ঢাকা , রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গত ৭ মাসে গড়ে প্রতিটি শেয়ারের দর কমেছে ৩.৬২ টাকা

  • পোস্ট হয়েছে : ০৩:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • 6

রেজোয়ান আহমেদ : শেয়ারবাজারের মন্দাবস্থায় চলতি বছরের ৭ মাসে (জানুয়ারি-আগস্ট) তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর গড়ে প্রতিটির শেয়ার দর কমেছে ৩.৬২ টাকা বা ৭ শতাংশ। আর মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট দর কমেছে ০.২২ টাকা বা ৩.৫৫ শতাংশ।

দেখা গেছে, চলতি বছরের শুরুতে প্রতিটি শেয়ারের গড় দর ছিল ৫১.৬৭ টাকা ও ইউনিট দর ছিল ৬.১৯ টাকা। যা কমে ৩১ আগস্টে শেয়ার দর ৪৮.০৫ টাকায় ও ইউনিট দর ৫.৯৭ টাকায় দাড়িঁয়েছে। এ হিসাবে গত ৭ মাসে গড় শেয়ার দর কমেছে ৩.৬২ টাকা বা ৭ শতাংশ ও ইউনিট দর কমেছে ০.২২ টাকা বা ৩.৫৫ শতাংশ।

এ বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বিজনেস আওয়ারকে বলেন, চলতি বছরে সার্বিক শেয়ারবাজারের পতনের কারনে গড়ে শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। এরমধ্যে কোন শেয়ারের দর বেশি, কোনটির দর কম কমেছে। এছাড়া এই পতনের মধ্যেও কিছু কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। গত কয়েক দিনে কিছু কোম্পানির শেয়ার দর ভিত্তিহীনভাবে দ্বিগুণ হওয়ার মতো ঘটনাও যেমন ঘটেছে, ঠিক একইভাবে আছে মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানির শেয়ারে ধারাবাহিক পতন। তবে সবমিলিয়ে শেয়ারবাজার মন্দাবস্থায় রয়েছে। 

গত ৩১ আগস্ট তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর সব শেয়ারের দাম দাড়িঁয়েছে ৩ লাখ ২১ হাজার ৯৭০ কোটি ৫০ লাখ টাকায়। যা প্রতিটি শেয়ারের গড় দর ৪৮.০৫ টাকা। আর মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সব ইউনিটের ৩ হাজার ৩০৩ কোটি ১০ লাখ টাকা গড়ে প্রতিটির দাড়িঁয়েছে ৫.৯৭ টাকা।

চলতি বছরের শুরুতে শেয়ার সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৩৫৩ কোটি ৭৪ লাখ ছিল। এগুলোর ওইসময় প্রতিটির গড় দর ছিল ৫১.৬৭ টাকা। আর মিউচ্যুয়াল ফান্ডের গড় ইউনিট দর ছিল ৬.১৯ টাকা। ওইসময় ৫৫৬ কোটি ১৮ লাখ ইউনিটের মোট দর ছিল ৩ হাজার ৪৪৫ কোটি ১০ লাখ টাকা।

বর্তমানে কোম্পানিগুলোর (মিউচুয়াল ফান্ড ছাড়া) পরিশোধিত মূলধন দাড়িঁয়েছে ৬৭ হাজার ১২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। যা গড়ে ৩১৯টি কোম্পানির রয়েছে ২১০ কোটি ৭ লাখ টাকা। আর ৩৭টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের পরিশোধিত মূলধন দাড়িঁয়েছে ৫ হাজার ৫৩৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা। যা গড়ে প্রতিটি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের পরিশোধিত মূলধন দাড়িঁয়েছে ১৪৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকায়।

চলতি বছরের শুরুতে শেয়ারবাজারে ৩১১টি কোম্পানি ও ৩৭টি মিউচ্যুয়াল ফান্ড ছিল। ওইসময় কোম্পানিগুলোর প্রতিটির ২০৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা গড়ে মোট ৬৩ হাজার ৫৩৭ কোটি ৪০ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধন ছিল। আর মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর ১৫০ কোটি ৩২ লাখ টাকা গড়ে মোট ৫ হাজার ৫৬১ কোটি ৮০ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধন ছিল।

এদিকে গত ৩০ জুন শেয়ারের গড় দর ছিল ৫১.৩৮ টাকা। আর ইউনিট দর ছিল ৬.৪৩ টাকা। ওইসময় ৬ হাজার ৬১২ কোটি ৮২ লাখ শেয়ারের দাম ছিল ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৬৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আর ৫৫৩ কোটি ৪৭ লাখ ইউনিটের দর ছিল ৩ হাজার ৫৫৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

বিজনেস আওয়ার/০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

গত ৭ মাসে গড়ে প্রতিটি শেয়ারের দর কমেছে ৩.৬২ টাকা

পোস্ট হয়েছে : ০৩:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

রেজোয়ান আহমেদ : শেয়ারবাজারের মন্দাবস্থায় চলতি বছরের ৭ মাসে (জানুয়ারি-আগস্ট) তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর গড়ে প্রতিটির শেয়ার দর কমেছে ৩.৬২ টাকা বা ৭ শতাংশ। আর মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট দর কমেছে ০.২২ টাকা বা ৩.৫৫ শতাংশ।

দেখা গেছে, চলতি বছরের শুরুতে প্রতিটি শেয়ারের গড় দর ছিল ৫১.৬৭ টাকা ও ইউনিট দর ছিল ৬.১৯ টাকা। যা কমে ৩১ আগস্টে শেয়ার দর ৪৮.০৫ টাকায় ও ইউনিট দর ৫.৯৭ টাকায় দাড়িঁয়েছে। এ হিসাবে গত ৭ মাসে গড় শেয়ার দর কমেছে ৩.৬২ টাকা বা ৭ শতাংশ ও ইউনিট দর কমেছে ০.২২ টাকা বা ৩.৫৫ শতাংশ।

এ বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বিজনেস আওয়ারকে বলেন, চলতি বছরে সার্বিক শেয়ারবাজারের পতনের কারনে গড়ে শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। এরমধ্যে কোন শেয়ারের দর বেশি, কোনটির দর কম কমেছে। এছাড়া এই পতনের মধ্যেও কিছু কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। গত কয়েক দিনে কিছু কোম্পানির শেয়ার দর ভিত্তিহীনভাবে দ্বিগুণ হওয়ার মতো ঘটনাও যেমন ঘটেছে, ঠিক একইভাবে আছে মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানির শেয়ারে ধারাবাহিক পতন। তবে সবমিলিয়ে শেয়ারবাজার মন্দাবস্থায় রয়েছে। 

গত ৩১ আগস্ট তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর সব শেয়ারের দাম দাড়িঁয়েছে ৩ লাখ ২১ হাজার ৯৭০ কোটি ৫০ লাখ টাকায়। যা প্রতিটি শেয়ারের গড় দর ৪৮.০৫ টাকা। আর মিউচ্যুয়াল ফান্ডের সব ইউনিটের ৩ হাজার ৩০৩ কোটি ১০ লাখ টাকা গড়ে প্রতিটির দাড়িঁয়েছে ৫.৯৭ টাকা।

চলতি বছরের শুরুতে শেয়ার সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৩৫৩ কোটি ৭৪ লাখ ছিল। এগুলোর ওইসময় প্রতিটির গড় দর ছিল ৫১.৬৭ টাকা। আর মিউচ্যুয়াল ফান্ডের গড় ইউনিট দর ছিল ৬.১৯ টাকা। ওইসময় ৫৫৬ কোটি ১৮ লাখ ইউনিটের মোট দর ছিল ৩ হাজার ৪৪৫ কোটি ১০ লাখ টাকা।

বর্তমানে কোম্পানিগুলোর (মিউচুয়াল ফান্ড ছাড়া) পরিশোধিত মূলধন দাড়িঁয়েছে ৬৭ হাজার ১২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। যা গড়ে ৩১৯টি কোম্পানির রয়েছে ২১০ কোটি ৭ লাখ টাকা। আর ৩৭টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের পরিশোধিত মূলধন দাড়িঁয়েছে ৫ হাজার ৫৩৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা। যা গড়ে প্রতিটি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের পরিশোধিত মূলধন দাড়িঁয়েছে ১৪৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকায়।

চলতি বছরের শুরুতে শেয়ারবাজারে ৩১১টি কোম্পানি ও ৩৭টি মিউচ্যুয়াল ফান্ড ছিল। ওইসময় কোম্পানিগুলোর প্রতিটির ২০৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা গড়ে মোট ৬৩ হাজার ৫৩৭ কোটি ৪০ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধন ছিল। আর মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর ১৫০ কোটি ৩২ লাখ টাকা গড়ে মোট ৫ হাজার ৫৬১ কোটি ৮০ লাখ টাকার পরিশোধিত মূলধন ছিল।

এদিকে গত ৩০ জুন শেয়ারের গড় দর ছিল ৫১.৩৮ টাকা। আর ইউনিট দর ছিল ৬.৪৩ টাকা। ওইসময় ৬ হাজার ৬১২ কোটি ৮২ লাখ শেয়ারের দাম ছিল ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৬৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আর ৫৫৩ কোটি ৪৭ লাখ ইউনিটের দর ছিল ৩ হাজার ৫৫৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

বিজনেস আওয়ার/০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: