ঢাকা , রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইংলিশদের নিজেদের মাঠে আরেকবার পরাস্ত ভারতের

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • 4

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ভারত দ্বিতীয় টেস্টের পর ইংল্যান্ডকে তাদের মাটিতে আরেকবার হারাল। পাঁচ টেস্টের সিরিজে ২-১ এ এগিয়ে গেল বিরাট কোহলির দল। চতুর্থ টেস্টে তারা জিতেছে ১৫৭ রানে।

আরেকবার লোয়ার অর্ডারের শক্তি দেখিয়েছে ভারত। চতুর্থ দিন হঠাৎ ছন্দপতন হওয়া দলকে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৬৬ রানের শক্তিশালী সংগ্রহ এনে দিতে ঋষভ পান্তের সঙ্গে শার্দুল ঠাকুর শতরানের অসাধারণ জুটি গড়েন। তারপর উমেশ যাদব ও যশপ্রীত বুমরার ছোট্ট কিন্তু কার্যকরী ইনিংসে ইংল্যান্ডকে ৩৬৮ রানের কঠিন লক্ষ্য দেয় সফরকারীরা। অবশ্য ভিতটা গড়েছিলেন রোহিত শর্মা। প্রথমবার দেশের বাইরে সেঞ্চুরি করেন। প্রথম ইনিংসে ১৯১ রানে গুটিয়ে যাওয়া ভারত তাতে ঘুরে দাঁড়ায়। ম্যাচসেরার পুরস্কারও উঠেছে রোহিতের হাতে।

প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড ২৯০ রান করলে ৯৯ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছিল সফরকারীরা। দলগত পারফরম্যান্সে শেষ পর্যন্ত যে লক্ষ্য তারা দেয়, তা অতিক্রম করতে ইতিহাস গড়তে হতো ইংল্যান্ডের। এই কেনিংটন ওভালে রান তাড়ায় সর্বোচ্চ ২৬৩ রান করে জিতেছিল ইংলিশরা, সেটাও ১৯০২ সালের কথা।

চতুর্থ দিন চা বিরতির পর লক্ষ্যে নেমে ইংল্যান্ড কোনো উইকেট না হারিয়ে ৭৭ রান সংগ্রহ করেছিল। অথচ শেষ দিন খেলতে নেমে তারা ২১০ রানেই অলআউট।

শেষ দিন মাঠে নেমে ররি বার্নস ও হাসিব হামিদের শতরানের জুটিতে পথেই ছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু ১২৪ বলে ফিফটি উদযাপনের পরের বলেই বার্নস আউট হলে লাইনচ্যুত হয় তারা। শার্দুলের বলে ঋষভের ক্যাচ হয়ে মাঠ ছাড়েন ইংলিশ ওপেনার, ভাঙে ১০০ রানের উদ্বোধনী জুটি।

তারপর তাসের ঘরের মতো ভাঙতে থাকে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন। আগস্টে প্রথম তিন টেস্টেই সেঞ্চুরি করা জো রুটও হাল ধরতে পারেননি। ডেভিড মালান ৫ রান করে রানআউট হলে মাঠে নামেন অধিনায়ক। একপ্রান্ত তিনি আগলে রাখলেও ব্যর্থ ছিলেন অন্যরা। হামিদ (৬৩) ইনিংস সেরা পারফর্ম করে রবীন্দ্র জাদেজার শিকার হন। শুরু হয় বিপর্যয়। ১৪১ রানে তৃতীয় উইকেট হারানো ইংল্যান্ডের স্কোরবোর্ড একসময় দাঁড়ায় ১৪৭/৬।

পরের উইকেট রুটের। দলীয় ১৮২ রানে তাকে ৩৬ রানে বোল্ড করে ভারতের জয়ের স্বপ্ন আরও গাঢ় করেন শার্দুল। ক্রিস ওকসকে (১৮) উমেশ যাদব মাঠছাড়া করলে স্বাগতিকদের হার হয়ে দাঁড়ায় সময়ের ব্যাপার মাত্র। ১৯৩ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে চা বিরতিতে যায় ইংল্যান্ড।

ফিরে এসে ক্রেইগ ওভারটনকে (১০) বোল্ড করেন উমেশ। অ্যান্ডারসনকেও তিনি আউট করেন। তার ব্যাট ছুঁয়ে পান্তের হাতে বল গ্লাভসবন্দি হলে কট বিহাইন্ডের আবেদন করে ইতিবাচক সাড়া পায় ভারত। কিন্তু রিভিউ নেন অ্যান্ডারসন, সিদ্ধান্ত পাল্টায়নি। তাতে দেড়শরও বেশি রানে জয়ের উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে সফরকারীরা। লন্ডনে নদীর উত্তর পাড়ে (লর্ডস) জয়ের পর এবার দক্ষিণেও উড়ল ভারতের বিজয় নিশান।

শেষ তিন ব্যাটসম্যানের প্রত্যেকে উমেশের শিকার। এই ৩ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের সেরা বোলারও তিনি। দুটি করে উইকেট পান বুমরা, শার্দুল ও জাদেজা।

