ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এসএমই খাতে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহন বাড়াতে কাজ করছে কমিশন

  • পোস্ট হয়েছে : ০৮:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২২
  • 0

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে মূল মার্কেটের থেকে এসএমই খাতের শেয়ারে রিটার্ন পাওয়া যাবে সবচেয়ে বেশি। তারপরেও এই খাতের শেয়ারে আগ্রহ কম। এর পেছনে অবশ্য প্রধান কারন হিসেবে রয়েছে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের লেনদেনের সুযোগ না থাকা। এই পরিস্থিতিতে এসএমই খাতে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহন বাড়াতে করণীয় নিয়ে কাজ করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

শেয়ারবাজারে এসএমই খাতের কোম্পানিগুলোতে (ওটিসি থেকে স্থানান্তরিত ব্যতিত) কমপক্ষে ১০ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। যাতে করে বছর শেষে অভিহিত মূল্যের উপরে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ নিশ্চিত। তবে বর্তমানে যেহেতু এসএমই খাতের কয়েকটি কোম্পানির শেয়ার দর অভিহিত মূল্যের নিচে রয়েছে, সে হিসাবে ওইসব কোম্পানি থেকে লভ্যাংশের হার আরও বেশি হবে।

এছাড়া এসএমই খাতের কোম্পানিগুলোর মূল মার্কেটে আসারও সম্ভাবনা রয়েছে। যাতে মূল মার্কেটে ফেরার পরে শেয়ার দর বৃদ্ধিও হবে স্বাভাবিক। এজন্য অবশ্য ২ বছর অপেক্ষা করতে হবে।

এমন রিটার্ন নিশ্চিত ও ভালোর সম্ভাবনা থাকার পরেও এসএমই খাতের শেয়ারে লেনদেনে মন্থর গতি। এই অবস্থার উন্নয়নে বিএসইসি চেয়ারম্যানের কাছে শেয়ারবাজারে ৫০ লাখ টাকার পরিবর্তে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ আছে এমন বিনিয়োগকারীদেরকে এসএমই বোর্ডে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতে লেনদেনের সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব রাখেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি ছায়েদুর রহমান। এতে করে অনেকে বিনিয়োগ করার সুযোগ পাবে। ফলে এসএমই খাতে গতি বাড়বে। গত ২৫ ডিসেম্বর ‘এসএমই খাতের উন্নয়নে পুজিঁবাজারের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে এ প্রস্তাব রাখেন তিনি।

যার আলোকে বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, বিএমবিএ প্রেসিডেন্ট ছায়েদুর রহমানসহ অনেকে এসএমই খাতের উন্নয়নে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন। কমিশন তা গুরুত্ব সহকারে দেখবে।

এদিকে এসএমই খাতে লেনদেন বাড়াতে কমিশন যোগ্য বিনিয়োগকারীদেরকে ওই খাতের শেয়ারে বিনিয়োগ বাধ্যতামূলক করার চিন্তাভাবনা করছে। এক্ষেত্রে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের বিডিং ও আইপিওতে আবেদনের ক্ষেত্রে যে ১ কোটি টাকা বিনিয়োগের বাধ্যবাধকতা আছে, তার একটি অংশ এসএমই খাতের জন্য নির্ধারন করবে। অর্থাৎ বিডিং ও আইপিওতে আবেদনের জন্য যোগ্য বিনিয়োগকারীদেরকে মূল মার্কেটের পাশাপাশি এসএমইতেও বিনিয়োগ থাকতে হবে।

বিজনেস আওয়ার/২৫ জানুয়ারি, ২০২২/জুয়েল রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার মেইলে তথ্য জমা করুন

এসএমই খাতে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহন বাড়াতে কাজ করছে কমিশন

পোস্ট হয়েছে : ০৮:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২২

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : শেয়ারবাজারে মূল মার্কেটের থেকে এসএমই খাতের শেয়ারে রিটার্ন পাওয়া যাবে সবচেয়ে বেশি। তারপরেও এই খাতের শেয়ারে আগ্রহ কম। এর পেছনে অবশ্য প্রধান কারন হিসেবে রয়েছে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের লেনদেনের সুযোগ না থাকা। এই পরিস্থিতিতে এসএমই খাতে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহন বাড়াতে করণীয় নিয়ে কাজ করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

শেয়ারবাজারে এসএমই খাতের কোম্পানিগুলোতে (ওটিসি থেকে স্থানান্তরিত ব্যতিত) কমপক্ষে ১০ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। যাতে করে বছর শেষে অভিহিত মূল্যের উপরে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ নিশ্চিত। তবে বর্তমানে যেহেতু এসএমই খাতের কয়েকটি কোম্পানির শেয়ার দর অভিহিত মূল্যের নিচে রয়েছে, সে হিসাবে ওইসব কোম্পানি থেকে লভ্যাংশের হার আরও বেশি হবে।

এছাড়া এসএমই খাতের কোম্পানিগুলোর মূল মার্কেটে আসারও সম্ভাবনা রয়েছে। যাতে মূল মার্কেটে ফেরার পরে শেয়ার দর বৃদ্ধিও হবে স্বাভাবিক। এজন্য অবশ্য ২ বছর অপেক্ষা করতে হবে।

এমন রিটার্ন নিশ্চিত ও ভালোর সম্ভাবনা থাকার পরেও এসএমই খাতের শেয়ারে লেনদেনে মন্থর গতি। এই অবস্থার উন্নয়নে বিএসইসি চেয়ারম্যানের কাছে শেয়ারবাজারে ৫০ লাখ টাকার পরিবর্তে ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ আছে এমন বিনিয়োগকারীদেরকে এসএমই বোর্ডে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতে লেনদেনের সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব রাখেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি ছায়েদুর রহমান। এতে করে অনেকে বিনিয়োগ করার সুযোগ পাবে। ফলে এসএমই খাতে গতি বাড়বে। গত ২৫ ডিসেম্বর ‘এসএমই খাতের উন্নয়নে পুজিঁবাজারের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে এ প্রস্তাব রাখেন তিনি।

যার আলোকে বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, বিএমবিএ প্রেসিডেন্ট ছায়েদুর রহমানসহ অনেকে এসএমই খাতের উন্নয়নে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন। কমিশন তা গুরুত্ব সহকারে দেখবে।

এদিকে এসএমই খাতে লেনদেন বাড়াতে কমিশন যোগ্য বিনিয়োগকারীদেরকে ওই খাতের শেয়ারে বিনিয়োগ বাধ্যতামূলক করার চিন্তাভাবনা করছে। এক্ষেত্রে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের বিডিং ও আইপিওতে আবেদনের ক্ষেত্রে যে ১ কোটি টাকা বিনিয়োগের বাধ্যবাধকতা আছে, তার একটি অংশ এসএমই খাতের জন্য নির্ধারন করবে। অর্থাৎ বিডিং ও আইপিওতে আবেদনের জন্য যোগ্য বিনিয়োগকারীদেরকে মূল মার্কেটের পাশাপাশি এসএমইতেও বিনিয়োগ থাকতে হবে।

বিজনেস আওয়ার/২৫ জানুয়ারি, ২০২২/জুয়েল রানা

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: