ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পঁচা শেয়ারের ভাগাড় আইসিবি

  • পোস্ট হয়েছে : ১০:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২০
  • 0

রেজোয়ান আহমেদ : শেয়ারবাজারের দুঃসময়ে সহযোগিতা করা ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এর অন্যতম উদ্দেশ্য হলেও নিজস্ব পোর্টফোলিওকে পঁচা শেয়ারের ভাগাড়ে পরিণত করা প্রতিষ্ঠানটি নিজেই দূরবস্থায়। এই পরিস্থিতিতে শেয়ারবাজারে সাপোর্ট দেওয়াতো দূরের কথা, আইসিবির নিজস্ব দুরবস্থারোধে দরকার আরেকটি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান।

শেয়ারবাজারে বর্তমানে ৩৫৭টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে। যেখানে কোন ধরনের বিচার-বিশ্লেষন ছাড়াই প্রায় সব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে অর্থ সংকটে পড়েছে আইসিবি। এই তালিকায় ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেটের (ওটিসি) কোম্পানি, ‘জেড’ ক্যাটাগরি ও উৎপাদন বন্ধ থাকা এমন অসংখ্য কোম্পানি রয়েছে। এছাড়া এমন কোম্পানিতেও বিনিয়োগ রয়েছে, যার নাম অনেক আগেই হারিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিষ্টেম বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বিজনেস আওয়ারকে বলেন, আইসিবির বিনিয়োগ সিদ্ধান্তে কোন কার্যকরি নীতিমালা আছে বলে মনে হয় না। এরা অন্ধভাবে বিনিয়োগ করেছে। অথবা এরা কারসাজিমূলক বিনিয়োগ করেছে। এক্ষেত্রে হয়তো আইসিবির ম্যানেজম্যান্টের ব্যক্তিগত লাভজনক সর্ম্পক আছে। অন্যথায় এ ধরনের দুর্বল, সুশাসনবিহীন ও আর্থিকভাবে দুর্বল কোম্পানিতে বিনিয়োগ বোধগম্য নয়। এছাড়া তারা কেনো সব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে, এটাও আমার কাছে বোধগম্য নয়। বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আইসিবির বিশ্লেষণ থাকা উচিত ছিল।

তিনি বলেন, আইসিবি তৈরী করা হয়েছিল শেয়ারবাজার উন্নয়ন করার জন্য। কিন্তু ম্যানেজমেন্ট ও বোর্ডের ব্যর্থতায় তা সম্ভব হচ্ছে না। এক্ষেত্রে আইসিবিকে অকার্যকর বলব না, প্রতিষ্ঠানটিকে অকার্যকর করা হয়েছে। এ সমস্যা কাটিয়ে ‍তুলতে প্রতিষ্ঠানটিকে ঢেলে সাজাতে হবে।

শেয়াবাজারে আইসিবির ভূমিকা অনেক আগে থেকেই প্রশ্নবিদ্ধ। শেয়ারবাজারে দুঃসময়ে ক্রয় বাড়ানো দরকার হলেও আইসিবির পক্ষে তা সম্ভব হয় না। যতবারই প্রতিষ্ঠানটিকে বিভিন্নভাবে অর্থ সহযোগিতা দেওয়া হোক না কেনো, কোনবারই তার প্রতিফলন শেয়ারবাজারে দেখা যায় না। যে প্রতিষ্ঠানটি অন্যদের স্বার্থ উদ্ধারে পঁচা শেয়ারের পার্কিংয়ের দায়িত্ব পালন করে বলে অভিযোগ আছে। তাইতো এখন আইসিবিকে অর্থ দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকেই দ্বিমত প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে শেয়ারবাজারের স্বার্থে বর্তমান ভঙ্গুর আইসিবিকে শক্তিশালী করা অথবা বিকল্প বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান গড়ার দাবি সব মহলের।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক শাকিল রিজভী বিজনেস আওয়ারকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আইসিবির বিরুদ্ধে দুর্বল ও বন্ধ কোম্পানির শেয়ার কেনার অভিযোগ শুনে আসছি। এছাড়া গেম্বলারদের স্বার্থে উচ্চ দরে নতুন শেয়ার কিনে পার্কিং করার অভিযোগও আছে। এ অভিযোগ থেকে বিগত কয়েক বছর দায়িত্ব পালন করা আইসিবির কোন ব্যবস্থাপনা পরিচালকই (এমডি) বের হতে পারেননি। এই বিষয়টি স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে পরিস্কার করার জন্য তদন্ত করা উচিত।

ডিএসইর আরেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বিজনেস আওয়ারকে বলেন, দুর্বল কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা নিয়ে আইসিবি অনেক আগে থেকেই প্রশ্নবিদ্ধ। ব্যক্তিগত স্বার্থে লাভের জন্য এমনটি করা হয় বলে অভিযোগ আছে। কোম্পানিটির ২০১৯ সালের ৩০ জুনের পোর্টফোলিও’র মাধ্যমে সেই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। এই প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা থেকে আইসিবির কোন এমডি বেরিয়ে আসতে পারেনি। জবাবদিহিতার অভাবে এমনটি হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ভবিষ্যতে জবাবদিহিতা ছাড়া আইসিবিকে কোন অর্থ দেওয়া যৌক্তিক হবে না। একইসঙ্গে আইসিবিকে বর্তমান দুরবস্থায় আনার পেছনে কাদের অবদান রয়েছে, তা খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত। এজন্য উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটির মাধ্যমে তদন্ত করা উচিত।

আইসিবির এককভাবে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৩৭৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা মুনাফা হলেও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে নেমে এসেছে ২৯ কোটি ২২ লাখ টাকায়। যে কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর ১৯) সাবসিডিয়ারিসহ লোকসান হয়েছে ১৩৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা। শেয়ারবাজারের মন্দায় যার পরিমাণ ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর ১৯) দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বর্তমানে আইসিবির শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য ৪টি পোর্টফোলিও রয়েছে। এরমধ্যে ১ নম্বর পোর্টফোলিও’র মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি ৭ হাজার ৭৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। এই পোর্টফোলিও থেকে তালিকাভুক্ত ২৮৫টি কোম্পানিতে এই বিনিয়োগ করা হয়েছে।

এক নম্বর পোর্টফোলিও থেকে তালিকাভুক্ত ৩০টি ব্যাংকের সবকটিতেই বিনিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া সিমেন্ট খাতের ৭টি, সিরামিক খাতের ৪টি, প্রকৌশল খাতের ২৮টি, খাদ্য ও বিবিধ খাতের ২০টি, বিদ্যুত ও জ্বালানি খাতের ১৬টি, বস্ত্র খাতের ৫০টি, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ৬টি, বীমা খাতের ৩০টি, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের ১৯টি, বিবিধ খাতের ১৪টি, লিজিং খাতের ১৭টি, পেপার অ্যান্ড প্রিন্টিং খাতের ২টি, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ৩০টি, সেবা ও আবাসন খাতের ৪টি, ট্যানারি খাতের ৪টি, টেলিকমিউনিকেশন খাতের ২টি এবং ভ্রমন ও অবকাশ খাতের ২টি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা হয়েছে।

২০১৮-১৯ অর্থবছরে শেষে আইসিবির তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৪৭২ কোটি ৭১ লাখ টাকা। যার বাজার দর আছে ৯ হাজার ৫৯৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানটি ৮৭৬ কোটি ৩ লাখ টাকা বা ৮ শতাংশ আনরিয়েলাইজড লোকসানে রয়েছে।

অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, তাদের ১ হাজার কোটি টাকার মতো লোকসানে রয়েছে। এখানে রিয়েলাইজড বা আনরিয়েলাইজড বলে কিছু নেই। বাজার দর কমে তারা এখন লোকসানে, এটাই সত্য। আর এই সত্যকে স্বীকার করলে আইসিবির ইক্যুইটি থাকবে না। আইএফআরএস অনুযায়ি প্রভিশনিং করলে ইক্যুইটি শূন্য এবং দেউলিয়া হয়ে যাবে। এটা খুবই দুঃখজনক যে, আইসিবির মতো একটি প্রতিষ্ঠান এমন পরিস্থিতিতে পড়েছে।

আইসিবির পোর্টফোলিও-১ এ তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে ৭ হাজার ৭৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা বিনিয়োগের পাশাপাশি ১ হাজার ১৭৯ কোটি ৪ লাখ টাকার ডিবেঞ্চার, অতালিকাভুক্ত কোম্পানি, তালিকাচ্যুত কোম্পানি ও প্রিফারেন্স শেয়ার কেনা হয়েছে। এছাড়া পোর্টফোলিও-২ এ ২ হাজার ৬৭৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা, পোর্টফোলিও-৩ এ ১ হাজার ১৮৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা ও পোর্টফোলিও-৪ এ ২৮৮ কোটি টাকা তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা হয়েছে। আর চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল ও বগুড়া শাখা, লোকাল অফিস ও উত্তরা শাখার মাধ্যমে ১৪৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে।

এসব বিষয়ে আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হোসেন বিজনেস আওয়ারকে বলেন, পচাঁ শেয়ারগুলো অনেক আগে থেকেই ছিল। যখন নেওয়া হয়েছিল ঠিক ছিল, এখন সব একাকার হয়ে গেছে। তবে এ বিষয়টি আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা লোকসানে শেয়ার বিক্রি করতে পারি না এবং সুযোগ হয় না। এ নিয়ে কিছু সমস্যাও আছে। ভবিষ্যতে এগুলো কিভাবে সমাধান করা যায়, সে চেষ্টা করব। মন্ত্রণালয় ও বিশ্লেষক দলের সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেব।

নিম্নে আইসিবির ১ নম্বর পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগকৃত পচাঁ কোম্পানির নাম, বিনিয়োগের পরিমাণ ও বাজার দর তুলে ধরা হল-