বিজনেস আওয়ার/০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

ইংলিশদের নিজেদের মাঠে আরেকবার পরাস্ত ভারতের

পোস্ট হয়েছে : ১০:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ভারত দ্বিতীয় টেস্টের পর ইংল্যান্ডকে তাদের মাটিতে আরেকবার হারাল। পাঁচ টেস্টের সিরিজে ২-১ এ এগিয়ে গেল বিরাট কোহলির দল। চতুর্থ টেস্টে তারা জিতেছে ১৫৭ রানে।

আরেকবার লোয়ার অর্ডারের শক্তি দেখিয়েছে ভারত। চতুর্থ দিন হঠাৎ ছন্দপতন হওয়া দলকে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৬৬ রানের শক্তিশালী সংগ্রহ এনে দিতে ঋষভ পান্তের সঙ্গে শার্দুল ঠাকুর শতরানের অসাধারণ জুটি গড়েন। তারপর উমেশ যাদব ও যশপ্রীত বুমরার ছোট্ট কিন্তু কার্যকরী ইনিংসে ইংল্যান্ডকে ৩৬৮ রানের কঠিন লক্ষ্য দেয় সফরকারীরা। অবশ্য ভিতটা গড়েছিলেন রোহিত শর্মা। প্রথমবার দেশের বাইরে সেঞ্চুরি করেন। প্রথম ইনিংসে ১৯১ রানে গুটিয়ে যাওয়া ভারত তাতে ঘুরে দাঁড়ায়। ম্যাচসেরার পুরস্কারও উঠেছে রোহিতের হাতে।

প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড ২৯০ রান করলে ৯৯ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছিল সফরকারীরা। দলগত পারফরম্যান্সে শেষ পর্যন্ত যে লক্ষ্য তারা দেয়, তা অতিক্রম করতে ইতিহাস গড়তে হতো ইংল্যান্ডের। এই কেনিংটন ওভালে রান তাড়ায় সর্বোচ্চ ২৬৩ রান করে জিতেছিল ইংলিশরা, সেটাও ১৯০২ সালের কথা।

চতুর্থ দিন চা বিরতির পর লক্ষ্যে নেমে ইংল্যান্ড কোনো উইকেট না হারিয়ে ৭৭ রান সংগ্রহ করেছিল। অথচ শেষ দিন খেলতে নেমে তারা ২১০ রানেই অলআউট।

শেষ দিন মাঠে নেমে ররি বার্নস ও হাসিব হামিদের শতরানের জুটিতে পথেই ছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু ১২৪ বলে ফিফটি উদযাপনের পরের বলেই বার্নস আউট হলে লাইনচ্যুত হয় তারা। শার্দুলের বলে ঋষভের ক্যাচ হয়ে মাঠ ছাড়েন ইংলিশ ওপেনার, ভাঙে ১০০ রানের উদ্বোধনী জুটি।

তারপর তাসের ঘরের মতো ভাঙতে থাকে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন। আগস্টে প্রথম তিন টেস্টেই সেঞ্চুরি করা জো রুটও হাল ধরতে পারেননি। ডেভিড মালান ৫ রান করে রানআউট হলে মাঠে নামেন অধিনায়ক। একপ্রান্ত তিনি আগলে রাখলেও ব্যর্থ ছিলেন অন্যরা। হামিদ (৬৩) ইনিংস সেরা পারফর্ম করে রবীন্দ্র জাদেজার শিকার হন। শুরু হয় বিপর্যয়। ১৪১ রানে তৃতীয় উইকেট হারানো ইংল্যান্ডের স্কোরবোর্ড একসময় দাঁড়ায় ১৪৭/৬।

পরের উইকেট রুটের। দলীয় ১৮২ রানে তাকে ৩৬ রানে বোল্ড করে ভারতের জয়ের স্বপ্ন আরও গাঢ় করেন শার্দুল। ক্রিস ওকসকে (১৮) উমেশ যাদব মাঠছাড়া করলে স্বাগতিকদের হার হয়ে দাঁড়ায় সময়ের ব্যাপার মাত্র। ১৯৩ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে চা বিরতিতে যায় ইংল্যান্ড।

ফিরে এসে ক্রেইগ ওভারটনকে (১০) বোল্ড করেন উমেশ। অ্যান্ডারসনকেও তিনি আউট করেন। তার ব্যাট ছুঁয়ে পান্তের হাতে বল গ্লাভসবন্দি হলে কট বিহাইন্ডের আবেদন করে ইতিবাচক সাড়া পায় ভারত। কিন্তু রিভিউ নেন অ্যান্ডারসন, সিদ্ধান্ত পাল্টায়নি। তাতে দেড়শরও বেশি রানে জয়ের উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে সফরকারীরা। লন্ডনে নদীর উত্তর পাড়ে (লর্ডস) জয়ের পর এবার দক্ষিণেও উড়ল ভারতের বিজয় নিশান।

শেষ তিন ব্যাটসম্যানের প্রত্যেকে উমেশের শিকার। এই ৩ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের সেরা বোলারও তিনি। দুটি করে উইকেট পান বুমরা, শার্দুল ও জাদেজা।

বিজনেস আওয়ার/০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: