ঢাকা , সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগস্ট এলেই বিএনপি অন্তরজ্বালা নিয়ে অস্থির হয়ে পড়ে

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অগাস্ট ২০২১
  • 13

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ জন্মলগ্ন থেকে জনমানুষের রাজনীতি করে। মানুষের ভাষা ও মনের ভাষা বুঝেই শেখ হাসিনা রাজনীতি এবং সরকার পরিচালনা করছেন। কিন্তু আগস্ট মাস এলেই বিএনপি রক্তাক্ত অতীতের অন্তরজ্বালা নিয়ে অস্থির হয়ে পড়ে। বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবার (০৩ আগস্ট) বাসভবন থেকে ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আজ আষাঢ়ে গল্প ফেঁদেছে। বঙ্গবন্ধু হত্যায় না-কি আওয়ামী লীগ জড়িত এবং সরকার না-কি জিয়াউর রহমানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে চাইছে-বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্য অনেকটা ‘ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাই না’র মতো। বিএনপিকে দুর্গন্ধময় ইতিহাস থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে প্রশ্ন রেখে সেতুমন্ত্রী বলেন, কারা হত্যাকাণ্ডের বেনিফিশিয়ারি, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর খুনি মোশতাক কাকে সেনাপ্রধান করেছিল, জিয়ার ভূমিকা কি ছিল, খুরিরা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে কার কাছে রিপোর্ট করেছিল, তখন জিয়ার মন্তব্য কি ছিল? এসব ঐতিহাসিক সত্য বিএনপি নেতারা নতুন করে বাকপটুতায় ধামাচাপা দেয়ার নির্লজ্জ ব্যর্থ চেষ্টা করছে, যা করে কোনো লাভ নেই।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের কারা নিরাপদে বিদেশে চলে যেতে সহযোগিতা করেছিল? কারা পুনর্বাসন ও পুরস্কৃত করেছিল, দূতাবাসকে চাকরি দিয়েছিল-এসব প্রশ্নের জবাব চেয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তা না হলে জিয়াউর রহমানকে ‘ধোয়া তুলসী পাতা’ বানানোর অপচেষ্টা জনগণ কখনো মেনে নেবে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি কথায় কথায় মানবাধিকারের কথা বলে। গণতন্ত্রের কথা বলে। অথচ সপরিবারে জাতির পিতাকে হত্যার ২১ বছর পর্যন্ত আমরা কোনো বিচারই চাইতে পারিনি। বিচার চাওয়ার অধিকার পর্যন্ত জিয়াউর রহমান কেড়ে নিয়েছিলেন। আর এখন মিষ্টি মিষ্টি কথায় নতুন ইতিহাসের প্রলাপ বকছেন।

বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে জিয়াউর রহমান কারফিউ গণতন্ত্র চালু করেছিলেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, হ্যাঁ-না ভোটের মাধ্যমে এদেশের নির্বাচনের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছে জিয়াউর রহমান। আমরা জিয়ার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে যাব কেন? ইতিহাসের ভিলেনকে জোর করে ইতিহাসের নায়ক বানানো যায় না।

বিএনপি রাষ্ট্র যন্ত্রকে ব্যবহার করে হাওয়া ভবন থেকে গ্রেনেড হামলার নির্দেশনা ও মনিটরিং করেছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বেগম জিয়া সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, শেখ হাসিনা না-কি ভেনেটি ব্যাগে করে বোমা নিয়ে গিয়েছিলেন! সেতুমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, তাহলে জজ মিয়া নাটক কেন সাজিয়েছিলেন? কেন হত্যাকাণ্ডের আলামত নষ্ট করেছিলেন?

বিজনেস আওয়ার/০৩ আগস্ট, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

আগস্ট এলেই বিএনপি অন্তরজ্বালা নিয়ে অস্থির হয়ে পড়ে

পোস্ট হয়েছে : ০৪:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অগাস্ট ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ জন্মলগ্ন থেকে জনমানুষের রাজনীতি করে। মানুষের ভাষা ও মনের ভাষা বুঝেই শেখ হাসিনা রাজনীতি এবং সরকার পরিচালনা করছেন। কিন্তু আগস্ট মাস এলেই বিএনপি রক্তাক্ত অতীতের অন্তরজ্বালা নিয়ে অস্থির হয়ে পড়ে। বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবার (০৩ আগস্ট) বাসভবন থেকে ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আজ আষাঢ়ে গল্প ফেঁদেছে। বঙ্গবন্ধু হত্যায় না-কি আওয়ামী লীগ জড়িত এবং সরকার না-কি জিয়াউর রহমানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে চাইছে-বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্য অনেকটা ‘ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাই না’র মতো। বিএনপিকে দুর্গন্ধময় ইতিহাস থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে প্রশ্ন রেখে সেতুমন্ত্রী বলেন, কারা হত্যাকাণ্ডের বেনিফিশিয়ারি, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর খুনি মোশতাক কাকে সেনাপ্রধান করেছিল, জিয়ার ভূমিকা কি ছিল, খুরিরা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে কার কাছে রিপোর্ট করেছিল, তখন জিয়ার মন্তব্য কি ছিল? এসব ঐতিহাসিক সত্য বিএনপি নেতারা নতুন করে বাকপটুতায় ধামাচাপা দেয়ার নির্লজ্জ ব্যর্থ চেষ্টা করছে, যা করে কোনো লাভ নেই।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের কারা নিরাপদে বিদেশে চলে যেতে সহযোগিতা করেছিল? কারা পুনর্বাসন ও পুরস্কৃত করেছিল, দূতাবাসকে চাকরি দিয়েছিল-এসব প্রশ্নের জবাব চেয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তা না হলে জিয়াউর রহমানকে ‘ধোয়া তুলসী পাতা’ বানানোর অপচেষ্টা জনগণ কখনো মেনে নেবে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি কথায় কথায় মানবাধিকারের কথা বলে। গণতন্ত্রের কথা বলে। অথচ সপরিবারে জাতির পিতাকে হত্যার ২১ বছর পর্যন্ত আমরা কোনো বিচারই চাইতে পারিনি। বিচার চাওয়ার অধিকার পর্যন্ত জিয়াউর রহমান কেড়ে নিয়েছিলেন। আর এখন মিষ্টি মিষ্টি কথায় নতুন ইতিহাসের প্রলাপ বকছেন।

বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে জিয়াউর রহমান কারফিউ গণতন্ত্র চালু করেছিলেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, হ্যাঁ-না ভোটের মাধ্যমে এদেশের নির্বাচনের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছে জিয়াউর রহমান। আমরা জিয়ার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে যাব কেন? ইতিহাসের ভিলেনকে জোর করে ইতিহাসের নায়ক বানানো যায় না।

বিএনপি রাষ্ট্র যন্ত্রকে ব্যবহার করে হাওয়া ভবন থেকে গ্রেনেড হামলার নির্দেশনা ও মনিটরিং করেছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বেগম জিয়া সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, শেখ হাসিনা না-কি ভেনেটি ব্যাগে করে বোমা নিয়ে গিয়েছিলেন! সেতুমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, তাহলে জজ মিয়া নাটক কেন সাজিয়েছিলেন? কেন হত্যাকাণ্ডের আলামত নষ্ট করেছিলেন?

বিজনেস আওয়ার/০৩ আগস্ট, ২০২১/এ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: