বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ব্যাটসম্যানদের দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যর্থতায় বড় পরাজয় দিয়ে শুরু হলো টাইগারদের নতুন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের জয় ৮ উইকেটের ব্যবধানে।
বাংলাদেশের দেওয়া ২০২ রানের লক্ষ্য মাত্র ২ উইকেট হারিয়েই জয় তুলে নেয় বাবর আজমের দল। দুই ওপেনার আবিদ আলি ও আব্দুল্লাহ শফিকের উদ্বোধনী জুটিতেই তারা পেয়েছিল ১৫১ রান।
ম্যাচের প্রথম ইনিংসে লিটন দাসের ১১৪ ও মুশফিকুর রহিমের ৯১ রানে ভর করে ৩৩০ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল বাংলাদেশ। জবাবে আবিদ আলির ১৩৩ রানের পরও ২৮৬ রানের বেশি করতে পারেনি পাকিস্তান। বাঁহাতি স্পিনে তাইজুল একাই নিয়েছিলেন ৭ উইকেট।
প্রথম ইনিংসে ৪৪ রানের লিড পাওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। লিটন দাসের ৫৯ রানের সুবাদে ১৫৭ পর্যন্ত যায় দলীয় সংগ্রহ। শাহিন শাহ আফ্রিদি নেন ৫ উইকেট। পাকিস্তানের সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২০২ রানের।
প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও দলের নায়ক আবিদ আলি। মাত্র ৯ রানের জন্য জোড়া সেঞ্চুরি করতে পারেননি তিনি। আরেক ওপেনার শফিক খেলেছেন ৭৩ রানের ইনিংস। নিজের অভিষেক টেস্টে দুই ইনিংসেই ফিফটি হাঁকিয়েছেন শফিক।
দিনের দশম ওভারের পঞ্চম বলে অভিষিক্ত শফিককে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন মিরাজ। রিভিউ নিয়েও নিজের উইকেট বাঁচাতে পারেননি শফিক। শফিক খেলেছেন ৮ চার ও ১ ছয়ের মারে ৭৩ রানের ইনিংস। প্রথম ইনিংসে তার ব্যাট থেকে এসেছিল ৫২ রান। দুই ইনিংসেই ফিফটি হাঁকিয়ে নিজের অভিষেক রাঙিয়ে রাখলেন ২২ বছর বয়সী এ তরুণ।
শফিক ফিরে গেলেও ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরির পথেই এগুচ্ছিলেন আবিদ। কিন্তু তার বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে দেন তাইজুল। পাকিস্তানের ইনিংসের ৫০তম ওভারের প্রথম বলেই আবিদকে ফেরান তিনি। তার ভেতরে ঢোকা ডেলিভারি রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলেছিলেন আবিদ।
কিন্তু ব্যাট ফাঁকি দিয়ে বল আঘাত হানে প্যাডে। আম্পায়ার সিদ্ধান্ত জানান লেগ বিফোরের। রিভিউ নিয়েও নিজের উইকেট বাঁচাতে পারেননি পাকিস্তানি ওপেনার। আউট হওয়ার আগে ১২ চারের মারে ৯১ রান করেছেন আবিদ। মাত্র ৯ রানের জন্য ম্যাচে দ্বিতীয় ও ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি করা হয়নি তার। এরপর বাকি পথ নির্বিঘ্নেই পাড়ি দেন অভিজ্ঞ আজহার আলি ও অধিনায়ক বাবর আজম।
বিজনেস আওয়ার/৩০ নভেম্বর, ২০২১/কমা