কোম্পানির নামক্রয় মূল্য (টাকা)বাজার দর (টাকা)
আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক৩.১০ কোটি টাকা১.৬৭ কোটি
যশোর সিমেন্ট১ হাজার টাকা৯ হাজার
বেঙ্গল ফাইন৯৩ লাখ টাকা৪২ লাখ
শাইনপুকুর সিরামিক৩১.৭২ কোটি টাকা১৪.১৭ কোটি
এ্যাপোলো ইস্পাত৩৬.৩৮ কোটি টাকা১৩.৯২ কোটি
বাংলাদেশ ইলেকট্রিক মিটার৪২ লাখ টাকা২৬ লাখ
জাগো করপোরেশন৪৯ লাখ টাকা৩৫ লাখ
ওয়ান্ডারফুল টয়েজ৩১ লাখ টাকা৯ লাখ
আলফা টোব্যাকো৭ লাখ টাকা৩ লাখ
আমাম সী ফুড৩৭ হাজার টাকা৩০ হাজার
বিএলটিসি১১ লাখ টাকা৩৭ হাজার
বায়োনিক সী ফুড৫ লাখ টাকা১ লাখ
ঢাকা ফিশারিজ৯ হাজার টাকা১৩ হাজার
জার্মান বাংলা জেভি ফুড১.১৫ লাখ৪১ হাজার
গাল্ফ ফুডস২২ হাজার২ হাজার
মেঘনা শার্ম্প২৭ লাখ৬ লাখ
আরামিট সিমেন্ট৬.২৬ কোটি৪.১১ কোটি
মডার্ন ইন্ডাস্ট্রিজ৫৮ হাজার১ হাজার
ইউসুফ ফ্লোয়ার মিলস৪ হাজার৯ হাজার
অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ২.৫৫ লাখ২.৯৩ লাখ
এপেক্স ওয়েভিং৩.১৩ কোটি২.৩১ কোটি
আশরাফ টেক্সটাইল মিলস৬২ লাখ৫১ লাখ
বাংলাদেশ জিপার ইন্ডাস্ট্রিজ৮৮ লাখ১১ লাখ
সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল১.৮০ কোটি৪৮ লাখ
চিক টেক্স১৫ লাখ৪ লাখ
ডেন্ডি ডাইং৯ লাখ৫০ হাজার
দুলামিয়া কটন৭ হাজার৩৬ হাজার
ডায়নামিক টেক্সটাইল২ লাখ২ লাখ
ফেমিলিটেক্স বিডি২১.৪১ কোটি৭.৩৪ কোটি
জেনারেশন নেক্সট৪৯.৮৩ কোটি২৮.৬১ কোটি
এম.এইচ গার্মেন্টস৪ লাখ১.৩৯ লাখ
মিতা টেক্সটাইল৪৬ লাখ৩৭ লাখ
মিথুন নিটিং১৫.১৫ কোটি৪.৫৮ কোটি
মুন্নু ফেব্রিক্স২.৬৫ কোটি১.৭২ কোটি
কাশেম টেক্সটাইল১৫ হাজার৮ হাজার
আরএন স্পিনিং৩৬.৭০ কোটি১১.৩৯ কোটি
শ্রীপুর টেক্সটাইল১৩.১৭ লাখ১.২১ লাখ
তাল্লু স্পিনিং১৫.৫৩ কোটি৩.১৫ কোটি
দ্য ঢাকা ডাইং৬৮.০৯ লাখ১৪.২২ লাখ
তুং হাই নিটিং৭৬.৩১ লাখ১৭.৩২ লাখ
জাহিনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ১১.৭৮ কোটি৬.৩২ কোটি
বিডি লাগেজ১.২৮ কোটি১৫ লাখ
খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ৩০.৩৪ কোটি১৫.৮১ কোটি
রোজ হেভেন বলপেন১৮ হাজার২২ হাজার
বিএফআইসি১.৩৩ কোটি১.০৬ কোটি
বিআইএফসি২৭.৯৭ লাখ১৩.১৪ লাখ
ফার্স্ট ফাইন্যান্স১৬.৮৭ কোটি৫.৬২ কোটি
প্রিমিয়ার লিজিং৬.১০ কোটি৩ কোটি
প্রাইম ফাইন্যান্স৪.১২ কোটি০.৩৯ কোটি
ম্যাক পেপার ইন্ডাস্ট্রিজ২৭.৯৩ লাখ৯.৬৫ লাখ
বিসিআইএল১.৫৬ কোটি০.১৭ কোটি
বাংলা প্রসেস২৯ হাজার৩১ হাজার
সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস৮.৬৪ কোটি৪.৭২ কোটি
কেয়া কসমেটিকস২৩.৩১ কোটি৮.৯১ কোটি
পারফিউম কেমিক্যাল২০.৭৬ লাখ১৭.৭৩ লাখ
ফার্মাকো ইন্টারন্যাশনাল৭.১৪ লাখ৭.৯৫ লাখ
দ্য রাপিউটিকস৩৮ হাজার১.৩৬ লাখ
এক্সেলিসর সুজ৫১.১১ লাখ৭.১২ লাখ
ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ২৯.৫৮ কোটি৫.১৮ কোটি

এখন লেনদেনে না থাকা এমন কোম্পানিতে আইসিবির ১ নম্বর পোর্টফোলিওর বিনিয়োগের তথ্য তুলে ধরা হল-

তালিকাচ্যুত বা লেনদেনে নেই
কোম্পানির নামক্রয় মূল্য (টাকা)
পিপলস লিজিং৯১.৩৮ লাখ
করিম পাইপ৩ হাজার
এবি বিস্কুট৭.৩৪ লাখ
এ্যারোমা টি১৭.০১ লাখ
ঢাকা ভেজিটেবল৫৯ হাজার
ফ্রগলেস এক্সপোর্ট১১ হাজার
মেঘনা ভেজিটেবল অয়েল৩.৭৮ লাখ
জেম নিটওয়্যার১৮ হাজার
ইসলাম জুট মিলস৪৮ হাজার
মার্ক বিডি শিল্প অ্যান্ড ইঞ্জি:৬.৬৯ লাখ
কাশেম টিম্বার১ লাখ
পেপার কনভার্টিং১৯.৭২ লাখ
প্রগ্রেসিভ প্লাস্টিক১.০২ লাখ
মিলন ট্যানারিজ২ লাখ
প্যারাগন লেদার৮৮.০১ লাখ

বিজনেস আওয়ার/২০ জানুয়ারি, ২০২০/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

One thought on “পঁচা শেয়ারের ভাগাড় আইসিবি

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

পঁচা শেয়ারের ভাগাড় আইসিবি

পোস্ট হয়েছে : ১০:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২০

রেজোয়ান আহমেদ : শেয়ারবাজারের দুঃসময়ে সহযোগিতা করা ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এর অন্যতম উদ্দেশ্য হলেও নিজস্ব পোর্টফোলিওকে পঁচা শেয়ারের ভাগাড়ে পরিণত করা প্রতিষ্ঠানটি নিজেই দূরবস্থায়। এই পরিস্থিতিতে শেয়ারবাজারে সাপোর্ট দেওয়াতো দূরের কথা, আইসিবির নিজস্ব দুরবস্থারোধে দরকার আরেকটি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান।

শেয়ারবাজারে বর্তমানে ৩৫৭টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে। যেখানে কোন ধরনের বিচার-বিশ্লেষন ছাড়াই প্রায় সব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে অর্থ সংকটে পড়েছে আইসিবি। এই তালিকায় ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেটের (ওটিসি) কোম্পানি, ‘জেড’ ক্যাটাগরি ও উৎপাদন বন্ধ থাকা এমন অসংখ্য কোম্পানি রয়েছে। এছাড়া এমন কোম্পানিতেও বিনিয়োগ রয়েছে, যার নাম অনেক আগেই হারিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিষ্টেম বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বিজনেস আওয়ারকে বলেন, আইসিবির বিনিয়োগ সিদ্ধান্তে কোন কার্যকরি নীতিমালা আছে বলে মনে হয় না। এরা অন্ধভাবে বিনিয়োগ করেছে। অথবা এরা কারসাজিমূলক বিনিয়োগ করেছে। এক্ষেত্রে হয়তো আইসিবির ম্যানেজম্যান্টের ব্যক্তিগত লাভজনক সর্ম্পক আছে। অন্যথায় এ ধরনের দুর্বল, সুশাসনবিহীন ও আর্থিকভাবে দুর্বল কোম্পানিতে বিনিয়োগ বোধগম্য নয়। এছাড়া তারা কেনো সব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে, এটাও আমার কাছে বোধগম্য নয়। বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আইসিবির বিশ্লেষণ থাকা উচিত ছিল।

তিনি বলেন, আইসিবি তৈরী করা হয়েছিল শেয়ারবাজার উন্নয়ন করার জন্য। কিন্তু ম্যানেজমেন্ট ও বোর্ডের ব্যর্থতায় তা সম্ভব হচ্ছে না। এক্ষেত্রে আইসিবিকে অকার্যকর বলব না, প্রতিষ্ঠানটিকে অকার্যকর করা হয়েছে। এ সমস্যা কাটিয়ে ‍তুলতে প্রতিষ্ঠানটিকে ঢেলে সাজাতে হবে।

শেয়াবাজারে আইসিবির ভূমিকা অনেক আগে থেকেই প্রশ্নবিদ্ধ। শেয়ারবাজারে দুঃসময়ে ক্রয় বাড়ানো দরকার হলেও আইসিবির পক্ষে তা সম্ভব হয় না। যতবারই প্রতিষ্ঠানটিকে বিভিন্নভাবে অর্থ সহযোগিতা দেওয়া হোক না কেনো, কোনবারই তার প্রতিফলন শেয়ারবাজারে দেখা যায় না। যে প্রতিষ্ঠানটি অন্যদের স্বার্থ উদ্ধারে পঁচা শেয়ারের পার্কিংয়ের দায়িত্ব পালন করে বলে অভিযোগ আছে। তাইতো এখন আইসিবিকে অর্থ দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকেই দ্বিমত প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে শেয়ারবাজারের স্বার্থে বর্তমান ভঙ্গুর আইসিবিকে শক্তিশালী করা অথবা বিকল্প বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান গড়ার দাবি সব মহলের।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক শাকিল রিজভী বিজনেস আওয়ারকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আইসিবির বিরুদ্ধে দুর্বল ও বন্ধ কোম্পানির শেয়ার কেনার অভিযোগ শুনে আসছি। এছাড়া গেম্বলারদের স্বার্থে উচ্চ দরে নতুন শেয়ার কিনে পার্কিং করার অভিযোগও আছে। এ অভিযোগ থেকে বিগত কয়েক বছর দায়িত্ব পালন করা আইসিবির কোন ব্যবস্থাপনা পরিচালকই (এমডি) বের হতে পারেননি। এই বিষয়টি স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে পরিস্কার করার জন্য তদন্ত করা উচিত।

ডিএসইর আরেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বিজনেস আওয়ারকে বলেন, দুর্বল কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা নিয়ে আইসিবি অনেক আগে থেকেই প্রশ্নবিদ্ধ। ব্যক্তিগত স্বার্থে লাভের জন্য এমনটি করা হয় বলে অভিযোগ আছে। কোম্পানিটির ২০১৯ সালের ৩০ জুনের পোর্টফোলিও’র মাধ্যমে সেই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। এই প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা থেকে আইসিবির কোন এমডি বেরিয়ে আসতে পারেনি। জবাবদিহিতার অভাবে এমনটি হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ভবিষ্যতে জবাবদিহিতা ছাড়া আইসিবিকে কোন অর্থ দেওয়া যৌক্তিক হবে না। একইসঙ্গে আইসিবিকে বর্তমান দুরবস্থায় আনার পেছনে কাদের অবদান রয়েছে, তা খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত। এজন্য উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটির মাধ্যমে তদন্ত করা উচিত।

আইসিবির এককভাবে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৩৭৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা মুনাফা হলেও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে নেমে এসেছে ২৯ কোটি ২২ লাখ টাকায়। যে কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর ১৯) সাবসিডিয়ারিসহ লোকসান হয়েছে ১৩৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা। শেয়ারবাজারের মন্দায় যার পরিমাণ ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর ১৯) দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বর্তমানে আইসিবির শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য ৪টি পোর্টফোলিও রয়েছে। এরমধ্যে ১ নম্বর পোর্টফোলিও’র মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি ৭ হাজার ৭৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। এই পোর্টফোলিও থেকে তালিকাভুক্ত ২৮৫টি কোম্পানিতে এই বিনিয়োগ করা হয়েছে।

এক নম্বর পোর্টফোলিও থেকে তালিকাভুক্ত ৩০টি ব্যাংকের সবকটিতেই বিনিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া সিমেন্ট খাতের ৭টি, সিরামিক খাতের ৪টি, প্রকৌশল খাতের ২৮টি, খাদ্য ও বিবিধ খাতের ২০টি, বিদ্যুত ও জ্বালানি খাতের ১৬টি, বস্ত্র খাতের ৫০টি, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ৬টি, বীমা খাতের ৩০টি, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের ১৯টি, বিবিধ খাতের ১৪টি, লিজিং খাতের ১৭টি, পেপার অ্যান্ড প্রিন্টিং খাতের ২টি, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ৩০টি, সেবা ও আবাসন খাতের ৪টি, ট্যানারি খাতের ৪টি, টেলিকমিউনিকেশন খাতের ২টি এবং ভ্রমন ও অবকাশ খাতের ২টি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা হয়েছে।

২০১৮-১৯ অর্থবছরে শেষে আইসিবির তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৪৭২ কোটি ৭১ লাখ টাকা। যার বাজার দর আছে ৯ হাজার ৫৯৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানটি ৮৭৬ কোটি ৩ লাখ টাকা বা ৮ শতাংশ আনরিয়েলাইজড লোকসানে রয়েছে।

অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, তাদের ১ হাজার কোটি টাকার মতো লোকসানে রয়েছে। এখানে রিয়েলাইজড বা আনরিয়েলাইজড বলে কিছু নেই। বাজার দর কমে তারা এখন লোকসানে, এটাই সত্য। আর এই সত্যকে স্বীকার করলে আইসিবির ইক্যুইটি থাকবে না। আইএফআরএস অনুযায়ি প্রভিশনিং করলে ইক্যুইটি শূন্য এবং দেউলিয়া হয়ে যাবে। এটা খুবই দুঃখজনক যে, আইসিবির মতো একটি প্রতিষ্ঠান এমন পরিস্থিতিতে পড়েছে।

আইসিবির পোর্টফোলিও-১ এ তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে ৭ হাজার ৭৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা বিনিয়োগের পাশাপাশি ১ হাজার ১৭৯ কোটি ৪ লাখ টাকার ডিবেঞ্চার, অতালিকাভুক্ত কোম্পানি, তালিকাচ্যুত কোম্পানি ও প্রিফারেন্স শেয়ার কেনা হয়েছে। এছাড়া পোর্টফোলিও-২ এ ২ হাজার ৬৭৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা, পোর্টফোলিও-৩ এ ১ হাজার ১৮৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা ও পোর্টফোলিও-৪ এ ২৮৮ কোটি টাকা তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা হয়েছে। আর চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল ও বগুড়া শাখা, লোকাল অফিস ও উত্তরা শাখার মাধ্যমে ১৪৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে।

এসব বিষয়ে আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হোসেন বিজনেস আওয়ারকে বলেন, পচাঁ শেয়ারগুলো অনেক আগে থেকেই ছিল। যখন নেওয়া হয়েছিল ঠিক ছিল, এখন সব একাকার হয়ে গেছে। তবে এ বিষয়টি আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা লোকসানে শেয়ার বিক্রি করতে পারি না এবং সুযোগ হয় না। এ নিয়ে কিছু সমস্যাও আছে। ভবিষ্যতে এগুলো কিভাবে সমাধান করা যায়, সে চেষ্টা করব। মন্ত্রণালয় ও বিশ্লেষক দলের সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেব।

নিম্নে আইসিবির ১ নম্বর পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগকৃত পচাঁ কোম্পানির নাম, বিনিয়োগের পরিমাণ ও বাজার দর তুলে ধরা হল-

কোম্পানির নামক্রয় মূল্য (টাকা)বাজার দর (টাকা)
আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক৩.১০ কোটি টাকা১.৬৭ কোটি
যশোর সিমেন্ট১ হাজার টাকা৯ হাজার
বেঙ্গল ফাইন৯৩ লাখ টাকা৪২ লাখ
শাইনপুকুর সিরামিক৩১.৭২ কোটি টাকা১৪.১৭ কোটি
এ্যাপোলো ইস্পাত৩৬.৩৮ কোটি টাকা১৩.৯২ কোটি
বাংলাদেশ ইলেকট্রিক মিটার৪২ লাখ টাকা২৬ লাখ
জাগো করপোরেশন৪৯ লাখ টাকা৩৫ লাখ
ওয়ান্ডারফুল টয়েজ৩১ লাখ টাকা৯ লাখ
আলফা টোব্যাকো৭ লাখ টাকা৩ লাখ
আমাম সী ফুড৩৭ হাজার টাকা৩০ হাজার
বিএলটিসি১১ লাখ টাকা৩৭ হাজার
বায়োনিক সী ফুড৫ লাখ টাকা১ লাখ
ঢাকা ফিশারিজ৯ হাজার টাকা১৩ হাজার
জার্মান বাংলা জেভি ফুড১.১৫ লাখ৪১ হাজার
গাল্ফ ফুডস২২ হাজার২ হাজার
মেঘনা শার্ম্প২৭ লাখ৬ লাখ
আরামিট সিমেন্ট৬.২৬ কোটি৪.১১ কোটি
মডার্ন ইন্ডাস্ট্রিজ৫৮ হাজার১ হাজার
ইউসুফ ফ্লোয়ার মিলস৪ হাজার৯ হাজার
অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ২.৫৫ লাখ২.৯৩ লাখ
এপেক্স ওয়েভিং৩.১৩ কোটি২.৩১ কোটি
আশরাফ টেক্সটাইল মিলস৬২ লাখ৫১ লাখ
বাংলাদেশ জিপার ইন্ডাস্ট্রিজ৮৮ লাখ১১ লাখ
সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল১.৮০ কোটি৪৮ লাখ
চিক টেক্স১৫ লাখ৪ লাখ
ডেন্ডি ডাইং৯ লাখ৫০ হাজার
দুলামিয়া কটন৭ হাজার৩৬ হাজার
ডায়নামিক টেক্সটাইল২ লাখ২ লাখ
ফেমিলিটেক্স বিডি২১.৪১ কোটি৭.৩৪ কোটি
জেনারেশন নেক্সট৪৯.৮৩ কোটি২৮.৬১ কোটি
এম.এইচ গার্মেন্টস৪ লাখ১.৩৯ লাখ
মিতা টেক্সটাইল৪৬ লাখ৩৭ লাখ
মিথুন নিটিং১৫.১৫ কোটি৪.৫৮ কোটি
মুন্নু ফেব্রিক্স২.৬৫ কোটি১.৭২ কোটি
কাশেম টেক্সটাইল১৫ হাজার৮ হাজার
আরএন স্পিনিং৩৬.৭০ কোটি১১.৩৯ কোটি
শ্রীপুর টেক্সটাইল১৩.১৭ লাখ১.২১ লাখ
তাল্লু স্পিনিং১৫.৫৩ কোটি৩.১৫ কোটি
দ্য ঢাকা ডাইং৬৮.০৯ লাখ১৪.২২ লাখ
তুং হাই নিটিং৭৬.৩১ লাখ১৭.৩২ লাখ
জাহিনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ১১.৭৮ কোটি৬.৩২ কোটি
বিডি লাগেজ১.২৮ কোটি১৫ লাখ
খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ৩০.৩৪ কোটি১৫.৮১ কোটি
রোজ হেভেন বলপেন১৮ হাজার২২ হাজার
বিএফআইসি১.৩৩ কোটি১.০৬ কোটি
বিআইএফসি২৭.৯৭ লাখ১৩.১৪ লাখ
ফার্স্ট ফাইন্যান্স১৬.৮৭ কোটি৫.৬২ কোটি
প্রিমিয়ার লিজিং৬.১০ কোটি৩ কোটি
প্রাইম ফাইন্যান্স৪.১২ কোটি০.৩৯ কোটি
ম্যাক পেপার ইন্ডাস্ট্রিজ২৭.৯৩ লাখ৯.৬৫ লাখ
বিসিআইএল১.৫৬ কোটি০.১৭ কোটি
বাংলা প্রসেস২৯ হাজার৩১ হাজার
সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস৮.৬৪ কোটি৪.৭২ কোটি
কেয়া কসমেটিকস২৩.৩১ কোটি৮.৯১ কোটি
পারফিউম কেমিক্যাল২০.৭৬ লাখ১৭.৭৩ লাখ
ফার্মাকো ইন্টারন্যাশনাল৭.১৪ লাখ৭.৯৫ লাখ
দ্য রাপিউটিকস৩৮ হাজার১.৩৬ লাখ
এক্সেলিসর সুজ৫১.১১ লাখ৭.১২ লাখ
ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ২৯.৫৮ কোটি৫.১৮ কোটি

এখন লেনদেনে না থাকা এমন কোম্পানিতে আইসিবির ১ নম্বর পোর্টফোলিওর বিনিয়োগের তথ্য তুলে ধরা হল-

তালিকাচ্যুত বা লেনদেনে নেই
কোম্পানির নামক্রয় মূল্য (টাকা)
পিপলস লিজিং৯১.৩৮ লাখ
করিম পাইপ৩ হাজার
এবি বিস্কুট৭.৩৪ লাখ
এ্যারোমা টি১৭.০১ লাখ
ঢাকা ভেজিটেবল৫৯ হাজার
ফ্রগলেস এক্সপোর্ট১১ হাজার
মেঘনা ভেজিটেবল অয়েল৩.৭৮ লাখ
জেম নিটওয়্যার১৮ হাজার
ইসলাম জুট মিলস৪৮ হাজার
মার্ক বিডি শিল্প অ্যান্ড ইঞ্জি:৬.৬৯ লাখ
কাশেম টিম্বার১ লাখ
পেপার কনভার্টিং১৯.৭২ লাখ
প্রগ্রেসিভ প্লাস্টিক১.০২ লাখ
মিলন ট্যানারিজ২ লাখ
প্যারাগন লেদার৮৮.০১ লাখ

বিজনেস আওয়ার/২০ জানুয়ারি, ২০২০/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: