ঢাকা , শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিউনিশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত

  • পোস্ট হয়েছে : ১১:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ জুলাই ২০২১
  • 1

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : মহামারি করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুর অবস্থার কারণে তিউনিশিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইয়েদ রোববার (২৫ জুলাই) দেশটির সংসদ ভেঙে দিয়েছেন এবং প্রধানমন্ত্রী হিচেম মিচিচিকে বরখাস্ত করেছেন।

করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুর অবস্থার কারণে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে বিক্ষোভ করছিল তিউনিশিয়ার সাধারণ মানুষ। তারা বিভিন্ন বড় বড় শহরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চালিয়ে আসছিল। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় তাদের সংঘর্ষও চলছিল। তাদের চলমান বিক্ষোভের মুখে প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করতে বাধ্য হয়েছেন।

তবে গেল এক বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব চলছে প্রধানমন্ত্রীর। মিচিচি সেটারই শিকার হয়েছেন বলে দাবি করছে কেউ কেউ।

শিগগিরই প্রেসিডেন্ট তার নির্বাহী ক্ষমতা ব্যবহার করে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করবেন এবং সংসদ চালু করবেন।

এদিকে তিউনিশিয়ার সংসদের স্পিকার রাচেদ ঘানৌচি এই ঘটনাকে দেশটির বিপ্লব ও সংবিধানের পরিপন্থী বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বিপ্লব ও সংবিধান বিরোধী অভ্যুত্থানেরও অভিযোগ এনেছেন। প্রেসিডেন্টের এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছে দেশটির ক্ষমতাসীন দল এন্নাদাহও।

এক ফেসবুক বার্তায় ক্ষমতাসীন দল এন্নাদাহ পার্টি লিখেছে, ‘কাইস সাইয়েদ যা করছে তা রাষ্ট্রীয় অভ্যুত্থান। যেটা দেশের বিপ্লব ও সংবিধান পরিপন্থী। তিউনিশিয়ার জনগন ও এন্নাদাহ’র সমর্থকরা এটা রুখে দিবে।’

বিজনেস আওয়ার/২৬ জুলাই, ২০২১/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

তিউনিশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত

পোস্ট হয়েছে : ১১:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ জুলাই ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : মহামারি করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুর অবস্থার কারণে তিউনিশিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইয়েদ রোববার (২৫ জুলাই) দেশটির সংসদ ভেঙে দিয়েছেন এবং প্রধানমন্ত্রী হিচেম মিচিচিকে বরখাস্ত করেছেন।

করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুর অবস্থার কারণে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে বিক্ষোভ করছিল তিউনিশিয়ার সাধারণ মানুষ। তারা বিভিন্ন বড় বড় শহরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চালিয়ে আসছিল। পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় তাদের সংঘর্ষও চলছিল। তাদের চলমান বিক্ষোভের মুখে প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করতে বাধ্য হয়েছেন।

তবে গেল এক বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব চলছে প্রধানমন্ত্রীর। মিচিচি সেটারই শিকার হয়েছেন বলে দাবি করছে কেউ কেউ।

শিগগিরই প্রেসিডেন্ট তার নির্বাহী ক্ষমতা ব্যবহার করে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করবেন এবং সংসদ চালু করবেন।

এদিকে তিউনিশিয়ার সংসদের স্পিকার রাচেদ ঘানৌচি এই ঘটনাকে দেশটির বিপ্লব ও সংবিধানের পরিপন্থী বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বিপ্লব ও সংবিধান বিরোধী অভ্যুত্থানেরও অভিযোগ এনেছেন। প্রেসিডেন্টের এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছে দেশটির ক্ষমতাসীন দল এন্নাদাহও।

এক ফেসবুক বার্তায় ক্ষমতাসীন দল এন্নাদাহ পার্টি লিখেছে, ‘কাইস সাইয়েদ যা করছে তা রাষ্ট্রীয় অভ্যুত্থান। যেটা দেশের বিপ্লব ও সংবিধান পরিপন্থী। তিউনিশিয়ার জনগন ও এন্নাদাহ’র সমর্থকরা এটা রুখে দিবে।’

বিজনেস আওয়ার/২৬ জুলাই, ২০২১/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: