ঢাকা , শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নির্বাচনী এলাকায় তান্ডব চালাচ্ছে: রিজভী

  • পোস্ট হয়েছে : ০১:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০
  • 0

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : আজ দেশব্যাপী ২৪টি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই নির্বাচনগুলোও আগের অবস্থার মতোই রক্তপাত ও ডাকাতির নির্বাচন। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যমতে প্রশাসনের সহায়তায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা অধিকাংশ পৌর নির্বাচনী এলাকায় তান্ডবলীলা চালাচ্ছে। বললেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী।

সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অংশ নিয়েছিল। বিএনপি তখন গণতন্ত্রকে সংকটে ফেলতে চেয়েছিল। তিনি আরো বলেছেন দেশের বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করছে। উচ্চ ও নিম্ন আদালতে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই।

তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব মনোপীড়ায় ভুগছেন। তার কথাতেই বোঝা যায় যে, নির্বাচনে বিএনপি না আসুক, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেই তারা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন। কারণ বিএনপি’র অংশগ্রহণের কারণে তাদেরকে বিজয়ী হতে ভোটকেন্দ্র দখল করতে হয়, নিশিরাতে নৌকায় সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভরতে হয়, নির্বাচনে সহিংসতা করতে হয়, ভোটারদের ভয় দেখাতে হয়।

ফলে তাদের স্বরুপ জনগণের সামনে উন্মোচিত হয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে। আর এই কারণেই কাদের সাহেবের বাকশালী চেতনা জাহির হয়ে পড়ে যে, বিএনপি কেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। কারণ একতরফা নির্বাচনই হচ্ছে তাদের চেতনা। বন্দুকের জোরে গণতন্ত্রকে হত্যা করে দেশ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে কাদের সাহেবরা এখন বাকশালী গণতন্ত্রের চর্চা করছেন।

বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব বিচার বিভাগের স্বাধীনতার কথা বলেছেন। তার নমূণা আপনারা দেখেছেন গতকাল শত শত কোটি টাকার দুর্নীতি আর পাচারের সাথে জড়িত এমপি পাপুলের স্ত্রী ও কন্যা জামিন পেয়েছেন। অথচ মিথ্যা অভিযোগে এদেশের চারবারের প্রধানমন্ত্রী দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন দেয়া হয় না।

হত্যাকান্ডের আসামিদের জামিন হয়, ক্যাসিনো কাণ্ডের হোতাদের জামিন হয়, টাকা পাচার কাণ্ডের হোতাদের জামিন হয়, অথচ জামিন হয় না গণতন্ত্রকামী নেতাকর্মীদের। আইনের শাসন এখন আওয়ামী শাসনে পরিণত হয়েছে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নয়, আওয়ামী বিচারপতিরা বিরোধী দল নির্মূল করতে বেপরোয়া স্বাধীনতা ভোগ করছেন।

বিজনেস আওয়ার/২৮ ডিসেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নির্বাচনী এলাকায় তান্ডব চালাচ্ছে: রিজভী

পোস্ট হয়েছে : ০১:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : আজ দেশব্যাপী ২৪টি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই নির্বাচনগুলোও আগের অবস্থার মতোই রক্তপাত ও ডাকাতির নির্বাচন। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যমতে প্রশাসনের সহায়তায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা অধিকাংশ পৌর নির্বাচনী এলাকায় তান্ডবলীলা চালাচ্ছে। বললেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী।

সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অংশ নিয়েছিল। বিএনপি তখন গণতন্ত্রকে সংকটে ফেলতে চেয়েছিল। তিনি আরো বলেছেন দেশের বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করছে। উচ্চ ও নিম্ন আদালতে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই।

তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব মনোপীড়ায় ভুগছেন। তার কথাতেই বোঝা যায় যে, নির্বাচনে বিএনপি না আসুক, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেই তারা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন। কারণ বিএনপি’র অংশগ্রহণের কারণে তাদেরকে বিজয়ী হতে ভোটকেন্দ্র দখল করতে হয়, নিশিরাতে নৌকায় সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভরতে হয়, নির্বাচনে সহিংসতা করতে হয়, ভোটারদের ভয় দেখাতে হয়।

ফলে তাদের স্বরুপ জনগণের সামনে উন্মোচিত হয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে। আর এই কারণেই কাদের সাহেবের বাকশালী চেতনা জাহির হয়ে পড়ে যে, বিএনপি কেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। কারণ একতরফা নির্বাচনই হচ্ছে তাদের চেতনা। বন্দুকের জোরে গণতন্ত্রকে হত্যা করে দেশ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে কাদের সাহেবরা এখন বাকশালী গণতন্ত্রের চর্চা করছেন।

বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব বিচার বিভাগের স্বাধীনতার কথা বলেছেন। তার নমূণা আপনারা দেখেছেন গতকাল শত শত কোটি টাকার দুর্নীতি আর পাচারের সাথে জড়িত এমপি পাপুলের স্ত্রী ও কন্যা জামিন পেয়েছেন। অথচ মিথ্যা অভিযোগে এদেশের চারবারের প্রধানমন্ত্রী দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন দেয়া হয় না।

হত্যাকান্ডের আসামিদের জামিন হয়, ক্যাসিনো কাণ্ডের হোতাদের জামিন হয়, টাকা পাচার কাণ্ডের হোতাদের জামিন হয়, অথচ জামিন হয় না গণতন্ত্রকামী নেতাকর্মীদের। আইনের শাসন এখন আওয়ামী শাসনে পরিণত হয়েছে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নয়, আওয়ামী বিচারপতিরা বিরোধী দল নির্মূল করতে বেপরোয়া স্বাধীনতা ভোগ করছেন।

বিজনেস আওয়ার/২৮ ডিসেম্বর, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: