ঢাকা , সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আইপিওতে উন্নতি করতে পারেনি শিবলী কমিশন

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ মার্চ ২০২১
  • 73

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই অনেক যাচাই-বাছাই করে যোগ্য কোম্পানির প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) অনুমোদন দেওয়া হয় বলে দাবি করে আসছে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশন। শুরুতে কয়েকটি কোম্পানির আইপিও আবেদন বাতিলের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা মধ্যে সেই দাবি বিশ্বাসও করে। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে সেই বিশ্বাসে কিছুটা হলেও ফাঁটল ধরেছে। এখনো আগের মতোই দূর্বলতার কারনে নতুন শেয়ারগুলোতে অস্থিরতা বিদ্যমান।

নতুন কমিশন ভালো কোম্পানির আইপিও দেয় বলে দাবি করে আসলেও এরমধ্যে দূর্বল কোম্পানির আইপিও দেওয়া হয়েছে। এমন কোম্পানির আইপিও দেওয়া হয়েছে, যে কোম্পানি কোটি কোটি টাকার ভূয়া ল্যান্ড ডেভেলপমেন্টবাবদ সম্পদ দেখিয়েছে। এমনকি চুক্তিভিত্তিক কাজ করায় একটি জাহাজ নির্মাণকারী কোম্পানির আইপিও বাতিল করলেও কন্ট্রাকটারের কাজ করা আরেক কোম্পানির অনুমোদন দিয়ে বৈষম্য সৃষ্টি করার উদাহরন আছে। এছাড়া ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে অ্যাকাউন্টসের কোম্পানিও আইপিও অনুমোদন পেয়েছে এই কমিশনের সময়ে। যা লেনদেনে আসার পরে কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর ধরে রাখতে না পারার পেছনে একটি কারন।

এরইমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন কমিশনের আইপিও নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়ে গেছে। এছাড়া দূর্বল কোম্পানির আইপিও নিয়ে অনেক বাজার সংশ্লিষ্টরাও সমালোচনা করছেন। তবে নতুন কমিশন হওয়ায় এখনই কেউ প্রকাশ্যে এ বিষয়ে কিছু বলছেন না।

বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, লেনদেনের কয়েকদিনের মধ্যে দর পতনের পেছনে দূর্বল কোম্পানির আইপিও অনুমোদনের পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের নির্বুদ্ধিতাও কাজ করছে। দূর্বল কিংবা সবল, যেকোন ধরনের নতুন কোম্পানির শেয়ার পেতে বিনিয়োগকারীদের মরিয়া হয়ে উঠা শেয়ারবাজারের একটি বড় সমস্যা। যাতে নতুন শেয়ারগুলো মৌলভিত্তি ছাড়াই টানা দর বাড়ে। কিন্তু একসময় অযৌক্তিক দর বৃদ্ধির কারনে তার পতন হতেই হয়।

শেয়ারবাজারে উত্থান-পতন স্বাভাবিক। কখনো শেয়ারের দাম কমবে, কখনো বাড়বে-এমনটিই হয়ে থাকে। কিন্তু সব নতুন শেয়ারের ভিন্নচিত্র। লেনদেনের শুরুতে টানা দর বৃদ্ধি পায় এবং পরবর্তীতে টানা পতন হয়। এই পতনে শেয়ারগুলো আর কখনো আগের অবস্থানে ফিরে যায় না। এতে করে আইপিওধারীরা লাভবান হলেও সেকেন্ডারির বিনিয়োগকারীদের নিশ্চিত লোকসান হয়।

শেয়ারবাজার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নির্ধারিত দরের শেয়ারও লেনদেনের শুরুতে টানা বৃদ্ধি পায়। এটা খুবই অবাক করার বিষয়। যেখানে বুক বিল্ডিংয়ে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের নির্ধারিত দরকেই অতিমূল্যায়িত বলে অভিযোগ ওঠে, সেখানে সেইসব শেয়ারও লেনদেনে এসে টানা দর বৃদ্ধি পায়।

আরও পড়ুন…..
বিএসইসিতে প্রশ্নবিদ্ধ নিয়োগ

দেখা গেছে, নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পরে গত ২০ মার্চ পর্যন্ত সময়ে ১১টি কোম্পানির লেনদেন শুরু হয়েছে। যার সবগুলো শেয়ার লেনদেনের প্রথম দিন থেকে টানা বাড়ে। কিন্তু একমাত্র ওয়ালটন ছাড়া কোনটিই সেই দর ধরে রাখতে পারেনি। প্রত্যেকটি শেয়ারের দর কয়েকদিনের ব্যবধানে নেমে এসেছে।

ওই ১১টি কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর পতন হয়েছে ১৯ জানুয়ারি লেনদেন শুরু হওয়া এনার্জিপ্যাক পাওয়ারের। ৩৫ টাকা ইস্যু মূল্যের শেয়ারটি টানা বেড়ে ২৫ জানুয়ারি ৯২.৬০ টাকা হয়ে যায়। অর্থাৎ ওই সময় শেয়ারটির দর বাড়ে ৫৭.৬০ টাকা বা ১৬৫ শতাংশ। কিন্তু সেই শেয়ারটি ২০ মার্চ ৪৬.৫০ টাকায় নেমে এসেছে। এ হিসেবে শেয়ারটির ৫০ শতাংশ দর পতন হয়ে গেছে।

নিম্নে কোম্পানিগুলোর শেয়ার দরের বিস্তারিত তুলে ধরা হল-

কোম্পানির নামলেনদেন শুরুইস্যু মূল্য (টাকা)প্রথম মাসের সর্বোচ্চ দর (টাকা)২০ মার্চের দর (টাকা)পতনের হার
ওয়ালটন হাইটেক২৩ সেপ্টেম্বর৩১৫১০০২.৭০১২৬৫.৩০২৬.১৯%
এনার্জিপ্যাক পাওয়ার১৯ জানুয়ারি ২১৩৫৯২.৬০৪৬.৫০(৪৯.৭৮%)
ডমিনেজ স্টিল২ ডিসেম্বর১০৪৩.৩০২২.৬০(৪৭.৮১%)
এসোসিয়েটেড অক্সিজেন২৫ অক্টোবর১০৬৫.৬০৩৭.৬০(৪২.৬৮%)
ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স২১ ডিসেম্বর১০৫৩.৮০৩৪.১০(৩৬.৬২%)
রবি আজিয়াটা২৪ ডিসেম্বর১০৭০.১০৪৬.৬০(৩৩.৫২%)
লুব-রেফ৯ মার্চ ২১৩০৬০.৭০৪৩.১০(২৯%)
এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স২৪ আগস্ট১০৩২২৪.৩০(২৪.০৬%)
মীর আখতার২ ফেব্রুয়ারি ২১৬০১০০.২০৭৬.৮০(২৩.৩৫%)
ইজেনারেশন২৩ ফেব্রুয়ারি১০৩৯.৪০৩২.৫০(১৭.৫১%)
লাভেলো১০ ফেব্রুয়ারি১০২৫২১.৮০(১২.৮০%)

­­­

তবে দেশের জায়ান্ট ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি ওয়ালটন হাইটেক একমাত্র ব্যতিক্রম কোম্পানি। এই কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনের প্রথম মাসে যে পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছিল, এখন তারচেয়ে অনেক বেশিতে অবস্থান করছে। শুধুমাত্র এই শেয়ারটির ধস নামেনি। অথচ এই শেয়ারটি নিয়ে কমিশনের এক কমিশনারও বিরোধীতা করেছিলেন। যিনি কোম্পানিটির আইপিওতে আপত্তি জানিয়ে নোট দেন।

৩১৫ টাকা ইস্যু মূল্যের ওয়ালটনের শেয়ারটি লেনদেনের প্রথম মাসে সর্বোচ্চ ১০০২.৭০ টাকায় উঠে। যে শেয়ারটি ২০ মার্চ আরও বেড়ে দাড়িঁয়েছে ১২৬৫.৩০ টাকায়।    

বিজনেস আওয়ার/২৪ মার্চ, ২০২১/পিএস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

আইপিওতে উন্নতি করতে পারেনি শিবলী কমিশন

পোস্ট হয়েছে : ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ মার্চ ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই অনেক যাচাই-বাছাই করে যোগ্য কোম্পানির প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) অনুমোদন দেওয়া হয় বলে দাবি করে আসছে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশন। শুরুতে কয়েকটি কোম্পানির আইপিও আবেদন বাতিলের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা মধ্যে সেই দাবি বিশ্বাসও করে। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে সেই বিশ্বাসে কিছুটা হলেও ফাঁটল ধরেছে। এখনো আগের মতোই দূর্বলতার কারনে নতুন শেয়ারগুলোতে অস্থিরতা বিদ্যমান।

নতুন কমিশন ভালো কোম্পানির আইপিও দেয় বলে দাবি করে আসলেও এরমধ্যে দূর্বল কোম্পানির আইপিও দেওয়া হয়েছে। এমন কোম্পানির আইপিও দেওয়া হয়েছে, যে কোম্পানি কোটি কোটি টাকার ভূয়া ল্যান্ড ডেভেলপমেন্টবাবদ সম্পদ দেখিয়েছে। এমনকি চুক্তিভিত্তিক কাজ করায় একটি জাহাজ নির্মাণকারী কোম্পানির আইপিও বাতিল করলেও কন্ট্রাকটারের কাজ করা আরেক কোম্পানির অনুমোদন দিয়ে বৈষম্য সৃষ্টি করার উদাহরন আছে। এছাড়া ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে অ্যাকাউন্টসের কোম্পানিও আইপিও অনুমোদন পেয়েছে এই কমিশনের সময়ে। যা লেনদেনে আসার পরে কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর ধরে রাখতে না পারার পেছনে একটি কারন।

এরইমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন কমিশনের আইপিও নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়ে গেছে। এছাড়া দূর্বল কোম্পানির আইপিও নিয়ে অনেক বাজার সংশ্লিষ্টরাও সমালোচনা করছেন। তবে নতুন কমিশন হওয়ায় এখনই কেউ প্রকাশ্যে এ বিষয়ে কিছু বলছেন না।

বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, লেনদেনের কয়েকদিনের মধ্যে দর পতনের পেছনে দূর্বল কোম্পানির আইপিও অনুমোদনের পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের নির্বুদ্ধিতাও কাজ করছে। দূর্বল কিংবা সবল, যেকোন ধরনের নতুন কোম্পানির শেয়ার পেতে বিনিয়োগকারীদের মরিয়া হয়ে উঠা শেয়ারবাজারের একটি বড় সমস্যা। যাতে নতুন শেয়ারগুলো মৌলভিত্তি ছাড়াই টানা দর বাড়ে। কিন্তু একসময় অযৌক্তিক দর বৃদ্ধির কারনে তার পতন হতেই হয়।

শেয়ারবাজারে উত্থান-পতন স্বাভাবিক। কখনো শেয়ারের দাম কমবে, কখনো বাড়বে-এমনটিই হয়ে থাকে। কিন্তু সব নতুন শেয়ারের ভিন্নচিত্র। লেনদেনের শুরুতে টানা দর বৃদ্ধি পায় এবং পরবর্তীতে টানা পতন হয়। এই পতনে শেয়ারগুলো আর কখনো আগের অবস্থানে ফিরে যায় না। এতে করে আইপিওধারীরা লাভবান হলেও সেকেন্ডারির বিনিয়োগকারীদের নিশ্চিত লোকসান হয়।

শেয়ারবাজার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নির্ধারিত দরের শেয়ারও লেনদেনের শুরুতে টানা বৃদ্ধি পায়। এটা খুবই অবাক করার বিষয়। যেখানে বুক বিল্ডিংয়ে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের নির্ধারিত দরকেই অতিমূল্যায়িত বলে অভিযোগ ওঠে, সেখানে সেইসব শেয়ারও লেনদেনে এসে টানা দর বৃদ্ধি পায়।

আরও পড়ুন…..
বিএসইসিতে প্রশ্নবিদ্ধ নিয়োগ

দেখা গেছে, নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পরে গত ২০ মার্চ পর্যন্ত সময়ে ১১টি কোম্পানির লেনদেন শুরু হয়েছে। যার সবগুলো শেয়ার লেনদেনের প্রথম দিন থেকে টানা বাড়ে। কিন্তু একমাত্র ওয়ালটন ছাড়া কোনটিই সেই দর ধরে রাখতে পারেনি। প্রত্যেকটি শেয়ারের দর কয়েকদিনের ব্যবধানে নেমে এসেছে।

ওই ১১টি কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর পতন হয়েছে ১৯ জানুয়ারি লেনদেন শুরু হওয়া এনার্জিপ্যাক পাওয়ারের। ৩৫ টাকা ইস্যু মূল্যের শেয়ারটি টানা বেড়ে ২৫ জানুয়ারি ৯২.৬০ টাকা হয়ে যায়। অর্থাৎ ওই সময় শেয়ারটির দর বাড়ে ৫৭.৬০ টাকা বা ১৬৫ শতাংশ। কিন্তু সেই শেয়ারটি ২০ মার্চ ৪৬.৫০ টাকায় নেমে এসেছে। এ হিসেবে শেয়ারটির ৫০ শতাংশ দর পতন হয়ে গেছে।

নিম্নে কোম্পানিগুলোর শেয়ার দরের বিস্তারিত তুলে ধরা হল-

কোম্পানির নামলেনদেন শুরুইস্যু মূল্য (টাকা)প্রথম মাসের সর্বোচ্চ দর (টাকা)২০ মার্চের দর (টাকা)পতনের হার
ওয়ালটন হাইটেক২৩ সেপ্টেম্বর৩১৫১০০২.৭০১২৬৫.৩০২৬.১৯%
এনার্জিপ্যাক পাওয়ার১৯ জানুয়ারি ২১৩৫৯২.৬০৪৬.৫০(৪৯.৭৮%)
ডমিনেজ স্টিল২ ডিসেম্বর১০৪৩.৩০২২.৬০(৪৭.৮১%)
এসোসিয়েটেড অক্সিজেন২৫ অক্টোবর১০৬৫.৬০৩৭.৬০(৪২.৬৮%)
ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স২১ ডিসেম্বর১০৫৩.৮০৩৪.১০(৩৬.৬২%)
রবি আজিয়াটা২৪ ডিসেম্বর১০৭০.১০৪৬.৬০(৩৩.৫২%)
লুব-রেফ৯ মার্চ ২১৩০৬০.৭০৪৩.১০(২৯%)
এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স২৪ আগস্ট১০৩২২৪.৩০(২৪.০৬%)
মীর আখতার২ ফেব্রুয়ারি ২১৬০১০০.২০৭৬.৮০(২৩.৩৫%)
ইজেনারেশন২৩ ফেব্রুয়ারি১০৩৯.৪০৩২.৫০(১৭.৫১%)
লাভেলো১০ ফেব্রুয়ারি১০২৫২১.৮০(১২.৮০%)

­­­

তবে দেশের জায়ান্ট ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি ওয়ালটন হাইটেক একমাত্র ব্যতিক্রম কোম্পানি। এই কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনের প্রথম মাসে যে পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছিল, এখন তারচেয়ে অনেক বেশিতে অবস্থান করছে। শুধুমাত্র এই শেয়ারটির ধস নামেনি। অথচ এই শেয়ারটি নিয়ে কমিশনের এক কমিশনারও বিরোধীতা করেছিলেন। যিনি কোম্পানিটির আইপিওতে আপত্তি জানিয়ে নোট দেন।

৩১৫ টাকা ইস্যু মূল্যের ওয়ালটনের শেয়ারটি লেনদেনের প্রথম মাসে সর্বোচ্চ ১০০২.৭০ টাকায় উঠে। যে শেয়ারটি ২০ মার্চ আরও বেড়ে দাড়িঁয়েছে ১২৬৫.৩০ টাকায়।    

বিজনেস আওয়ার/২৪ মার্চ, ২০২১/পিএস

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: