ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোনাহ থেকে বাঁচার কয়েকটি উপায়

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুন ২০২০
  • 51

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক : খেলার ছলে কিংবা নফসের তাড়নায় মানুষ প্রতিনিয়ত গোনাহে জড়িয়ে পড়ছে। গোনাহের কাজ থেকে বিরত থাকা প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের জন্য একান্ত জরুরি। এমন কিছু বিষয় রয়েছে, যা মানুষকে গোনাহের কাজ থেকে বিরত রাখবে।

সেগুলো হলো-

মানুষের দুনিয়ার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত পরকালীন জীবনের সফলতা বা ব্যার্থতার হাতিয়ার। আপনার কাজই আপনাকে প্রতিটি মুহূর্তে হয় জান্নাতের মালিক বানাবে নতুবা জাহান্নামে ঠেলে দেবে।

অনেক মানুষ আছেন, যারা অন্যায় অপরাধ করেও পরিবার কিংবা সমাজের কাছে ভদ্র হতে চান। তাদের এ কথা ভাবা জরুরি যে, দুনিয়ার মানুষের কাছে ভদ্র না সেজে মহান আল্লাহর কাছে ভদ্র ও নেককার বান্দা হওয়া জরুরি। তবেই পরকালে মিলবে মুক্তি।

গোনাহ হয়ে গেলে তা থেকে ক্ষমা চাওয়ার চেয়ে অন্যায় বা গোনাহের কাজ পরিহার করে চলার বিষয়টি কাজে বাস্তবায়ন করা জরুরি। সেক্ষেত্রে দুনিয়ার জীবনে বন্ধু নির্বাচন, যে কোনো বিষয়ে মন্তব্য করা কিংবা মন্দ কাজের দিকে ধাবিত না হওয়াই উত্তম।

অযথা সময় ব্যয় করা থেকে বিরত থাকা জরুরি। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সময় যত কম ব্যয় করা যায় ততই উত্তম।

কোনো কাজ না থাকলে মহান আল্লাহর দেয়া জীবন বিধান আল-কুরআনের তেলাওয়াত, অধ্যয়ন, তাওবাহ-ইসতেগফার, জিকির-আজকার কিংবা ব্যক্তি, পরিবার, সমাজের উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহণও গোনাহমুক্ত থাকার উপায়।

মানুষের কল্যাণের চিন্তায় সময় অতিবাহিত করাই শ্রেয়। সন্দেহযুক্ত কাজ করা থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি সঠিক দিকনির্দেশনা মেনে চলার প্রতি ধাবিত হওয়া জরুরি।

সর্বোপরি সব কাজে সব সময় মহান আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাসের সঙ্গে তাকে ভয় করা। আল্লাহর কাছে দুনিয়ার সব ফেতনা ও গোনাহের কাজ থেকে বিরত থাকার দোয়া করা জরুরি।

যে কোনো গোনাহের কাজের সময় মহান আল্লাহর উপস্থিতি উপলব্ধি করা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ যে কোনো ইলেক্ট্রনিক্স মাধ্যমে গোনাহ সংঘটিত হলে এটিকে চোখের খেয়ানত মনে করা জরুরি।

অনেক মানুষই ভুলে যায় যে, মহান আল্লাহ মানুষের ভালো-মন্দ কাজের হিসাব গ্রহণে তার সঙ্গেই ফেরেশতা নিযুক্ত করে রেখেছেন। যারা দিন-রাত এ হিসাব রেকর্ড করছেন। এ চিন্তা বা ভয় করা যে, কোনো মানুষ একা নয়। মানুষের প্রতিটি কাজের হিসাব রেকর্ড করা হচ্ছে।

বিজনেস আওয়ার/১২ জুন, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

গোনাহ থেকে বাঁচার কয়েকটি উপায়

পোস্ট হয়েছে : ০৪:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুন ২০২০

বিজনেস আওয়ার ডেস্ক : খেলার ছলে কিংবা নফসের তাড়নায় মানুষ প্রতিনিয়ত গোনাহে জড়িয়ে পড়ছে। গোনাহের কাজ থেকে বিরত থাকা প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের জন্য একান্ত জরুরি। এমন কিছু বিষয় রয়েছে, যা মানুষকে গোনাহের কাজ থেকে বিরত রাখবে।

সেগুলো হলো-

মানুষের দুনিয়ার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত পরকালীন জীবনের সফলতা বা ব্যার্থতার হাতিয়ার। আপনার কাজই আপনাকে প্রতিটি মুহূর্তে হয় জান্নাতের মালিক বানাবে নতুবা জাহান্নামে ঠেলে দেবে।

অনেক মানুষ আছেন, যারা অন্যায় অপরাধ করেও পরিবার কিংবা সমাজের কাছে ভদ্র হতে চান। তাদের এ কথা ভাবা জরুরি যে, দুনিয়ার মানুষের কাছে ভদ্র না সেজে মহান আল্লাহর কাছে ভদ্র ও নেককার বান্দা হওয়া জরুরি। তবেই পরকালে মিলবে মুক্তি।

গোনাহ হয়ে গেলে তা থেকে ক্ষমা চাওয়ার চেয়ে অন্যায় বা গোনাহের কাজ পরিহার করে চলার বিষয়টি কাজে বাস্তবায়ন করা জরুরি। সেক্ষেত্রে দুনিয়ার জীবনে বন্ধু নির্বাচন, যে কোনো বিষয়ে মন্তব্য করা কিংবা মন্দ কাজের দিকে ধাবিত না হওয়াই উত্তম।

অযথা সময় ব্যয় করা থেকে বিরত থাকা জরুরি। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সময় যত কম ব্যয় করা যায় ততই উত্তম।

কোনো কাজ না থাকলে মহান আল্লাহর দেয়া জীবন বিধান আল-কুরআনের তেলাওয়াত, অধ্যয়ন, তাওবাহ-ইসতেগফার, জিকির-আজকার কিংবা ব্যক্তি, পরিবার, সমাজের উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহণও গোনাহমুক্ত থাকার উপায়।

মানুষের কল্যাণের চিন্তায় সময় অতিবাহিত করাই শ্রেয়। সন্দেহযুক্ত কাজ করা থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি সঠিক দিকনির্দেশনা মেনে চলার প্রতি ধাবিত হওয়া জরুরি।

সর্বোপরি সব কাজে সব সময় মহান আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাসের সঙ্গে তাকে ভয় করা। আল্লাহর কাছে দুনিয়ার সব ফেতনা ও গোনাহের কাজ থেকে বিরত থাকার দোয়া করা জরুরি।

যে কোনো গোনাহের কাজের সময় মহান আল্লাহর উপস্থিতি উপলব্ধি করা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ যে কোনো ইলেক্ট্রনিক্স মাধ্যমে গোনাহ সংঘটিত হলে এটিকে চোখের খেয়ানত মনে করা জরুরি।

অনেক মানুষই ভুলে যায় যে, মহান আল্লাহ মানুষের ভালো-মন্দ কাজের হিসাব গ্রহণে তার সঙ্গেই ফেরেশতা নিযুক্ত করে রেখেছেন। যারা দিন-রাত এ হিসাব রেকর্ড করছেন। এ চিন্তা বা ভয় করা যে, কোনো মানুষ একা নয়। মানুষের প্রতিটি কাজের হিসাব রেকর্ড করা হচ্ছে।

বিজনেস আওয়ার/১২ জুন, ২০২০/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: