ঢাকা , শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আ.লীগ নেতা হত্যা মামলায় ১৩ আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ

  • পোস্ট হয়েছে : ০১:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২১
  • 4

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জগৎ বাজারের ব্যবসায়ী ও নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ শাখার সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক হত্যা মামলায় ১৩ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া মামলার আট আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া উত্তর পৌরতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে জহিরুল হক নিজ গ্রাম পয়াগে ফিরছিলেন। পথে আসামিরা পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনাস্থলের পাশে অবস্থান করছিলেন। জহিরুল ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দুটি মোটরসাইকেলযোগে আসামিরা তার অটোরিকশা আটকায়। এরপর তারা জহিরুলের ওপর হামলা করে। অটোরিকশা চালক গোলাপ মিয়াকেও তারা মারধর করে।

ঘটনার সময় অন্যদিক থেকে আসা আরেকটি অটোরিকশা চালককে গোলাপ মিয়া বিষয়টি জানালে তিনি মোটরসাইকেল দুটি ধাওয়া করেন। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া উত্তর পৌরতলা সিএনজি স্ট্যান্ডে থাকা লোকজনের সহায়তায় মোটরসাইকেল দুটিসহ আসামি শিথীল ও ফারিয়াজকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়।

জহিরুল হক ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই কবির হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্ত শেষে ২১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। মামলার ১৬ আসামি কারাগারে এবং পাঁচ আসামি পলাতক রয়েছেন।

বিজনেস আওয়ার/২৬ ডিসেম্বর, ২০২১/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

আ.লীগ নেতা হত্যা মামলায় ১৩ আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ

পোস্ট হয়েছে : ০১:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২১

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জগৎ বাজারের ব্যবসায়ী ও নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ শাখার সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক হত্যা মামলায় ১৩ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া মামলার আট আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া উত্তর পৌরতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে জহিরুল হক নিজ গ্রাম পয়াগে ফিরছিলেন। পথে আসামিরা পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনাস্থলের পাশে অবস্থান করছিলেন। জহিরুল ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দুটি মোটরসাইকেলযোগে আসামিরা তার অটোরিকশা আটকায়। এরপর তারা জহিরুলের ওপর হামলা করে। অটোরিকশা চালক গোলাপ মিয়াকেও তারা মারধর করে।

ঘটনার সময় অন্যদিক থেকে আসা আরেকটি অটোরিকশা চালককে গোলাপ মিয়া বিষয়টি জানালে তিনি মোটরসাইকেল দুটি ধাওয়া করেন। পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া উত্তর পৌরতলা সিএনজি স্ট্যান্ডে থাকা লোকজনের সহায়তায় মোটরসাইকেল দুটিসহ আসামি শিথীল ও ফারিয়াজকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়।

জহিরুল হক ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই কবির হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্ত শেষে ২১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। মামলার ১৬ আসামি কারাগারে এবং পাঁচ আসামি পলাতক রয়েছেন।

বিজনেস আওয়ার/২৬ ডিসেম্বর, ২০২১/কমা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: