ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লভ্যাংশ নিশ্চিতে কমিশন কঠোর

  • পোস্ট হয়েছে : ০৪:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • 1

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, মানুষ কষ্টের যে টাকা আপনাদের (কোম্পানির) কাছে দিয়ে যায়, তা রক্ষা করতে হবে। তবে এই বিনিয়োগের বিপরীতে তাদের যে রিটার্ন বা লভ্যাংশ পাওয়ার অধিকার আছে, তা অনেকে বিশ্বাস করে না। তবে কমিশন এ বিষয়ে কঠোর।

শনিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) ডিএসইর নতুন ট্রেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএসইর চেয়ারম্যান মো: ইউনুসুর রহমান। এতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক রকিবুর রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান, সালমা নাসরীন, ডিবিএ সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসেন ও ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূইয়া বক্তব্য রাখেন।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা ব্যবসাবান্ধব হয়ে কাজ করার চেষ্টা করছি। তবে অল্প কিছু প্রতিষ্ঠান আছে, যারা নিয়ম-কানুন মানতে চায় না। সুশাসনের বাহিরে চলে যায় এবং নিজের মতো চলার চেষ্টা করে।

তিনি বলেন, একটি কোম্পানির কাছে একজন মানুষ যদি কষ্টের টাকা দেওয়ার পরে কোন রিটার্ন না পায়, তাহলে কেনো তাদের সঞ্চয় ওই কোম্পানিতে দেবে। এটা কিন্তু একটা বেসিক জিনিস। এটা সব কোম্পানি কর্তৃপক্ষকেই বুঝতে হবে। আমরা এখন সব কোম্পানিকে এটা বোঝানোর চেষ্টা করছি।

এই রিটার্ন পাওয়ার অনিশ্চয়তা থেকেই আগে কেউ শেয়ারবাজারে আসত না বলে জানান শিবলী রুবাইয়াত। কারন এখানে টাকা দিয়ে কিছুই পাওয়া যায় না। রিটার্নতো পায় না, আসলও পায় না। যাতে করে সেই মার্কেট ছোট হয়ে যায় এবং মরে যায়।

তাই এ বিষয়ে কমিশনকে কঠোর থাকতে হচ্ছে বলে জানান তিনি। যাতে করে বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা দিতে পারি। তাদের সুরক্ষা ছাড়া কেউ কোনদিন এখানে আসবে না। তাই সবার কাছে অনুরোধ, আপনাদের উপর বিশ্বাস করে যারা তাদের কষ্টের সঞ্চয় দিয়ে যাচ্ছে, তাদেরকে সম্মান করবেন এবং তাদের সম্পদ সুরক্ষা ও রিটার্ন দেবেন। কারন এটি একটি পরিবারের জন্য খুবই দরকারি।

আরও পড়ুন……
সূচক ২০ হাজারও কোন ব্যাপার না- রকিবুর রহমান

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, অনেকে ভুল বুঝে শেয়ারবাজারকে অনুৎপাদনশীল খাত বলে মন্তব্য করে থাকেন। তবে আমি অনেক জায়গায় বলেছি, আপনারা হয়তো সেকেন্ডারি মার্কেটকেই ক্যাপিটাল মার্কেট মনে করেন। কিন্তু সেটাইতো শুধু ক্যাপিটাল মার্কেট না। আমাদের প্রাইমারি মার্কেট আছে, বন্ড মার্কেট আছে, ডেরিভেটিবস মার্কেট আছে। এরমধ্যে প্রাইমারী ও বন্ড মার্কেটের মাধ্যমে অর্থায়নের সুযোগ করে দিয়ে ব্যবসা সম্প্রসারনে এগিয়ে দিচ্ছি। যা সরাসির উৎপাদশীল খাতে ব্যবহার হয়।

তিনি বলেন, আজকে সনদ প্রদানের মাধ্যমে ৫২টি নতুন সদস্য অন্তর্ভূক্ত হচ্ছে। যা শেয়ারবাজারকে আরও শক্তিশালী করবে। এই নতুন সদস্যাদের অন্তর্ভূক্তি অনেকটা একটি পরিবারে নতুন সদস্যের আগমনের মতো খুশির খবর।

শিবলী রুবাইয়াত বলেন, শুরুর দিকে অনেক প্রতিষ্ঠান ছোট ও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বলে খবর পেতাম। তবে এখন অনেক প্রতিষ্ঠান নিয়মিত দেশের বিভিন্ন জায়গায় ডিজিটাল বুথ খোলার জন্য আবেদন করছে। নিশ্চয় তারা জেনেবুঝে আসছে। মাঝেমধ্যে পার্বত্য অঞ্চল থেকেও আবেদন আসে।

তিনি বলেন, রেমিটেন্সের টাকা দেশের কোণায় কোণায় পড়ে আছে। যা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে চায়। তবে আমরা যদি সুশাসনের মাধ্যমে রিটার্ন নিশ্চিত করতে পারি। তখন সমস্ত টাকা শেয়ারবাজারে চলে আসবে। মানুষ যদি কোম্পানির প্রতি আস্থা, বিশ্বাস পায়, তাহলে কেনো আসবে না। অবশ্যই আসবে। এতে করে শেয়ারবাজার হবে অনেক বড় এবং অর্থনীতির মূল চালিকা শুক্তি।

বিজনেস আওয়ার/০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

লভ্যাংশ নিশ্চিতে কমিশন কঠোর

পোস্ট হয়েছে : ০৪:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, মানুষ কষ্টের যে টাকা আপনাদের (কোম্পানির) কাছে দিয়ে যায়, তা রক্ষা করতে হবে। তবে এই বিনিয়োগের বিপরীতে তাদের যে রিটার্ন বা লভ্যাংশ পাওয়ার অধিকার আছে, তা অনেকে বিশ্বাস করে না। তবে কমিশন এ বিষয়ে কঠোর।

শনিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) ডিএসইর নতুন ট্রেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএসইর চেয়ারম্যান মো: ইউনুসুর রহমান। এতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক রকিবুর রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান, সালমা নাসরীন, ডিবিএ সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসেন ও ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূইয়া বক্তব্য রাখেন।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা ব্যবসাবান্ধব হয়ে কাজ করার চেষ্টা করছি। তবে অল্প কিছু প্রতিষ্ঠান আছে, যারা নিয়ম-কানুন মানতে চায় না। সুশাসনের বাহিরে চলে যায় এবং নিজের মতো চলার চেষ্টা করে।

তিনি বলেন, একটি কোম্পানির কাছে একজন মানুষ যদি কষ্টের টাকা দেওয়ার পরে কোন রিটার্ন না পায়, তাহলে কেনো তাদের সঞ্চয় ওই কোম্পানিতে দেবে। এটা কিন্তু একটা বেসিক জিনিস। এটা সব কোম্পানি কর্তৃপক্ষকেই বুঝতে হবে। আমরা এখন সব কোম্পানিকে এটা বোঝানোর চেষ্টা করছি।

এই রিটার্ন পাওয়ার অনিশ্চয়তা থেকেই আগে কেউ শেয়ারবাজারে আসত না বলে জানান শিবলী রুবাইয়াত। কারন এখানে টাকা দিয়ে কিছুই পাওয়া যায় না। রিটার্নতো পায় না, আসলও পায় না। যাতে করে সেই মার্কেট ছোট হয়ে যায় এবং মরে যায়।

তাই এ বিষয়ে কমিশনকে কঠোর থাকতে হচ্ছে বলে জানান তিনি। যাতে করে বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা দিতে পারি। তাদের সুরক্ষা ছাড়া কেউ কোনদিন এখানে আসবে না। তাই সবার কাছে অনুরোধ, আপনাদের উপর বিশ্বাস করে যারা তাদের কষ্টের সঞ্চয় দিয়ে যাচ্ছে, তাদেরকে সম্মান করবেন এবং তাদের সম্পদ সুরক্ষা ও রিটার্ন দেবেন। কারন এটি একটি পরিবারের জন্য খুবই দরকারি।

আরও পড়ুন……
সূচক ২০ হাজারও কোন ব্যাপার না- রকিবুর রহমান

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, অনেকে ভুল বুঝে শেয়ারবাজারকে অনুৎপাদনশীল খাত বলে মন্তব্য করে থাকেন। তবে আমি অনেক জায়গায় বলেছি, আপনারা হয়তো সেকেন্ডারি মার্কেটকেই ক্যাপিটাল মার্কেট মনে করেন। কিন্তু সেটাইতো শুধু ক্যাপিটাল মার্কেট না। আমাদের প্রাইমারি মার্কেট আছে, বন্ড মার্কেট আছে, ডেরিভেটিবস মার্কেট আছে। এরমধ্যে প্রাইমারী ও বন্ড মার্কেটের মাধ্যমে অর্থায়নের সুযোগ করে দিয়ে ব্যবসা সম্প্রসারনে এগিয়ে দিচ্ছি। যা সরাসির উৎপাদশীল খাতে ব্যবহার হয়।

তিনি বলেন, আজকে সনদ প্রদানের মাধ্যমে ৫২টি নতুন সদস্য অন্তর্ভূক্ত হচ্ছে। যা শেয়ারবাজারকে আরও শক্তিশালী করবে। এই নতুন সদস্যাদের অন্তর্ভূক্তি অনেকটা একটি পরিবারে নতুন সদস্যের আগমনের মতো খুশির খবর।

শিবলী রুবাইয়াত বলেন, শুরুর দিকে অনেক প্রতিষ্ঠান ছোট ও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বলে খবর পেতাম। তবে এখন অনেক প্রতিষ্ঠান নিয়মিত দেশের বিভিন্ন জায়গায় ডিজিটাল বুথ খোলার জন্য আবেদন করছে। নিশ্চয় তারা জেনেবুঝে আসছে। মাঝেমধ্যে পার্বত্য অঞ্চল থেকেও আবেদন আসে।

তিনি বলেন, রেমিটেন্সের টাকা দেশের কোণায় কোণায় পড়ে আছে। যা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে চায়। তবে আমরা যদি সুশাসনের মাধ্যমে রিটার্ন নিশ্চিত করতে পারি। তখন সমস্ত টাকা শেয়ারবাজারে চলে আসবে। মানুষ যদি কোম্পানির প্রতি আস্থা, বিশ্বাস পায়, তাহলে কেনো আসবে না। অবশ্যই আসবে। এতে করে শেয়ারবাজার হবে অনেক বড় এবং অর্থনীতির মূল চালিকা শুক্তি।

বিজনেস আওয়ার/০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: