তালিকা প্রদান করবে। একইসঙ্গে ভোটার তালিকা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য কোম্পানির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে। ওই তালিকার মধ্য থেকে কোম্পানির পর্ষদ পরিচালক পদে নির্বাচনের জন্য যোগ্য প্রার্থী সুপারিশ করবে।

তবে ৩০ শতাংশ শেয়ারধারনের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে যদি কোম্পানির পর্ষদ না থাকে বা বিদ্যমান পর্ষদের কোন সুপারিশ না থাকে, তাহলে সিডিবিএলের সরবরাহ করা তালিকাই পরিচালক পদে নির্বাচনের জন্য সুপারিশকৃত যোগ্য প্রার্থী হবে। এই নির্বাচনের জন্য সিডিবিএল শেয়ারহোল্ডারদের জন্য অনলাইন/ইভোটিং প্লাটফর্ম বা সিস্টেম সরবরাহ করবে। এছাড়া সিডিবিএলের সঙ্গে কোম্পানি শেয়ারহোল্ডারদের রেজিস্ট্রেশনের জন্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান করবে।

অনলাইন/ইভোটিং প্লাটফর্ম বা সিস্টেমে শেয়ারহোল্ডারদেরকে ভোট দেওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে বলে কমিশনের নির্দেশনায় বলা হয়েছে। সেটা পরিচালক নিয়োগ বা সাধারন মিটিংয়ে যেকোন প্রস্তাবিত রেজুলেশেনের জন্য। এছাড়া নিশ্চিত করতে হবে- শেয়ারহোল্ডারের পক্ষে সাধারন মিটিংয়ে অংশগ্রহন ও ভোটদানের জন্য কোম্পানি হার্ড বা সফট প্রক্সি ফর্ম পাঠানো, সাধারন মিটিং চলাকালীন পর্যন্ত ভোট প্রদান সিস্টেম, নির্বাচন প্রক্রিয়া ও ফলাফল সিডিবিএল দ্ধারা প্রমাণিত বা সত্যায়িত হতে হবে, অনুমোদনের জন্য মিটিং শেষ হওয়ার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে কমিশনকে অবহিত করতে হবে, স্টক এক্সচেঞ্জ নির্বাচন পর্যবেক্ষনের জন্য কর্মকর্তা (সর্বনিম্ন সহকারী মহা-ব্যবস্থাপক পদধারী) নিয়োগ দিতে পারবে, নির্বাচন কমিশন যেকোন সমস্যা বা বিতর্কের সমাধান করবে এবং বিএসইসি নির্বাচন কমিশনের যেকোন সিদ্ধান্ত আপিলের দায়িত্ব পালন করতে পারবে। সবশেষে বিএসইসির সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত।

বিজনেস আওয়ার/১৩ ডিসেম্বর, ২০২০/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: